গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ২০, সেপ্টেম্বর, ২০২০। গত বছর ২০১৯ এ চীন দেশ থেকে শুরু হওয়া বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর প্রভাব থেকে পৃথিবী তথা আমাদের দেশ ও করোনার মৃত্যুর ছোবল থেকে আজও মুক্ত হতে পরেনি। আমাদের রাজ্য তথা শহর কলকাতায় যে কটা হাতে গোনা করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল আছে তাদের মধ্যে অন্যতম মানিকতলা অঞ্চলের জে. এন. রায় হাসপাতাল। এই হাসপাতালের বিশেষতঃ হলো অত্যন্ত নূন্যতম খরচে সাধারণ মানুষের কাছে সু চিকিৎসার পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। আজ এই হাসপাতালে সাধারণ মানুষের শরীরের ইমুইনিটির কথা ভেবে মাত্র ৫০০/- টাকার বিনিময়ে কোভিড-১৯ ইমুইনিটি টেস্ট এর আয়োজন করা হয়। এই পরীক্ষার একটাই উদ্যেশ্য যে মানুষের রক্তের ইমুইনিটির টেস্ট করা হলো তিনি আগামী দিনে কোভিডে-১৯ এ কতটা আক্রান্ত হতে পারেন তার একটা সম্ভাব্য ধারণা তৈরি করা। আজ ২১জন মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ এর সম্ভবনা আছে কিনা তার পরীক্ষা করা হলো। বহু মানুষ জে. এন. রায় করোনা হাসপাতাল বলে আতঙ্কে রক্তের পরীক্ষা করাতে আসেন নি। যদিও গত তিনমাসে কয়েক হাজার মানুষের করোনা টেস্ট করেছি। একটা কথা বিশেষ ভাবে বলতে চাই তা হলো এই হাসপাতাল দীর্ঘ বছর ধরে নূন্যতম খরচে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে আসছেন। এই করোনা চিকিৎসার জন্য অন্যান্য হাসপাতালে যেখানে দশ লাখ টাকার বেশি খরচ হচ্ছে এখানে সেই খরচ দীর্ঘদিন থাকার পরেও রোগীর পরিবারের পকেটে টান পড়ছে না।
এই করোনা চিকিৎসা পরিষেবা সম্পর্কে জে. এন. রায় হাসপাতালের অন্যতম ডিরেক্টর শুভ্রাঙশু ভক্ত জানালেন আমাদের হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য ডায়ালিসিস এর ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া আমাদের হাসপাতালে সর্বমোট ৩৫ শয্যা বিশিষ্ট করোনা রোগীদের জন্য বিশেষ শয্যার ব্যবস্থা আছে। কোভিড সাধারণ বেড ১৯ টি। আই. সি. ইউ বেড ১০ টি এবং কোভিড -১৯ ভেন্টিলেশন বেড ৬ টি। আমাদের এই হাসপাতালে করোনা রোগীদের সুস্থতার হার নজর কাড়া। এই হাসপাতালে সল্পমূল্যে সব ধরণের চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। এমন কি ক্যান্সার রোগীদের জন্য অন্যান্য হাসপাতালের চেয়েও নূন্যতম খরচে চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই হাসপাতালের পরিচালন সমিতির অন্যতম প্রধান ব্যক্তি ডিরেক্টর সজল ঘোষ জানালেন বহু নিম্নবিত্ত ও দুঃস্থ রোগীদের অনুরোধে নানাবিধ ছাড় দিয়ে পরিষেবা দিতে হয়। আমাদের হাসপাতালে সব ধরণের সুবিধা থাকলেও কর্পোরেট বড় হাসপাতালের মতো চার্জ নেওয়া হয় না। কারণ সেবাই যে আমাদের মূল মন্ত্র।
Be First to Comment