নিউজ স্টারডম: কলকাতা, ১৮ই জানুয়ারী, সদ্যপ্রয়াতা বিশিষ্ট লেখিকা নবনীতা দেবসেনের স্মৃতিচারণায় ‘দ্য বেঙ্গল’এবং ভারতের প্রথম মহিলা পরিচালিত প্রকাশনা সংস্থা ‘জুবান’ এর যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার আই সি সি আর এ আয়োজিত হল এক স্মরণসন্ধ্যা। প্রথিতযশা এই লেখিকা কলকাতার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘দ্য বেঙ্গল’ এর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বিশিষ্ট শিল্পী যোগেন চৌধুরী, অন্তরা দেবসেন, নন্দনা দেবসেন এবং পদ্মশ্রী উর্বশী বুটালিয়া-র উপস্থিতিতে এইদিন নবনীতা দেবসেনের ইংরাজীতে অনুদিত ‘চন্দ্রাবতীর রামায়ণ’ বইটির প্রকাশ করা হয়। বসন্ত কন্নাবিরণ, সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায়, অঞ্জুম কাটিয়াল, নিরুপমা দত্ত, রাকা দাশগুপ্তা, সেবন্তী ঘোষ, মেহুল দেবকলা, সম্রাজ্ঞী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শ্রীজাত প্রমুখ বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিকগণ নিজ নিজ রচনা পাঠের মাধ্যমে সদ্যপ্রয়াতা লেখিকা কে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। “কবি, লেখিকা, শিক্ষিকা, সর্বোপরি বন্ধু নবনীতার স্মৃতি আমায় আবেগপ্রবণ করে তোলে। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্পনের জন্য তিন বছর অন্তর ভারতের বিশিষ্ট সাহিত্যিকদের নিয়ে এইরকম স্মরণসন্ধ্যা আয়োজিত হবে” জানান শিল্পী যোগেন চৌধুরী।অন্তরা দেবসেন তাঁর মায়ের স্মৃতিচারণা প্রসঙ্গে জানান নবনীতা দেবসেন, বাল্মীকি ও চন্দ্রাবতী উভয়ের লেখা রামায়ণ নিয়ে সুদীর্ঘ গবেষণা করেছেন। “সুপ্রাচীণ বাংলার বলিষ্ঠ লেখিকা চন্দ্রাবতী দেবীর জীবন ও তাঁর রচনা মায়ের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। এমনকি আমার মায়ের পিতামহীর সাহিত্যর্চার ক্ষেত্রেও চন্দ্রাবতী দেবীর প্রভাব ছিল লক্ষ্যণীয়” স্মৃতিচারণায় জানান নন্দনা দেবসেন। চন্দ্রাবতী দেবী সপ্তদশ শতকের বাংলার অন্যতম প্রথম ওপ্রধান মহিলা সাহিত্যিক হিসাবে পরিচিত। তাঁর নরীপ্রধান রচনা তৎকালীন পুরুষতান্ত্রিক সমাজে যুগেপেক্ষা আধুনিক ও বলিষ্ঠ ছিল। তিনি সীতার দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে রামায়ণ-কে নতুন আঙ্গিকে ব্যাখ্যা করেন। ‘চন্দ্রাবতীর রামায়ণ’ বাংলায় লেখা হয়েছিল, নারীর জবানীতে। ‘দ্য বেঙ্গল’ এর প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষা নবনীতা দেবসেন সারাজীবন নারীশক্তির বিকাশে আগ্রহী ছিলেন। চন্দ্রাবতী দেবীর রচনা আরও বিপুল সংখ্যক পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নবনীতা দেবসেন এই উদ্যোগ নেন। সম্পুর্ণ মহিলা পরিচালিত প্রকাশনা সংস্থা ‘জুবান’ এর প্রচেষ্টায় ভারত তথা বাংলার দুই শক্তিশালী মহিলা-সাহিত্যিকের স্বপ্ন সার্থক হল ‘চন্দ্রাবতীর রামায়ণ’ প্রকাশের মাধ্যমে।
নবনীতা দেব সেনের স্মৃতিচারণায় ‘দ্য বেঙ্গল’ ও ‘জুবান’ এর যৌথ উদ্যেগ…..
More from GeneralMore posts in General »
- Navigating End-Stage Kidney Failure: Choosing Between Dialysis and Transplant for a Better Life….
- ‘রঙ দাও হে রঙিলা’ সঙ্গীত ভিডিওর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন…।
- চেন্নাইয়ের বিশ্বখ্যাত লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হাসপাতাল, রেলা হাসপাতাল, কলকাতায় তাদের প্রথম লিভার রান সফলভাবে আয়োজন করেছে, যার লক্ষ্য লিভারের অসুখ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা….।
- প্রেস রিলিজ লিভারের অসুখ সারাতে ১০০০ জনেরও বেশি লিভার রোগী, পরিবার এবং জনসাধারণ দৌড়লেন এই লিভার রানে ১৫০ জনেরও বেশি লিভার রোগী এবং তাঁদের পরিবার অংশগ্রহণ করেন। এই লিভার রান আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন রেলা হাসপাতালের সিইও ডাঃ ইলানকুমারন কালিয়ামূর্তি, যিনি এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে তাঁর সহায়তা দান করেন। এই যুগান্তকারী অনুষ্ঠানের লক্ষ্য হল লিভার রোগী, তাঁদের পরিবার এবং জনসাধারণকে একসাথে এনে চিকিৎসা তহবিল সংগ্রহ এবং লিভারের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই লিভার রানে ২.৫ কিমি, ৫ কিমি এবং ১০ কিমি, এই তিনটি বিভাগে অংশ ছিল, যেগুলিতে সবধরনের ফিটনেস স্তরের অংশগ্রহণকারীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২.৫ কিলোমিটার বিভাগটি মূলত হাসপাতালের লিভার রোগীদের জন্য, যা তাঁদের প্রচুর সহ্যশক্তি, শুরুতেই দ্রুত শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। ৫ কিমি এবং ১০ কিমি বিভাগগুলি সাধারণ জনগণের জন্য, যা সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এই মহৎ উদ্দেশ্যে সমর্থন জানাতে একসাথে হতে উৎসাহ দেয়। এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলতে গিয়ে, রেলা হাসপাতালের সিইও ডাঃ ইলানকুমারন কালিয়ামূর্তি বলেন, “কলকাতায় আমাদের প্রথম লিভার রান শুরু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্ববোধ করছি। এই অনুষ্ঠানটি আমাদের লিভার রোগী, তাঁদের পরিবার এবং সমাজকে লিভার রোগ, লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান, অঙ্গদানের তাৎপর্য এবং প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি যৌথ লক্ষ্যে একত্রিত করার সুযোগ করে দেয়।” রেলা হাসপাতালের হেপাটোলজি বিভাগের ডিরেক্টর ডাঃ দীনেশ জোথিমানি বলেন, “লিভারের রোগ বিশ্ব জুড়ে ক্রমশ বেড়ে চলা স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তার বিষয়, সারা বিশ্বে ৮০ কোটিরও বেশি মানুষ কোনও না কোনও ধরণের লিভারের রোগে ভুগছেন। কেবলমাত্র ভারতেই, আনুমানিক ৩০% জনসংখ্যা ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত। এটি মূলত জনসাধারণের মধ্যে খুব কম শারীরিক শ্রমের জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত। উদ্বেগের বিষয়, লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সার এখন দেশে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি। শুরুতেই দ্রুত রোগনির্ণয় এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলে জীবনের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে পারে এবং ‘দ্য লিভার রান’-এর মতো ইভেন্টগুলি সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবং লিভারের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” এই লিভার রানের উদ্দেশ্য হল লিভারের রোগ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কলকাতা, ৯ মার্চ ২০২৫: চেন্নাইয়ের বিশ্বখ্যাত লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হাসপাতাল, রেলা হাসপাতাল, কলকাতায় তাদের প্রথম লিভার রান সফলভাবে আয়োজন করেছে, যার লক্ষ্য লিভারের অসুখ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা….।
- অশোক আখড়া এক ব্যায়াম মন্দিরের আয়োজনে ন্যাশনাল আয়রন লিফটিং আর্ম ফাইটিং ও গ্রিক গড শের ই হিন্দুস্থান ২০২৫…।
- নারী স্বাধীনতা ও নারীবাদে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়….।
Be First to Comment