জন্মদিনে স্মরণঃ নি কো লা ই গো গো ল
‘‘আমরা সবাই গোগোলের ওভারকোট থেকেই বের হয়ে এসেছি।’’
[ফিওদোর দস্তয়েভ্স্কি]
বাবলু ভট্টাচার্য : রুশ ভাষায় লিখলেও তার সাহিত্যে ওঠে এসেছে ইউক্রেনের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও জীবনধারা। সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম- দিকের ছোটগল্প মাস্টারদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তাকে আলেকজান্ডার পুশকিন, প্রসপার মেরিমে, ই টি এ হফম্যান, এডগার এলান পো ও নাথানিয়েল হার্থানে পাশাপাশি রাখা হয়।
তিনি নিকোলাই গোগোল; যাকে আধুনিক রুশ উপন্যাসের পথিকৃৎ বলে গণ্য করা হয়।
রাশিয়ার জাতীয় সাহিত্যের উৎপত্তিতে গোগোলের নাম আসে বরাবরই। গোগোল ছিলেন বিষণ্ণ প্রকৃতির একজন মানুষ। ৪৩ বছরের ছোট জীবনে তিনি যত লেখা উপহার দিয়েছেন, তাতে এই বিষণ্ণতার আভাস মেলে।
ইউক্রেনীয় বংশোদ্ভূত এই রুশ লেখকের পুরো নাম নিকোলাই ভাসিলিয়েভিচ গোগোল। অনেক লেখাতেই প্রভাব পড়েছে তাঁর ইউক্রেনীয় সংস্কৃতির।
গোগোলের সবচেয়ে খ্যাত রচনা হলো ‘মৃত আত্মা’ (ডেড সোলস), যাকে গণ্য করা হয় আধুনিক রুশ উপন্যাসের পথিকৃৎ হিসেবে। এই উপন্যাসের দ্বিতীয় খণ্ডটিও লেখা হয়েছিল, যা নিজ হাতে পুড়িয়ে ফেলেন গোগোল।
লেখালেখিই ছিল তাঁর একমাত্র জীবিকা। মাত্র ৪৩ বছরের জীবনকালে তিনি সৃষ্টি করেছেন অনেক সাহিত্যকর্ম। নাটক, ছোটগল্প, উপন্যাস লিখেছেন বিশ্বমানের।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছেঃ ‘ইভেনিংস অন এ ফার্ম নিয়ার ডিকাঙ্কা’ (১৮৩১-১৮৩২), ‘মিরগোরোদ’ (১৮৩৫), ‘দ্য ওভারকোট’ (১৮৪২), ‘দ্য ইন্সপেক্টর জেনারেল’ (১৮৩৬), ‘ডেড সোলস’ (১৮৪২)।
অকালপ্রয়াত এই লেখকের মৃত্যু হয় ১৮৫২ সালের ৪ মার্চ রাশিয়ার মস্কোতে। দেশটির নভোদেভিচি সেমেট্রিতে আছে তাঁর সমাধিস্থল— যা দেখার জন্য এখনও প্রতিনিয়ত ভিড় জমায় অগণিত পাঠক-ভক্ত।
নিকোলাই গোগোল ১৮০৯ সালের আজকের দিনে (৩১মার্চ) ইউক্রেনে জন্মগ্রহণ করেন।
Be First to Comment