Press "Enter" to skip to content

জীবনের একটা বড় অংশ তিনি কাটিয়েছেন থিয়েটার নাট্যমঞ্চে। অভিনয়ের পর সিনেমায় পা রাখা.. এরপর অবশ্য আর ফিরে তাকাতে হয়নি প্রখ্যাত এই অভিনেতাকে। চিন্ময় রায়ের প্রথম ছবি ‘গল্প হলেও সত্যি’………।

Spread the love

জন্মদিনে স্মরণঃ চিন্ময় রায়

বাবলু ভট্টাচার্য : ‘চারমূর্তি ‘ ছবিত একটা প্রকাণ্ড ‘হাঁ’ করে মাছের মাথা কামড়ানোর চেষ্টা.. কিংবা ‘ধন্যিমেয়ে’ ছবিতে আইনজীবী হয়েও তাঁকে উত্তম কুমার ‘বেআইনী’ বলে ডাকলেই এক অসামান্য অভিব্যক্তি নিয়ে সাড়া দেওয়া.. সব কিছুতেই চিন্ময় রায়ের জায়গায় আর কাউকে ভাবতে পারেনি বাঙালি। আর এখানেই তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব, এখানেই তিনি ‘চিন্ময় রায়’।

জীবনের একটা বড় অংশ তিনি কাটিয়েছেন থিয়েটার নাট্যমঞ্চে। অভিনয়ের পর সিনেমায় পা রাখা.. এরপর অবশ্য আর ফিরে তাকাতে হয়নি প্রখ্যাত এই অভিনেতাকে। চিন্ময় রায়ের অভিনয় জগতের শুরুই থিয়েটার ও নাট্যদলের সঙ্গে। নান্দীকারের প্রথম ভাঙন তিনি নিজের চোখে দেখেছিলেন। নিজের আত্মজীবনীতে তিনি লিখেও ছিলেন নান্দীকার ছেড়ে দেওয়াটা তার জীবনের ভুল। এরপর শুরু করেন নাট্য ওয়ার্কশপ। তবে তার পরেও বহুবার অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে না থাকার জন্য আফসোস করে গিয়েছিলেন চিন্ময় রায়।

চিন্ময় রায়ের প্রথম ছবি ‘গল্প হলেও সত্যি’। আত্মজীবনী ‘যে জীবন ফড়িংয়ের’তে লিখেছিলেন ম্যাট্রিকুলেশনে থার্ড ডিভিশনে পাশ করা এক ছেলেকে এভাবে বাঙালি দর্শক যে আপন করে নেবে, জনপ্রিয়তায় ভাসিয়ে দেবে, তা কখনওই ভাবতে পারেননি তিনি।

স্ত্রী জুঁইয়ের বিষয়ে তিনি যে রক্ষণশীল ছিলেন একটু তা টলি পাড়ায় অনেকেই বলে থাকেন। ‘ননীগোপালের বিয়ে’ ছবিটিতে শ্যুটিং এর সময় জুঁইকে তিনি প্রেম নিবেদন করেন। এরপর বিয়ে। তবে জুঁইকে হারিয়ে তিনি বেশ খানিক বছর অবসাদে ভুগেছিলেন। এরপর সংসার এগিয়েছে। তার মেয়ে বর্তমানে চেন্নাই নিবাসী।

নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সৃষ্ট টেনিদার চরিত্র সিনেমার পর্দায় অসামান্য পারদর্শিতায় ফুটিয়ে তুলে ছিলেন চিন্ময় রায়। শুধু তাই নয়, সত্যজিৎ রায়ের ‘ গুপী গাইন বাঘা বাইন’ ছবি, এছড়াও রবি ঘোষ, জহর গঙ্গোপাধ্যায়, উত্তম কুমারের সঙ্গে ‘ধন্যি মেয়ে’, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘বসন্ত বিলাপ’, ‘ননীগোপালের বিয়ে’-এর মতো একাধিক ছবিতে মন দর্শকের মনে জায়গা করে নেন বাঙালির চিন্ময় রায়।

তপন সিংহ পরিচালিত গল্প হলেও সত্যি ছবিতে তার অভিনয় সবার মনে দাগ কেটে যায়। এছাড়াও ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘বসন্ত বিলাপ’, ‘চার মূর্তি’, ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘হাটেবাজারে’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ননী গোপালের বিয়ে’, ‘ঠগিনী’র মতো বহু বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।

২০১৯ সালের ১৭ মার্চ নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

চিন্ময় রায় ১৯৪০ সালের আজকের দিনে (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশের কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন।

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.