শরদিন্দু টিকাদার : ইন্সপেক্টর, কলকাতা পুলিশ : ১৩, অক্টোবর, ২০২০। ধর্ম কি বিশ্বব্যাপী সাধারণ মানুষকে “করোনা” মহামারির হাত থেকে বাঁচাতে পারে? উত্তর হচ্ছে — পারে না। –কিন্তু “প্রার্থনা” আপনার মনের শান্তি স্থিরতা মানসিক জোর বাড়িয়ে দিতে পারে–ব্যাস। গায়ক এস পি বালাসুভ্রমনিয়ম (হিন্দু) ধর্মাম্বলী ছিলেন। সুরকার ওয়াজিদ (মুসলিম) ধর্মাম্বলী ছিলেন।

গায়ক ও আমার বিশেষ প্রিয় বন্ধু সমশের রাজ হরজিৎ সিং (শিখ)শিখ সম্প্রদায়ের ছিলেন। প্রিয় দাদা সেন্ট জেভিয়ার্স এর আধিকারিক প্রদীপ বিশ্বাস (খ্রিস্টান) ধর্মাম্বলী ছিলেন। এনারা প্রত্যেকেই ভীষণ ধার্মিক ও ধর্ম বিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু “করোনা” মহামারী এদের মৃত্যুর একমাত্র কারন। দূর্গা পুজোয় আপনি ঠাকুর দেখুন আর নাই দেখুন “পুলিশ” তার সম্পূর্ণ ডিউটি করবেই। আমি বেঁচে থাকলে উৎসব হবে বারংবার প্রতি বছর, পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে ঠাকুর দেখার নামে অযাচিত ভয়ঙ্কর প্রাণঘাতী রোগের মুখে ছেড়ে দেওয়ার নাম বেইমানি (শত্রুদের কাজ)।

ভিড়ের মধ্যে যে মুখে আইস্ক্রিম চুষবেন পুজোর পরে সেই মুখে যেন হসপিটালের অক্সিজেনের নল চুষতে না হয় সেই প্রার্থনা করি ঈশ্বরের কাছে। মুখে মাস্ক পরে দূরত্ব বিধি মেনে পাড়ার ঠাকুর দেখে বাড়ির টি ভি সেটে “পুজো পরিক্রমা” দেখুন আর নানান পদের ভূরিভোজে কব্জি ডুবিয়ে চরম আনন্দ করুন। আমি ও আমার পরিবার “করোনা” আক্রান্ত হয়ে এক ভয়ানক পরিস্থিতিকে অতিক্রম করতে পেরেছি। মনে রাখুন সরকার ও প্রশাসন সর্বতোভাবে নাগরিক সুরক্ষা ও পুজোর দিনগুলো যাতে নির্বিঘ্নে ও আনন্দময় কাটে তার জন্যে সর্বশক্তি নিয়ে আপনাদের পাশে আছে ও থাকবে।

—-কিন্তু সচেতনতা? মা দুর্গা দুর্গতী নাশিনী হুজুগে বাঙালি জাতির মঙ্গল করো মা ২০২১/২২/২৩/২৪/২৫/২৬/২৭/২৮ সাল আসবে দুর্গা “মা” স্বপরিবারে উৎসব নিয়ে আসবেন কিন্তু আপনি ?

Be First to Comment