মোল্লা জসিমউদ্দিন : কলকাতা, ১৭ জুলাই, ২০২১। গত ১৫ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে চলে নারদা মামলায় মুখ্যমন্ত্রী – আইনমন্ত্রীর হলফনামা সংক্রান্ত শুনানি। আজ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সওয়াল-জবাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এই মামলায় পদক্ষেপ গ্রহণ গুলি যথাযথ নয় বলে জানান।সেইসাথে ৫০০০ টাকা আর্থিক জরিমানা জমা দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েদেন তিনি।এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১৬ আগস্ট। গত জুন মাসের শেষের দিকে কলকাতা হাইকোর্ট নারদায় তিন পক্ষভুক্তদের পাঁচ হাজার টাকার আর্থিক জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিল।পাশাপাশি সিবিআই কে হলফনামা পেশে ১০ দিন সময় ধার্য করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ওইদিন কলকাতা হাইকোর্ট নারদায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর তিন পক্ষভুক্ত অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, এবং রাজ্য সরকারের হলফনামা গ্রহণ করে থাকে । তবে প্রত্যেকের ৫ হাজার টাকার জরিমানা নিয়ে।যা রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির কাছে জমা দিতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে নারদায় পক্ষভুক্ত মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী সহ রাজ্যের হলফনামা সংক্রান্ত পিটিশনের রায়দান ঘটেছিল । গত শুনানি পর্বে রাজ্যের আইনজীবীর কাছে আদালত জানতে চেয়েছিল – ‘ কেন সঠিক সময়ে হলফনামা জমা পড়লো না? আইন তো সবার জন্য এক।এক ব্যক্তির জন্য আলাদা আইন তো হতে পারেনা’? তবে রাজ্যের আইনজীবী জানিয়েছেন – ‘ গত ২ জুন এই মামলায় সিবিআই সওয়াল শেষ করেছে।রাজ্য ৭ ই জুন হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল। যেহেতু আইনশৃঙ্খলা সহ নিরাপত্তা রাজ্যের বিষয়। তাই রাজ্য কে এড়িয়ে যাওয়াটা ঠিক নয়’।অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর আইনজীবী জানিয়েছেন শুনানিতে -‘ হলফনামা জমা না নিলে কিভাবে এই মামলায় পক্ষভুক্তদের অবস্থান জানা যাবে? ‘ রাজ্যের বক্তব্য পেশে বাধা দিলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে আইনজীবী কে আদালত প্রশ্ন করে – ‘ রাজ্য সরকারের বক্তব্য শুনতে আপনাদের বাধা কোথায়? যদি হলফনামা নিয়ে বক্তব্য থাকে তাহলে পরবর্তী শুনানিতে বিষয়টি তুলবেন ‘। গত শুনানিতে মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের দাখিল ‘হলফনামা’ সংক্রান্ত শুনানি চলেছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে হলফনামা জমা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্ট কে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে – ‘মূল মামলা ( স্থানান্তরিত) এর শুনানি পরে হবে, আগে হবে হলফনামা সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি ‘। গত ৯ জুন কলকাতা হাইকোর্টের তরফে হলফনামা গ্রহণ না করা কে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন নারদায় সিবিআইয়ের পক্ষভুক্ত মুখ্যমন্ত্রী সহ আইনমন্ত্রী। গত শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত কলকাতা হাইকোর্ট কে নারদা মামলায় পক্ষভুক্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী সহ রাজ্যের হলফনামা জমা নিতে নির্দেশ দেয়। কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে। তার আগে অর্থাৎ ২৮ জুনের মধ্যে এই হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন জানাতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেইমতন কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে হলফনামা জমা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা। উল্লেখ্য, গত ৯ জুন কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে নারদা মামলায় তদন্তকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআইয়ের পক্ষভুক্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ আইনমন্ত্রীর হলফনামা জমা নেইনি আদালত। যদিও আরেক পক্ষভুক্ত তৃনমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিপূর্বে তাঁর হলফনামা দাখিল করেছেন। গত ৯ জুন কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ হলফনামা জমা না নেওয়ার কারণ হিসাবে জানিয়েছিল – ‘ নারদা স্থানান্তরিত মামলায় এক পক্ষ সওয়াল-জবাব শেষ করেছে।তাই নুতন করে হলফনামা জমা নিলে ফের আলোচনা করতে হবে’। যদিও রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানিয়েছেন – ‘ আদালতের নিয়ম অনুযায়ী এক মাসের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়া যায়’। কলকাতা হাইকোর্টের হলফনামা জমা না নেওয়া কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গত ২৫ জুন সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই আবেদনের শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট কে হলফনামা জমা নিতে বলেছিল ২৮ জুনের মধ্যে। কেননা এই মামলার শুনানি ছিল ২৯ জুন।ওই শুনানির দিনে আগে হলফনামা বিষয়ক সওয়াল-জবাব চলবে বলে তার রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে মুখ্যমন্ত্রীর দায়ের করা মামলায় সংশ্লিষ্ট ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এই হেভিওয়েট মামলায় অব্যাহতি নিয়েছেন ।তাতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নুতন করে ডিভিশন বেঞ্চ করে দেন।বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর পরিবর্তে রয়েছেন বিচারপতি বিনীত সারন পাশাপাশি দীনেশ মাহেশ্বরী রয়েছেন ডিভিশন বেঞ্চের অপর বিচারপতি হিসাবে। গত সপ্তাহে এই বেঞ্চে এই মামলাটি উঠলেও কোন নির্দেশিকা জারি করা হয় নি।তবে সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্ট কে অনুরোধ করেছিল,যাতে এই মামলার কোন শুনানি যেন তারা না করে থাকে। তাতে কলকাতা হাইকোর্ট সুপ্রিম অনুরোধ মেনে কোন শুনানি চালায় নি। এর আগে অবশ্য শুনানির সময় মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী রাকেশ ত্রিবেদীর সাথে সিবিআইয়ের আইনজীবী সলিটর জেনারেল তুষার মেহতার তারিখ পাওয়া নিয়ে তর্ক বিতর্ক লেগে গিয়েছিল ।সিবিআইয়ের আইনজীবীর যুক্তি ছিল – ‘কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় মধ্যভাগে রয়েছে। দুপক্ষের সওয়াল-জবাব শেষ হয়েছে। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা শুরুই করেনি’।তাই কলকাতা হাইকোর্টের শুনানির পক্ষে মতব্যক্ত করেছিলেন সলিটর জেনারেল।সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্ট কে সিবিআইয়ের তরফে পক্ষভুক্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সহ আইনমন্ত্রীর হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দেয়। ২৮ জুনের মধ্যে এই হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন জানাতে হবে পক্ষভুক্তদের কে। ২৯ জুন এই হলফনামা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে রয়েছে শুনানি। হলফনামা দাখিল হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের পক্ষে গত মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে দাখিল হলফনামার শুনানি চলেছিল।দুপক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর হলফনামা নিয়ে রায়দান স্থগিত রেখেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে হলফনামা গ্রহণ হয় সিবিআইয়ের পক্ষভুক্তদের।তবে ৫ হাজার টাকার জরিমানা দিতে হবে তিন পক্ষভুক্তদের কে।সিবিআই কে ১০ দিন সময় ধার্য করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট এর বৃহত্তর বেঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী আইনমন্ত্রীর আইনজীবীরা জানিয়ে দেন তারা আর্থিক জরিমানা জমা দিয়েছেন। আগামী ১৬ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
নারদায় আর্থিক জরিমানা জমা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী আইনমন্ত্রীর আইনজীবীরা, শুনানি ১৬ আগস্ট…….।
More from GeneralMore posts in General »
- Narayana Hospital, Barasat, Saves a Stroke Patient with Successful Rare Heart Tumour Surgery….
- TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘সর্বনাশা স্যালাইন?….
- The British Council announce GREAT scholarships 2025 for Indian students – 26 scholarships offered for Indian students in 2025….
- 44th Annual Meeting of The Indian Association for Cancer Research (IACR)” and International Conference on “Convergence of Fundamental and Translational Approaches in Cancer Theranostics….
- Alumni Association of APC Ray Polytechnic celebrates 75th Anniversary (Diamond Jubilee0 of the college along with their 21st Reunion….
- কেন্দ্রীয় অর্থ ছাড়া গঙ্গাসাগরের পৌরাণিক মাহাত্ম্য পূর্ণ মহর্ষি কপিল মুনির সাধনার স্থলের এই ঐতিহ্য রক্ষা করা যাবে না – স্বামী পরমাত্মানন্দ….।
Be First to Comment