ডঃ পি সি সরকার (জুনিয়র) বিশ্বখ্যাত জাদুশিল্পী ও বিশিষ্ট লেখক। ৮, জানুয়ারি, ২০২১। সুখবর। এর থেকে ভালো খবর আর হতে পারে না। বাবা বলতেন, জাদুবিদ্যা যতোই উন্নত শ্রেণীর আর্ট্
হোক না কেন, যতক্ষণ না পর্য্যন্ত এ শিক্ষিত মানুষের হাতে যাচ্ছে এবং সুশিক্ষার পরশ পাচ্ছে, ততক্ষণ সমাজ একে বুঝবে না, এর মূল্যও দেবে না। সমাজও অন্ধকারে , কুসংস্কারে থাকবে ডুবে। ম্যাজিক, ইউনিভার্সিটিতে পড়ানো উচিত। বোঝানো উচিত সবই বিজ্ঞান, সবই নাটুকে। তবে যে কেউ চাইলেই যে এই জাদুবিদ্যার ছাত্র বা ছাত্রী হতে পারবে, তা নয়। বাছাই করা উন্নত বিজ্ঞানমনস্ক, উঁচু চেতনার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কঠোরভাবে খোলা হতে হবে সেই কোর্স। যাতে সে এই বিদ্যা জেনে বিপথে না যায়, সমাজকে বিপদে না ফেলে। এই বিদ্যায় 'কৌশল' শেখানো হবে না, সেটা তো পয়সা খরচ করেই যন্ত্রটা কিনে করতে পারা যায়। বিদ্যে-বুদ্ধি লাগে না। শেখানো হবে উপস্থাপনা, নাটকীয়তা,
কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করার উপায়, রসদ। এতে যুক্তি, বুদ্ধির তীক্ষ্ণতা, আত্মপ্রকাশের উপায় ইত্যাদির উন্নতি হবে। মুখচোরা চরিত্র পাল্টাবে।
কেউ এগিয়ে আসেন নি। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে এসেছেন। কোর্স চালু হয়ে গেছে। M.A. 4th semester, Dramaর এক অংশ হিসেবে Illusion in Drama কোর্সে পড়ানো শুরু হয়ে গেছে। ফলে, ম্যাকবেথের প্রথম দৃশ্যের-ঐ উড়ন্ত ডাইনীদের দৃশ্য থেকে শুরু করে, কবিগুরুর কূরূপাকে সুরূপায় রূপান্তরিত করা, বা মদনের আকস্মিক আবির্ভাব, সবই ইচ্ছে করলে মঞ্চে দেখানো যাবে। পৃথিবীতে এই প্রথম প্রয়াস, ধীরে ধীরে আরও বড়ো ভাবে দেখা দেবে। আমার দ্বিতীয়া কণ্যে মৌবণী হয়েছে প্রথম জাদু-উপস্থাপনার অধ্যাপিকা। আমি পি সি সরকার জুনিয়র হচ্ছি প্রথম পরীক্ষক এবং সিলেবাস প্রস্তুত কারক।
জাদুবিদ্যার কোর্সের কথা শুনে প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট সুধীর ধর মহাশয় দুটো কাল্পনিক দৃশ্য এঁকেছেন। ছাপাও হয়েছে। এখানে আবার আপনাদের দেখতে প্রকাশ করলাম।
Be First to Comment