জিও কিং এন্ড কুইন কলকাতার ফিনালে তে আরবাজ খান….

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় – বিকিনি প্রতিযোগিতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতা শুরু হয়। যে প্রতিযোগিতাকে ক্লোনিং রে মিস ইউনিভার্সসহ বেশকিছু প্রতিযোগিতা শুরু হয়।মূলত নারীদেহের সৌন্দর্য্য কে পুঁজি করে এইসব সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতার চল শুরু হয়। ১৯৮০তে এই প্রতিযোগিতাগুলিতে সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি বুদ্ধিমত্তা ও ব্যাক্তিত্বকে প্রাধান্য দেওয়া শুরু। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে প্রতিযোগিতাকে জনপ্রিয় করে তুলতে সেইসব দেশের সুন্দরীদের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু হয়। আমাদের দেশের রিতা ফারিয়া ,যুক্তামুখী ,সুস্মিতা সেন ,ঐশ্বর্য্য রাই পেয়েছেন বিশ্বস্বীকৃতি। ভারত এখন সুন্দরী প্রতিযোগিতায় মেতে আছে।
সম্প্রতি কলকাতার নিউ টাউনে এক বিলাসবহুল হোটেলের দরবার বাঙ্কোয়েটে অনুষ্ঠিত হলো জিও গুরু আয়োজিত জিও কিং এন্ডকুইন মিস্টার,মিসেস,ও মিস ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনালের গ্রান্ড ফিনালে। সাংবাদিকের সঙ্গে মুখোমুখি হলেন জিও গুরুর পক্ষে সুকন্যা গুপ্তা,সৌম্যজিৎ গাঙ্গুলি রাকেশ গুপ্তা এবং সঞ্চিতা গাঙ্গুলি। হাজির ছিলেন সঞ্চালক গায়ক অনিক ধর ও গায়িকা আর জে রূপসা।
এছাড়াও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বলিউড
সিনে সাম্রাজ্যের বিখ্যাত প্রযোজক পরিচালক আরবাজ খান,মডেল জর্জিয়া আন্দ্রিয়ানি ,সরোদবাদক পন্ডিত দেবজ্যোতি বোস, সুরেশ শেঠিয়া। ছিলেন গ্রূমিং এক্সপার্ট লিসা বর্মন। যিনি ভূতপূর্ব মিস ইন্ডিয়া মানসী চিল্লারকে গ্রূমিং করেছিলেন। ছিলেন সাওনি সোনি, গ্রূমিং এক্সপার্ট লিজা ঘোষ ,ডায়েটিশিয়ান বরুণ।
উদ্যোক্তাদের পক্ষে সুকন্যা গুপ্তা জানালেন ,প্রায় তিনহাজার প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে সেমি ফাইনালে উত্তীর্ণ হন একত্রিশ জন। কলকাতা,দিল্লি ,মুম্বাই ,ব্যাঙ্গালুরু ,লাখনৌ থেকে প্রতিযোগীরা অংশ নেন।সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় দুবাইতে। কলকাতার গ্রান্ড ফিনালেতে বিজয়ী হন মিস ক্যাটাগরিতে জেসমিন মিত্র ,মিসেস ক্যাটাগরিতে শিরিন আব্রাহাম এবং মিস্টার ক্যাটাগরিতে দেবব্রত শর্মা ঠাকুর। বিজয়ীরা অভিনয়, নৃত্য ও সংগীতে বছর ভর সুযোগ পাবেন গ্ল্যামার দুনিয়ায়। সেলিব্রেটি হয়ে ওঠার দরজা খুলে যাবে জিও গুরু সংস্থার সৌজন্যে।