মতিলাল পটুয়া : কলকাতা, ৯ অক্টোবর ২০২১। শরতের প্রারম্ভে শিউলির ম ম গন্ধ, বকের পাখার মত ধপধপে সাদা দোদুল্যমান কাশফুল জানান দেয় মায়ের আগমন বার্তা ।
বছর ঘুরে মা আসছেন এ ধরায় । তার আগমনে ধরায় নেমে আসে শান্তি , অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটে । সংসার সুখের হয় , দুরভুত হয় দুর্গতি । তাই মা ” দুর্গতি নাশিনী দুর্গা “।
গোটা বিশ্ব জুড়ে করনার প্রভাব কিছুটা নিন্ম গতি হলেও পুরোপুরি সেরে ওঠেনি ।পুরোপুরি সেরে উঠবে কি করে?
যেখানে সারা বিশ্বের মানুষ এখন এতো বেশি স্বার্থান্বেষী যে নিজের স্বার্থের জন্য নিজেদের মনুস্বত্ব বিসর্জন দিতেও পিছুপা হননা।
এমনকি শিশুদের আহার , দরিদ্রশ্রেণীর লোকজনের আহার কুক্ষিগত করে , কালোবাজারির সাহায্যে ধনী হতে চান।
ধর্ম অধর্ম দূরের কথা মানুষের বিপদে মানুষ যদি পাশে না থাকে সে কেমন মানুষ ? সে কেমন সমাজ ? সে কেমন সমাজ ব্যবস্থা ?
এভাবে স্বার্থান্বেষী মানুষে যদি জগৎ ভরে ওঠে কি করে শান্তির আশা করবে
মানুষ ? সমাজ ব্যবস্থা ?
যে দেশে নারী শক্তি , ফুলের মতো শিশুরা কেবল মাত্র ভোগ লালসার বস্তু হয়ে ওঠে আর বারবার নিপীড়িত হয় অসুরের সঙ্গে এই মনুষ্যদের তফাৎ কি ? যে দেশে কিছু সংখ্যক মানুষ সুখে শান্তিতে কাটায় , পূজা পুজাপর্বনে আনন্দ উল্লাস করে আর বাকিদের খাবার জোটেনা, এমন কি পুজাপর্বনে আনন্দ উল্লাস দূরের কথা নুতন পোশাকও জোটেনা সে দেশের উন্নয়ন আশা করা যায় কি করে ?
যে দেশে কারনে অকারনে বনজঙ্গল বিনষ্ট হয় কেমন করে সন্তুষ্ট থাকবে বনদেবী , কেমন করে শুনতে পাব নীলকন্ঠ পাখির ডাক ? কোন ভরসায় সুজলা সুফললায় ভরে উঠবে ধরিত্রী ?
এজন্য বিবেকানন্দের ভাষায় আবারও বলতে হয় — হে বিশ্ববাসী জাগ্রত হও , নিজের স্বার্থ ত্যাগ করো , মানুষের বিপদে মানুষের পাশে এগিয়ে এসো । ভুলে যেও না তোমরা সনাতন , তোমরা বীর মাতার মহান সন্তান । মনে রেখ ” জীবে প্রেম করে যেই জন্ সেই জন সেবিছে ঈশ্বর ‘।
Be First to Comment