গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ১৩ মার্চ, ২০২১। ফাল্গুন মাস শেষ হতে চলেছে। চারিদিকে নানান গেছে বসন্তের ফুল ফুটেছে। যদিও দোল বা হোলি এই ফাল্গুন মাসে হবে না। এই শহরের বিভিন্ন হল বা প্রেক্ষাগৃহে অতিমারীর ভয় কাটিয়ে নানান ধরনের বিচিত্রানুষ্ঠান শুরু হয়েছে। ঠিক তেমনই এক সংস্থা ড্যাফোডিল ইনকর্পোরেট নিবেদন করলেন বসন্ত আনন্দে কথায়, সুরে, ছন্দে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি, সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়াম (আই.সি.সি.আর) এ।
শীতের হালকা আমেজ নিয়ে বসন্তের আগমনে এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় একক গল্প শোনালেন বাচিকশিল্পী সতীনাথ মুখোপাধ্যায়। সৌরভ মুখোপাধ্যায় এর লেখা ‘গুন্ডা’ শ্রোতাদের ভীষণ আবেগতাড়িত করে তোলে। আবহ সঙ্গীত রাজা সেনগুপ্তর।
পরে গানে, গানে ভরে ওঠে সন্ধ্যা। ঝুমকি সেন এর নিবেদনে ছিল একের পর এক চিরস্মরণীয় গান- কেন যে কাঁদাও বারে, বারে, হায় হায় প্রাণ যায়, তোমার কাছে ফাগুন চেয়েছে, বলো তো আরশি।অরিত্র দাশগুপ্ত এর নিবেদনে ছিল বাজে গো বীণা, ক্ষতি কী না হয় আজ পড়লে, পিন্দারে পলাশের বন এর মতো জনপ্রিয় গান।
সব শেষে তবলায় ছন্দে মাতালেন পন্ডিত মল্লার ঘোষ। বাংলার ঢাক, সাথে শঙ্খধ্বনি, বৈদিক মন্ত্রপাঠ সব মিলিয়ে পুজোর আবহ তৈরি করে ফেলেন মল্লার, মল্লিকা এবং তাঁদের সহশিল্পীরা।
বলাই যেতে পারে এক বসন্ত সন্ধ্যায় বাঙালিয়ানায় মোড়া এমন আয়োজন শ্রোতাদের বেশ ভালো লাগার ছিল। ড্যাফোডিল ইনকর্পোরেট এর পক্ষে রুদ্র সেন বললেন,”
বাংলা সংস্কৃতির এক বড়ো অংশ জুড়ে আছে বিচিত্রানুষ্ঠান। নানা রকমের পারফরমেন্স নিয়ে সাজানো এই রকমের অনুষ্ঠান শ্রোতা ও দর্শকদের দীর্ঘদিন ধরে মনোরঞ্জন করে এসেছে। তেমনই নানা স্বাদের পারফরমেন্স নিয়ে এবার হাজির ছিল ড্যাফোডিল ইনকর্পোরেট। করোনা মহামারীর কারনে অনেক অনুষ্ঠান করা সম্ভবপর হয়নি। কিন্তু ধীরে ধীরে আবার ছন্দে ফিরতে হবে। তাই আবার এই নবতম উদ্যোগ।”
Be First to Comment