Press "Enter" to skip to content

ডায়ানাকে বলা হতো পৃথিবীর সবচেয়ে খ্যাতিমান মহিলা। দান শীলতা, ফ্যাশন, সৌন্দর্য, এইডস রোগ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে তার অবদান এবং ভূমি মাইনের বিরুদ্ধে তার আন্দোলন তাকে বিখ্যাত করেছে………

Spread the love

——-স্মরণ : ডায়ানা, প্রিন্সেস অব ওয়েলস——-

বাবলু ভট্টাচার্য : নান্দনিক সৌন্দর্য আর এক চিলতে লাজুক হাসি দিয়ে পৃথিবীর সব প্রান্তের মানুষের নজর কেড়েছিলেন প্রিন্সেস ডায়ানা। লেডি ডায়ানা স্পেন্সার থেকে হয়েছিলেন রাজবধূ প্রিন্সেস ডায়ানা। তিনি পৃথিবীর সবার কাছে অভাবনীয় গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছিলেন রয়্যাল পরিবারের যে কোনো সদস্যের চেয়েও অনেকগুণ বেশি। লেডি ডায়ানা ফ্রান্সেস স্পেন্সার এবং বিয়ের পরে তার নাম দেয়া হয় ডায়ানা ফ্রান্সেস মাউন্টব্যাটেন-উইন্ডসর। ডায়ানা ছিলেন যুবরাজ চার্লসের প্রথম স্ত্রী এবং ১৯৮১ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের যুবরাজ্ঞী। তার ছেলে রাজপুত্র উইলিয়াম ও হ্যারি। ব্রিটিশ মসনদের উত্তরাধিকারীদের তালিকায় যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয়। ১৯৮১ সালে বিয়ের পর থেকে ১৯৯৬ সাল অর্থাৎ বিয়ে বিচ্ছেদ পর্যন্ত তাকে ‘হার রয়েল হাইনেস দ্য প্রিন্সেস অব ওয়েলস’ বলে সম্বোধন করা হতো। এর পরে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের আদেশ ক্রমে তাকে শুধু ডায়ানা, প্রিন্সেস অব ওয়েলস বলে সম্বোধনের অনুমতি দেয়া হয়।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ডায়ানার পরিচিতি ব্যাপক। তিনি দানশীলতার জন্য খ্যাত ছিলেন। কিন্তু তার এই দাতব্য কার্যক্রম ঢাকা পড়ে যায় বিভিন্ন কেলেঙ্কারির গুজবে, যার মধ্যে ছিল তার বিয়ে সংক্রান্ত কাহিনি। চার্লসের সঙ্গে ডায়ানার বিয়ে সুখে শান্তিতে কাটেনি। নব্বইয়ের দশকে ডায়ানার প্রেমের কাহিনি সারা বিশ্বের পত্রপত্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে। চার্লসের বিশ্বাসঘাতকতাসহ নানা কারণে অবশেষে ১৯৯৬ সালে তাদের বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে।চার্লসের সঙ্গে ১৯৮১ সালে বাগদানের পর থেকে ১৯৯৭ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ডায়ানাকে বলা হতো পৃথিবীর সবচেয়ে খ্যাতিমান মহিলা। ফ্যাশন, সৌন্দর্য, এইডস রোগ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে তার অবদান এবং ভূমি মাইনের বিরুদ্ধে তার আন্দোলন তাকে বিখ্যাত করেছে। তার জীবদ্দশায় ডায়ানাকে বলা হতো বিশ্বের সর্বাধিক আলোকচিত্রিত নারী। অবশ্য সমালোচকদের মতে এই খ্যাতি এবং খ্যাতির জন্য প্রচেষ্টাই ডায়ানার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

৩১ অগাস্ট ১৯৯৭। প্যারিসের বিলাসবহুল রিটজ হোটেলে এভাবেই শেষ দেখা গিয়েছিল ইংল্যান্ডের যুবরাণীকে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটে গিয়েছিল সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। প্যারিসের এক সুড়ঙ্গে মিলেছিল যুবরাণীর তালগোল পাকানো গাড়ি। যে অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা সুন্দরীর দেহ, তারপর তাকে সনাক্ত করাও ছিল অত্যন্ত কঠিন কাজ।

১৯৯৭ সালের আজকের দিনে (৩১ আগস্ট) ফ্রান্সের প্যারিস শহরে ডায়ানা ও তার প্রেমিক দোদি ফায়েদ এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.