Press "Enter" to skip to content

পোস্ট অফিস এজেন্টদের ভবিষ্যত নিশ্চিত নয়। NSSAAI বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দাবি করে ….।

Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ১৪ জুন ২০২২।
আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। অথচ আয়ের দিক থেকে উল্টো পথে হাঁটছেন ডাকঘরের এজেন্টরা। ক্রমশ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের কমিশন। ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ধাপে ধাপে তা নামিয়ে আনা হয়েছে ০.৫ শতাংশে। এর প্রতিবাদে সরব হলেন পোস্টাল এজেন্টরা। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর-সহ নানা মহলে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা।

তাঁদের দাবি, কমিশন যেমন বাড়াতে হবে, তেমনই বিভিন্ন স্কিমে ফের কমিশন প্রথা ফিরিয়ে আনতে হবে।ওয়েস্ট বেঙ্গল স্মল সেভিংস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিঞ্চন চ্যাটার্জি বলেন, আমাদের যেমন কমিশন তলানিতে এসে ঠেকেছে, তেমনই সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, পিপিএফ বা সিনিয়র সিনিজেন সেভিংস স্কিমের মতো প্রকল্পগুলিতে আমরা কোনও কমিশন পাই না। অন্যদিকে, যেখানে প্রবীণ নাগরিকদের স্কিমে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা করা যায়, সেখানে মান্থলি ইনকাম স্কিমে মাথা পিছু সর্বোচ্চ ৪.৫ লক্ষ টাকা জমা করা যায়। আমাদের দাবি, সেই সীমা বাড়ানো হোক। ডাকঘরগুলিতে দিনের পর দিন চেক বই পাওয়া যায় না।

এদিকে চেক ছাড়া স্বল্প সঞ্চয়ে টাকা জমা করা যাচ্ছে না। এর কারণে মার খাচ্ছে সঞ্চয় প্রকল্প। তার খেসারত দিতে হচ্ছে এজেন্টদের। সিঞ্চন বাবুদের আক্ষেপ, কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের কোনও সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করেনি। এমনকী কোনও পরিচয়পত্রের ব্যবস্থাও করা হয়নি। এই অবস্থায় তাঁদের কাজ চালিয়ে যাওয়াই দায় হয়ে উঠছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী, ডাকবিভাগ, ন্যাশনাল সেভিংস ইনস্টিটিউট-সহ নানা জায়গায় অভিযোগ জমা করেছেন তাঁরা। বঞ্চনা নিয়ে একই অভিযোগ তুলেছে ন্যাশনাল স্মল সেভিংস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, ইন্ডিয়া।এখানকার সভাপতি পৃথ্বীশ ভট্টাচার্য বলেন, একদিকে যেমন কমিশন কম, তেমনই ইচ্ছাকৃতভাবে পোস্ট অফিসগুলিতে লিঙ্ক সমস্যা জিইয়ে রাখা হয়েছে। আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে, প্রতি মাসের ১২ থেকে ১৫ তারিখ এবং ২৫ তারিখ থেকে মাসের শেষ পর্যন্ত লিঙ্ক সমস্যা থাকছে। এই তারিখগুলিতে সঞ্চয় প্রকল্প জমা করার চূড়ান্ত সময়সীমা থাকে। লিঙ্কের সমস্যায় টাকা জমা না হলে, তার জন্য পেনাল্টি দিতে হয় এজেন্টদের।

NSSAAI বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দাবি করে একদিকে, আমাদের রোজগার কম, অন্যদিকে পেনাল্টির চাপ। কেন্দ্ৰীয় সরকারকে এই ব্যাপারে অভিযোগ জানালে, তারা বলে, দেশের পাঁচ লক্ষ এজেন্ট কমিয়ে দেড় লাখে নিয়ে আসা হবে। অর্থাৎ কর্মসংস্থানের রাস্তা বন্ধ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

More from BusinessMore posts in Business »
More from FinanceMore posts in Finance »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.