শুভ ঘোষ : কলকাতা, ১১, সেপ্টেম্বর, ২০২০। আর মাত্র কিছুদিন পরেই আমাদের প্রিয় উৎসব দুর্গোৎসবের সূচনা হবে। দীর্ঘদিন ধরে চলা করোনা মহামারীর কোপে সাধারণ মানুষের জীবন প্রায় স্তব্ধ হয়ে আছে। এই রোগের প্রকোপে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মানুষ কর্মহীন হয়েছেন। হাতে নগদ পয়সা নেই। জমানো অর্থ প্রায় শেষ। মানুষের মনে ইচ্ছে থাকলেও বাইরে গিয়ে হোটেলের খাবারের স্বাদ নিতে পারছেন না। বহু হোটেল এবং রেস্টুরেন্টে এখনও ঠিক ভাবে শুরু করতে পারছে না। প্রথমতঃ কাস্টমারের অভাব সেই সাথে হোটেলের স্থায়ী কর্মীও সংখ্যায় নগন্য। দীর্ঘকালীন লকডাউনে মানুষ বাড়ির খাবার খেতে খেতে একঘেয়েমির শিকার হয়ে গেছে, বাইরের খাবার খেতেও ভয় পাচ্ছে। বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের একান্ত প্রয়োজন। পুজোর সময় প্রায় সকলেই বাইরের খাবার খেতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এই সব কথা মাথায় রেখে শুভ মহালয়ার প্রাক্কালে নমিতা ফিল্মস প্রোডাকশনের প্রযোজনায় (দ্য আঙ্কেল কিচেন) দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর অঞ্চলে একটি অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। ভাস্বতী সেনগুপ্তের অনুপ্রেরণায় আঙ্কেল কিচেন একটি রান্নার অনুষ্ঠানের আয়োজনের করেন, সেই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থার কর্ণধার ভাস্বতী সেনগুপ্ত।

এ ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অরুণ কিশোর চক্রবর্তী (রাধুনি), অরুণিমা চক্রবর্তী (মেয়ে) এবং বিপুল মেহেরা (সহকর্মী রাধুনী) সহ বহুবিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এই অনুষ্ঠানে বিষয়বস্তু হলো পুরনোদিনের ঠাকুরমা ও দিদিমাদের আমলে ফেলে দেওয়া শাকসবজি দিয়ে যে সকল সুস্বাদু খাবার তৈরি করে খাওয়াতেন তাদের পরিবার পরিজনকে আজকের দিনে সেই সব খাবারের প্রচলন নেই বললেই চলে। ঠাকুরমা ও দিদিমাদের সুস্বাদু রেসিপির কথা মাথায় রেখে পুরনো দিনের এইসব রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন দ্য আঙ্কেল কিচেন এর পক্ষে ভাস্বতী সেনগুপ্ত।
Be First to Comment