Press "Enter" to skip to content

পশ্চিম বাংলা ও বাংলাদেশ সবটা মেলালে তিনি শ্রেষ্ঠ লেখক। ইলিয়াস-এর পায়ের নখের তুল্য কিছু লিখতে পারলে আমি ধন্য হতাম — মহাশ্বেতা দেবী……।

Spread the love

স্মরণ : আখতারুজ্জামান ইলিয়াস

বাবলু ভট্টাচার্য : প্রখ্যাত সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী বলেছেন— ‘কি পশ্চিম বাংলা কি বাংলাদেশ সবটা মেলালে তিনি শ্রেষ্ঠ লেখক। ইলিয়াস-এর পায়ের নখের তুল্য কিছু লিখতে পারলে আমি ধন্য হতাম।’

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বাংলাদেশি কথা সাহিত্যিক।

একজন স্বল্পপ্রজ লেখক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। দু’টি মাত্র উপন্যাস— ‘চিলেকোঠার সেপাই’ (১৯৮৭) ও ‘খোয়াবনামা’ (১৯৯৬) বাংলা সাহিত্যে তাঁর অক্ষয় আসনটি নির্মাণ করে রেখেছে।

আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের পৈতৃক বাড়ি বগুড়া জেলায়। ম্যাট্রিক পাস করেন বগুড়া জিলা স্কুল থেকে ১৯৫৮ সালে। এবং ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন ১৯৬০ সালে ঢাকা কলেজ থেকে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেন ১৯৬৪ সালে। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে যোগদানের মাধ্যমে। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজের বাংলার প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রাজনীতি আমাদের জীবনের একটি প্রধান নিয়ামক হলেও আমাদের সাহিত্যে সরাসরি রাজনৈতিক প্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গ ব্যাপকভাবে বিবেচিত হয়নি। রাজনীতির সঙ্গে লেখকরা সবসময়ই নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখেছেন। ইলিয়াসই প্রথম এতটা সার্থক শিল্পসম্মতভাবে প্রধান দুটি আন্দোলনকে তাঁর দুই উপন্যাসে ধারণ করেছেন।

‘চিলেকাঠার সেপাই’ উপন্যাসে তিনি উপজীব্য করেছেন এ দেশের রাজনীতির পাকিস্তান পর্বের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আন্দোলন ঊনসত্তরের গণআন্দোলনকে। এটি অবলম্বনে পরবর্তীতে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।

তাঁর শেষ ও শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘খোয়াবনামা’র মূল প্রসঙ্গ বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি জনপদে পাকিস্তান আন্দোলনের প্রভাব। এই উপন্যাসের জন্য তিনি পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার। স্বদেশে পেয়েছেন বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৩) এবং একুশে পদক (মরণোত্তর) (১৯৯৯)।

আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ১৯৯৭ সালের আজকের দিনে (৪ জানুয়ারি) মৃত্যুবরণ করেন।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.