গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩। আমাদের দেশ সহ এই রাজ্যে বহু ধরণের মেলা আয়োজিত হয় তারমধ্যে অন্যতম বইমেলা বা পুস্তকমেলা। এই মুহূর্তে এই শহরের সবচেয়ে বড় মেলা হলো বইমেলা। এখন ৪৬ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েত হচ্ছে।
সেইসাথে চলছে নানান বইয়ের কেনাকাটা। এই মেলায় ছোটদের বড়দের কলেজ উনিভার্সিটির স্টুডেন্টদের বই ও একই জায়গায় অনায়াসে পাওয়া যাচ্ছে। আইআইএইচএম এর স্টলে স্টুডেন্টরা হাতে গরম রান্না পরিবেশন করছেন। বহু বিদেশি বই এর দোকান দেখা গেল মেলাতে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও দেখা গেল মেলায় উপরি পাওয়া হরি নাম সংকীর্তন।
বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্টল দেখতে পাওয়া গেল। লেখক সাহিত্যিক গায়ক গায়িকা সহ সাংবাদিকদের ভিড়। ভালো লাগলো আইআইএলইম ছাত্র ছাত্রীদের গাওয়া গান। মনে পড়ে গেল আমাদের কলেজ জীবনের কথা। দেব সাহিত্য কুটীর, দে’জ পাবলিশিং, পত্রভারতী সহ বহু দোকানে দেখা গেল উপচে পড়া ভিড়।
রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের স্টলে পুলিশের ব্যবহৃত অস্ত্র দেখার জন্য প্রচুর ভিড় পুলিশকর্মীরা খুব যত্ন সহকারে দর্শনার্থীদের সবকিছু বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যালকাটা জার্নালিস্টস ক্লাবের স্টলে বই কেনার জন্য প্রচুর ক্রেতাদের দেখা গেল। এ ছাড়াও খাবারের দোকানে যেমন ভিড় সেইসাথে মেলার প্রায় সব ধরণের দোকানেই ভিড়।
ক্রেতা বিক্রেতা উভয়েই খুশি বলে জানাগেল। ২০২০ সালে করোনা অতিমারীর কারণে মেলার আয়োজন করা সম্ভবপর হয়নি। ২০২১ সালে ও বেশকিছু বাধা নিষেধ ছিল। এই বছর পাঠক ক্রেতারা মুক্ত বিহঙ্গের মতো চুটিয়ে এই আন্তর্জাতিক বইমেলার আনন্দ নিচ্ছেন। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কল্যানে শিয়ালদহ থেকে করুনাময়ী সেন্ট্রাল পার্কের বইমেলায় যাওয়া বইপ্রেমীদের কাছে হাতে চাঁদ পাওয়ার সামিল হয়েছে।
মাত্র ১৫ মিনিটেই বইমেলা পৌঁছে যেতে পারছেন। রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের সহযোগিতায় এই বইমেলা একটি নিরাপদ ও অসাধারণ পরিবেশের বইমেলা বলা যেতেই পারে।
Be First to Comment