শুভ ঘোষ : কলকাতা, ১১, অক্টোবর, ২০২০। করোনা আবহে কেমন আছে কলকাতার এই ঐতিহ্যবাহী কলেজ স্ট্রিট বই পাড়া? এই বিষয় নিয়েই কলকাতায় বালিগঞ্জের নিকটবর্তী একটি অভিজাত ক্লাবে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল ট্যালেন্ট আর্ট পাবলিকেশন। এ দিনের আলোচনার মূল বিষয় ছিল, “করোনার সময়ে সাহিত্য, কেমন আছে বই পাড়া?” মূল বক্তা হিসাবে এই আলোচনা সভায় উপস্থিত হয়ে ছিলেন সাহিত্যপ্রেমী তথা বিশিষ্ট অভিনেতা সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন একঝাঁক নতুন প্রজন্মের লেখক-লেখিকা। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশেষভাবে সক্ষম শিল্পী রঞ্জন কুর্মি। এদিন অনুষ্ঠান প্রাঙ্গনে পা দিয়ে মা দুর্গার ছবি আঁকেন তিনি।

নিউ নর্মাল জীবনে শারদীয়া সংখ্যাতেও উলটপুরাণ। ঘরে ঘরে দখল নিয়েছে ই বুক। সাহিত্যে উঠে আসছে মহামারীর তাণ্ডব। সাহিত্য সব সময় সময়ের কথা বলে। এই কঠিন সময়ে কেমন আছে কলকাতার বইপাড়া? ই বুকের সৌজন্যে তৈরি হচ্ছে নতুন পাঠক। ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে বইপড়ার চেনা অভ্যাস। এখন আর বইয়ের পাতা নয়, মোবাইল স্ক্রিনেই উল্টে যাচ্ছে পাতা। ই বুকেই পাঠক বইপড়ার খিদে মেটাচ্ছেন। এই সময়টাকেই খুঁজে দেখার চেষ্টা করলেন নতুন প্রজন্মের একদল লেখক-লেখিকা। বইপাড়া নিয়ে আলোচনা সভার পরই ‘ক্যানভাস’ বইটি প্রকাশিত হয়। উপস্থিত নবীন প্রজন্মের লেখকদের করোনা কালের মধ্যে লেখা নিয়েই এই ‘ক্যানভাস’। সাহিত্যপ্রেমী সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের কথায় করোনার ভয় মানুষকে অসংবেদনশীল করে তুলেছে সামাজিক বোধ এবং চেতনা সবই যেন পরিবর্তন হয়ে গেছে। সাহিত্যে সেই সমাজ এবং নতুন চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, একদিকে কলেজ স্ট্রিট বইপাড়া যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যবসায়িক দিকে।

এই সময়ের ছয় প্রতিভাবান লেখক অরিন্দম আচার্য, দেবারতি ভৌমিক, ঐশিক মজুমদার, অর্পিতা সরকার, শোভন কাপুড়িয়া, অতনু প্রঞ্জান। তাঁদের লেখার সংকলিত কোলাজই হল ‘ক্যানভাস’। ট্যালেন্ট আর্টস পাবলিকেশনের কর্ণধার প্রীতম মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পুজোর আগেই প্রকাশিত হল এই বই।

Be First to Comment