Press "Enter" to skip to content

প্রতিদিন একটা আপেল মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কে শক্তিশালী করে এবং মানবদেহ কে সুস্থ রাখে……..

Spread the love


মৃদুলা ঘোষ : কলকাতা, ১৯, সেপ্টেম্বর, ২০২০।
আন্তর্জাতিক আঙিনা য় আজকের দিন টি বেশ তাৎপর্য পূর্ণ। বিশ্বজুড়ে গভীর অসুখ যখন আমাদের বিধ্বস্ত করে চলেছে তখন একটি সুস্বাদু আপেল খাওয়া র আন্তর্জাতিক সম্মান অবশ্যই গুরুত্ব রাখে। আজ ইন্টারন্যাশনাল ইট আ্যন আ্যপেল ডে। অর্থাৎ, আপেল খাওয়ার আন্তর্জাতিক দিবস। স্বাস্থ্য কর, রসালো আপেল খাওয়া কে উৎসাহ দিতেই, প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় শনিবার কে আন্তর্জাতিক আপেল ভক্ষন দিবস মেনে চলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের অল্প চেনা জানা উদ্ভিদের মধ্যে আপেল গাছের জন্ম সবচেয়ে প্রাচীন। সেন্ট্রাল এশিয়া, ও ইউরোপের বিভিন্ন স্থানে প্রায় আড়াই মিলিয়ন বছর আগে প্রস্তরযুগের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া গিয়েছে আপেল গাছের চিহ্ন। খ্রিস্টপূর্ব ৩০০ অব্দে গ্ৰিসে বিভিন্ন জাতের আপেল চাষ প্রচলিত ছিল।

যুদ্ধবাজ গ্রিক’রা বিভিন্ন দেশ জয় করার নেশায় যখন অভিযান করতো, তখনই ইংল্যান্ড ইউরোপীয় এই ফলটি র সঙ্গে বিশেষ ভাবে পরিচিত হয়। বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ৭৫০০টি বিভিন্ন ধরনের আপেল রয়েছে। শুধু আমেরিকাতেই ২৫০০ রকমের আপেল গাছ জন্মায়। আপেল মানুষের দেহে বহু ধরনের রোগ নিরাময়, ও রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আ্যমাইনো  আ্যসিড সমৃদ্ধ আপেল কোলেস্টেরল মুক্ত মূলতঃ রক্তের খারাপ অংশ নির্মূল করে রক্ত কে পরিস্কার করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। সবরকম ভিটামিনের ভান্ডার আপেল নানা রকম খনিজ যৌগ পরিপূর্ণ হওয়ায় আ্যনিমিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, দূর করতে, চোখের জ্যোতি কে উজ্বল করতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ফল হিসাবে অনবদ্য। চিকিৎসক দের মতে, আপেলের রস মস্তিষ্কে বিশেষ ধরনের রসায়নিক উৎপাদনে সাহায্য করে যা মস্তিষ্কের ফেলোশিপ পার্ট কে মজবুত করে। চিন্তা শক্তি কে অনেক গুন বাড়িয়ে দেয়। স্মৃতি ভ্রম থেকে মুক্তি দেয়। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য কে অটুট রাখে। অপর একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, আপেলের খোসার গুনের কাহিনী। আপেলের খোসায় অবস্থিত আর্সোলিক আ্যসিড দেহ কে সুঠাম ও সুগঠিত করে। বাস্তবে এই ফলটির ১৫শতাংশ দেহের পেশির শক্তি বৃদ্ধি তে এবং দেহের মেদ হ্রাস করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। আপেলের খোসায় থাকে কুয়ার সিটিন নামের এক যৌগ যা ভিটামিন সি র সাথে মিলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। এত গেল আপেলের স্বাস্থ্য গুনের ব্যকরনগত দিক। অন্যদিকে আছে বিশ্বজুড়ে আপেলের কদর। বিশেষত, আমেরিকায় আপেল পাই, আপেল ডাম্পলিং, হ্যালোউইন এর সময় ক্যারামেল আপেল সুস্বাদু খাবার হিসেবে বিখ্যাত। এছাড়াও পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও আপেল ফল হিসেবে প্রথম সারিতেই আছে।

হাজারো সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপনের মতো আপেল খাওয়ার জন্য একটি বিশেষ দিন উদযাপন ফলটির অবশ্যই প্রাপ্য তার নিজ গুনের জন্য। গবেষণায় জানা গেছে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ যদি প্রতিদিন দুপুরে খাওয়ার পর ১০০গ্ৰাম ওজনের একটি আপেল খান তবে, তার শরীর বহু রোগের হাত থেকে মুক্তি পাবেন। শরীর থাকবে সুস্থ, সচল ও রোগমুক্ত।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.