সুজিত চট্টোপাধ্যায়
রাজ্যে তিনটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন, তিনটি আসনেই
জেতার ব্যাপারে নিশ্চিত বি জে পি। তাই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গলায় বিরোধীদের বিশেষ করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর শোনা গেল। সম্প্রতি বসিরহাটে লিভারেজ এন্টারপ্রাইজেসের উদ্যোগে আয়োজিত এন আর সি নিয়ে এক সেমিনারে বক্তব্য রাখতে হাজির ছিলেন দিলীপ ঘোষ, তিনি বলেন বাংলায় এন আর সি হবে কিনা সিদ্ধান্ত হয়নি। তার আগেই কাঁদুনি গাইতে মাঠে নেমে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুসলমানদের ভয় দেখানো ও মিথ্যা বোঝাচ্ছেন। দার্জিলিঙে গিয়ে গোর্খাদের ভয় দেখাচ্ছেন আসলে বি জে পি র বিপুল জনপ্রিয়তাই ওঁর ভয়ের কারণ।
কেন্দ্রীয় সরকার বা শীর্ষ আদালত যদি এ রাজ্যে এন আর সি করেন তবে আমরা সমর্থন করবো।ক্ষমতা থাকলে তৃণমূল আটকে দেখাক রাজ্যে তিরিশ শতাংশ মুসলিম ভোট পকেটে রাখতে বামেরা যেমন মুসলিমদের মন ভোলানো কথা বলে ভুল বুঝিয়েছিল, তৃণমূলও তাই করছে।
এই সেমিনারে অন্য দলগুলির তরফে ছিলেন বেশ কয়েকজন,যেমন ছিলেন বামপন্থী আইনবিদ সুব্রত মুখার্জি, কংগ্রেস নেতা ও আইনবিদ আমজাদ আলি, তৃণমূলের রাহুল চক্রবর্তী এবং ইউনাইটেড সোসালিস্ট পার্টির নেতা মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমান একদিকে মমতা ব্যানার্জির সমালোচনা করে বলেন, তিনি মুসলমানদের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে ভোটের স্বার্থে ব্যবহার করছেন। অন্যদিকে বি জে পি কে স্মরণ করিয়ে দেন, এন আর সি তে যদি একজন সঠিক ভারতীয় মুসলমানকে বিদেশী তকমা দেওয়া হয়, প্রাণ দিয়ে তারা তা রুখবেন।
প্রথম বক্তা বামপন্থী আইনবিদ সুব্রত মুখার্জি বলেন, এন আর সি করে আসলে বি জে পি ভোট বাক্সে হিন্দু – মুসলমান বিভাজন ঘটিয়ে ফায়দা লুটতে চাইছে। আগুন নিয়ে খেলার ফল ওরা দ্রুত পাবে। কংগ্রেসের আইনবিদ আমজাদ আলি আইনগত ব্যাখ্যা দিয়ে বি জে পি র এন আর সি করার সুদূরপ্রসারী অসৎ রাজনীতির ছবি তুলে ধরলেন।
সেমিনারের সঞ্চালক ছিলেন সাংবাদিক অর্কপ্রভ সরকার, বক্তাদের বক্তব্যের শেষে নিজের ভূমিকা পালন করতে গিয়ে বারবার তিনি এমন কিছু বলছিলেন যা সঞ্চালকের নিরপেক্ষ অবস্থানের বিপক্ষে। মাঝেমাঝে সেমিনারের বিষয়বস্তুর বাইরে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের স্তুতি করে বসেন।
Be First to Comment