গোপাল দেবনাথ : পুরী, ২৯ জুন ২০২৩। প্রভু জগন্নাথদেবের ভক্ত আছেন বিশ্বজুড়ে। ভক্তদের মনে বিশ্বাস প্রভু জগন্নাথদেবের নাম স্মরণ করলে এবং একবার দর্শন করলেই সর্ব কাজে সাফল্য লাভ করা যায়।
করোনা মহামারীর সময় আমাদের দেশে কোনো উৎসবই সঠিকভাবে পালন করা সম্ভবপর হয়নি। হিন্দুধর্ম সহ নানা ধর্মের মানুষ পুরীতে রথযাত্রার সময় সামিল হন প্রভু কে একবার চাক্ষুষ করার জন্য।
গত ২০ জুন মঙ্গলবার রথযাত্রা উপলক্ষে পুরীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রভুর দর্শনে হাজির হয়েছিলেন। ২৮ জুন বুধবার শ্রীক্ষেত্রে বাহুড়া যাত্রা বা উল্টোরথের দিন প্রভু জগন্নাথদেব, বলরাম ও শুভদ্রাদেবীর রথের রশি টেনে পূর্নার্জন করার আশায় লক্ষ লক্ষ মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন।
ভিড়ের চাপে অনেক ভক্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। প্রশাসনিক ব্যবস্থা যথেষ্ট ভালো ছিল তা সত্ত্বেও বহু ত্রুটি নজরে পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ছিল জগন্নাথদেবের সোনাবেশ ধারণ। প্রভুর সোনাবেশ চাক্ষুষ করার জন্য ভক্তদের উন্মাদনা ছিল নজরকাড়া।
কোলের শিশু থেকে শুরু করে বহু বৃদ্ধ ও বৃদ্ধদের দেখাগেল এই অস্বাভাবিক ভিড়ের মধ্যে। কত লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছিল প্রশাসন থেকে সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা সহ প্রতিবছর যে সকল ভক্ত শ্রী ক্ষত্রের রথযাত্রা দর্শনে আসেন তারা সকলেই একবাক্যে বলেন, এত মানুষের ভিড় কোনো দিনই প্রত্যক্ষ করেননি। এটা জগন্নাথদেবের লীলা বলা যেতে পারে।
প্রতিবছর কলকাতার বাসিন্দা উমাপতি দত্ত বলেন আমি কতবার যে এই উল্টোরথ এর সময় পুরীতে এসেছি সেটা গুনে বলা সম্ভবপর নয়। সেই ছেলেবেলা থেকে আসছি তবে এই রকম ভিড় জীবনে দেখিনি।
আগামীকাল শুক্রবার রথের সব দেবদেবীদের খুশি করার জন্য অধবপনা অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার দিন অর্থাৎ ১জুলাই আয়োজিত হবে নীলাদ্রি বিজে লক্ষীদেবীর মানভঞ্জন করে তাকে রসগোল্লা খাইয়ে সেদিনই শ্রী মন্দিরে ফিরবেন প্রভু জগন্নাথদেব সহ অন্যান্য দেবদেবী।
রথ যাত্রার উৎসব এই বছরের মতো শেষে হওয়ার পথে আবার বছরভর অপেক্ষা।
Be First to Comment