এক বছর পূর্ণ করল প্রাণবন্ত এই উদ্যোগ, সাথে সৌমেন’স ওয়ার্কআউট (নো মেশিন জোন)-এর ২৫ বছর পূর্তি উৎসব
নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ১৮ই মার্চ, ২০২৫: প্রসিদ্ধ ফিটনেস ও স্লিমিং সেন্টার সৌমেন’স ওয়ার্কআউট (নো মেশিন জোন) গর্বের সঙ্গে উদযাপন করল তাদের সর্বভারতীয় উদ্যোগ “জাগো ইন্ডিয়া জাগো ফিটনেস ক্যাম্পেইন”-এর প্রথম বর্ষপূর্তি। ১লা মার্চ, ২০২৪-এ যাত্রা শুরু করা এই ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্য ছিল ভারতের বাড়তে থাকা স্থূলতার সমস্যা রুখে মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবান ও সচেতন জীবনযাত্রার অভ্যাস গড়ে তোলা।
এই গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোনের সঙ্গে মিলেছে আরও একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত— সৌমেন’স ওয়ার্কআউট-এর রজতজয়ন্তী উৎসব, অর্থাৎ ২৫ বছরের ফিটনেস ও সুস্থ জীবনের প্রতি অঙ্গীকার পূর্ণ হওয়া। গত আড়াই দশকে প্রতিষ্ঠানটি এক সুস্থ ও শক্তিশালী কমিউনিটি গড়ে তুলেছে, যেখানে বিভিন্ন প্রজন্মের মানুষ টেকসই ও যন্ত্রবিহীন অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেদের জীবন বদলে ফেলেছেন।
“জাগো ইন্ডিয়া জাগো ফিটনেস ক্যাম্পেইন”-এর একটাই লক্ষ্য— স্থূলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে ভারতের প্রতিটি মানুষকে ফিটনেসমুখী করে তোলা। সকল বয়সের মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে, ফিটনেসকে যেন জীবনযাপনের অঙ্গ হিসেবে গড়ে তোলাই ছিল এই উদ্যোগের মূলমন্ত্র।
এক বছরের মধ্যেই ক্যাম্পেইনটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে— কলকাতা, দিল্লি, জয়পুর, মুম্বই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, ভুবনেশ্বর, জামশেদপুর, চেন্নাই, গুয়াহাটি, গোয়া, আহমেদাবাদ, অমৃতসরসহ ১৫টি প্রধান শহরে এটি সফলভাবে পরিচালিত হয়েছে। ৫ থেকে ৯০ বছর বয়সী হাজার হাজার মানুষ এতে অংশ নিয়েছেন— কেউ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে ওয়ার্কআউট করেছেন, কেউ নিজের মত করে অনুপ্রাণিত হয়ে শরীরচর্চা শুরু করেছেন।
এই ক্যাম্পেইনের এক অনন্য দিক ছিল বয়সভেদে নানা মানুষের অংশগ্রহণ— যেমন এক ১৩ বছরের স্থূল শিশু, আবার ৭০ ও ৭৫ বছর বয়সী প্রবীণরাও নিজেদের ফিট থাকার গল্প শেয়ার করে সকলের অনুপ্রেরণার উৎস হয়েছেন। এই গল্পগুলো প্রমাণ করেছে— ফিটনেসের কোনও বয়স হয় না।
“নো মেশিন জোন”-এর বিশেষ ধরণটি প্রথাগত জিমের বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে— যা যেকোনও মানুষ, যেকোনও জায়গা থেকে সহজেই অনুসরণ করতে পারেন। পার্ক, উদ্যান, সৈকত বা স্টেডিয়ামে সকাল-সন্ধ্যা সময় ধরে এই অনুশীলনগুলি পরিচালিত হয়েছে, যাতে বিভিন্ন রুটিনের মানুষজন অংশ নিতে পারেন।
শুধু শারীরিক ফিটনেস নয়, সৌমেন’স ওয়ার্কআউট সমাজের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানোর জন্যও কাজ করেছে— যেমন “বিশ্ব তামাক বর্জন দিবস” উপলক্ষে পদযাত্রা, “বিশ্ব স্থূলতা দিবস” উপলক্ষে শিশুদের জন্য সচেতনতা র্যালি— যেগুলো বিগত দশ বছর ধরেই সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
শ্রী সৌমেন দাস, সৌমেন’স ওয়ার্কআউট-এর কর্ণধার, এই উপলক্ষে বলেন—
“‘জাগো ইন্ডিয়া জাগো ফিটনেস ক্যাম্পেইন’-এর এক বছর পূর্ণ হওয়া আমাদের কাছে গর্বের বিষয়। গত ২৬ বছর ধরে আমরা নিরলসভাবে ফিটনেস সংস্কৃতি গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছি, আর এই ক্যাম্পেইন আমাদের সেই প্রচেষ্টাকে সর্বভারতীয় রূপ দিয়েছে। ৫ থেকে ৯০ বছর বয়সী মানুষকে সুস্থ জীবনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে দেখে আমরা মুগ্ধ। আমরা আরও শহরে পৌঁছাতে চাই, আরও মানুষের জীবনকে ফিটনেসের আলোয় আলোকিত করতে চাই। আমাদের মন্ত্র একটাই— ‘আর নয় অজুহাত, এবার ফিটনেসে মন দাও!’”
জনসাধারণের বিপুল সাড়া পেয়ে এই ক্যাম্পেইনের আরও বিস্তৃত রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে— নতুন শহরগুলোতে ফিটনেস প্রোগ্রাম শুরু করার পাশাপাশি আরও কমিউনিটি-ভিত্তিক স্বাস্থ্য উদ্যোগ জোরদার করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
“জাগো ইন্ডিয়া জাগো ফিটনেস ক্যাম্পেইন”-এর সাফল্য প্রমাণ করে, ভারতে ফিটনেসের প্রতি সচেতনতা ও উৎসাহ দিন দিন বাড়ছে। এই গতি বজায় রেখে সৌমেন’স ওয়ার্কআউট আরও শক্তভাবে এগিয়ে চলবে, যেন প্রত্যেক ভারতীয়ের জীবনে ফিটনেস হয়ে ওঠে একটি চলমান যাত্রা— যেখানে বয়স নয়, অঙ্গীকারই আসল শক্তি।
Be First to Comment