নিউজ স্টারডম : মানুষের জীবনে পুথিগত শিক্ষাই যে একমত শিক্ষা লাভের পথ নয় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ ওড়িশায় বসবাসকারি মানুষটির নাম হলধর নাগ, তিনি একজন পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত কবি।
মাত্র তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন তিনি।
অথচ তাঁর লেখা কবিতা নিয়ে গবেষণা করে রীতিমতো পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন পাঁচজন! না চমকে যাবেন না
তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পদ্মশ্রী পুরস্কার!
উড়িষ্যার ‘বরগড়’ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এই কবি।
লিখে ফেলেন কোশলি ভাষায় ‘আচিয়া’, ‘বাছার’, ‘মহাসতী উর্মিলা’, ‘তারা মন্দোদরী’, ‘শিরি সামালাই’, ‘প্রেম পইচান’, ‘বীর সুরেন্দ্র সাই’, ‘শান্ত কবি বিমাভাই’, ‘র“শি কবি গঙ্গাধর’ ইত্যাদি ২০ টি মহাকাব্য।
তার লেখাগুলি নিয়ে দেশে বিদেশে এখনও পর্যন্ত ৫ জন মানুষ “পিএইচডি” করেছেন, এবং ১৪ জন স্কলার এখনও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সাধারণ মানুষের মাঝে থেকে যে অসাধারণ হয়ে ওঠা যায় , প্রচার বিমুখ, অতি সরল বাহুল্যহীন জীবনযাপন করেও যে মেধা ও উৎকর্ষতার চরম শিখরে পৌঁছনো যায় তার বোধহয় এক জ্বলন্ত উদাহরণ এই মানুষটি।
“আমারে না যেন করি প্রচার
আমার আপন কাজে,
তোমারি ইচ্ছা করো হে পূর্ণ
আমার জীবনমাঝে।”
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
Be First to Comment