নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ৭ অক্টোবর, ২০২৪ – সংস্কৃতি এবং সহানুভূতির এক অসাধারণ উদযাপনে, জগন্নাথ গুপ্ত ইন্সটিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটাল প্রান্তিক শিশুদের জন্য এক হৃদয়গ্রাহী দুর্গাপূজা প্যান্ডেল পরিক্রমার আয়োজন করে, যা শিশুদের জীবনে নিয়ে এলো আনন্দ এবং উচ্ছ্বাস। দুর্গাপূজার এই বিশেষ অভিযানের শিরোনাম ছিল “দুর্বার সাথে দুর্গা,” যেখানে এই শিশুরা কলকাতার প্রাণবন্ত এবং বিখ্যাত প্যান্ডেলগুলি পরিদর্শন করে, যা পার্ক সার্কাসের উদীপনী ক্লাব থেকে শুরু হয়ে সমাজ সেবী সংঘে শেষ হয়।
খুশিতে ভরপুর পরিবেশে জগন্নাথ গুপ্ত ইন্সটিটিউটের স্বেচ্ছাসেবক এবং কর্মীদের সঙ্গে শিশুদের আনন্দময় যাত্রা শুরু হয়। তারা একের পর এক প্যান্ডেল পরিদর্শন করে যেমন, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি ২১ পল্লী, একডালিয়া, সিংহী পার্ক, হিন্দুস্তান পার্ক, ত্রিধারা, এবং বালিগঞ্জ কালচারাল—প্রতিটি প্যান্ডেল তাদের শিল্পসৌকর্য এবং সাংস্কৃতিক বৈভবের মাধ্যমে শিশুদের অভিজ্ঞতাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
জগন্নাথ গুপ্ত ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান শ্রী কৃষ্ণ কুমার গুপ্ত এই অনুষ্ঠানে তাঁর আন্তরিক অনুভূতি প্রকাশ করেন বলেন, “এই শিশুদের জীবনে আনন্দ এনে দেওয়াই আমাদের প্রেরণা। এই উদ্যোগ শুধুমাত্র প্যান্ডেল পরিদর্শনের জন্য নয়, এটি তাদের মধ্যে আশার আলো জ্বালানো এবং তাদের জন্য কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত তৈরি করার উদ্দেশ্যে।” তাঁর কথায় ইনস্টিটিউটের মিশন প্রতিফলিত হয়, যা প্রতিটি শিশুর মধ্যে স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষা লালনের গুরুত্বকে তুলে ধরে।
এই অনুষ্ঠানটি ছিল এক বিশাল সাফল্য, যা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, সম্প্রদায়, সহানুভূতি এবং দুর্গাপূজার আনন্দময় মনোভাবের শক্তি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। জগন্নাথ গুপ্ত ইন্সটিটিউট এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে, এবং নিশ্চিত করে যে দুর্গাপূজার উৎসবগুলি সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং তাৎপর্যপূর্ণ হয়।
শিশুদের মুখে হাসি এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া তাদের সময় একটি স্থায়ী বন্ধন তৈরি করেছে, যা দেখিয়েছে যে যখন সবাই একসঙ্গে আসে, তখন তারা সমাজের সীমানা অতিক্রম করে আশা এবং আনন্দের এক সুন্দর ছবি তুলে ধরতে পারে। এই উদযাপনটি শুধুমাত্র জগন্নাথ গুপ্ত ইন্সটিটিউটের একটি অনুষ্ঠান ছিল না, এটি ছিল একটি প্রতিশ্রুতি—একটি প্রতিশ্রুতি যে প্রতিটি শিশু, তাদের পটভূমি যাই হোক না কেন, তাদের সংস্কৃতির সৌন্দর্য এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে যাওয়ার সুযোগ পাবে।
Be First to Comment