ডঃ পি সি সরকার (জুনিয়র) বিশ্বখ্যাত জাদুশিল্পী ও বিশিষ্ট লেখক। কলকাতা, ১লা, জানুয়ারি ২০২১। ছোট পরিবার তো বড়ো হবেই। এই ‘বড়ো’ হওয়াটার মানে হচ্ছে -ফুরিয়ে গিয়েও, ছড়িয়ে বেঁচে থাকার ইচ্ছেটা প্রকাশ করা। এই ইচ্ছেটা সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবাইকে দিয়েছেন, তাঁর কিছু কাজ আমাদের দিয়ে হাসিল করাবার জন্য। হঠাৎ আমাদের দিয়ে কেন? উনি এতো কিছু সৃষ্টি করলেন, তো ওই কাজটা করতে পারলেন না? তার মানে তিনি সেটা করতে পারেন না!! সেজন্য আমাদের তিল তিল করে সুদক্ষ মিস্ত্রী তৈরি করছেন? সেটা বোঝাতেই কি জগতের নাথ, জগন্নাথের দুহাতকাটা? আমরা ওনার হাত?
কি জানিরে বাবা, মাথায় ওসব ঢোকে-টোকেনা ।
ছবিতে একদম বাঁদিকে আমার স্ত্রী জয়শ্রী, তারপাশে আমার গর্ভধারিণী মা, বাসন্তী সরকার, কোলে মুমতাজ, মার পাশে আমার আর এক মা, আমার শ্বাশুড়ী মাতা, নিলীমা ঘোষ; তাঁর পাশে সব্বার অভিভাবক, আমার শ্বশুরমশাই অরুণ কুমার ঘোষ; তারপর এই অধম জাদুকর ‘আমি’, পেছনে মানেকা আর মৌবনি।
ঘরটা ইন্দ্রজাল ভবনের তিন তলায়, আমার বাবা-মার বেড- রুম। এই খাটেই বাবা-মা শুতেন। কোথাও একসাথে যেতে গেলে পারিবারিক অ্যামবাসাডরে আটতো না, সেজন্য জয়শ্রীর আদেশে একটা বিশাল, 'ইমপালা-শেভ্রোলে' গাড়ি কিনি।
পড়শীদের ভাষায় "বড়লোকী দেখানোও হলো, একসাথে যাওয়াও হলো, বৌ-ও খুশি রইলো", তাছাড়া অতিরিক্ত গিফ্ট হিসেবে রাস্তায় সব বয়সের ফ্রাস্টেটেড মানুষের আন্তরিকতার উদ্গারিত 'সাহিত্য-বার্তা' শুনে সমৃদ্ধ হতাম, বিনা ব্যয়ে পিতৃশ্রাদ্ধও হতো।.......অল ইন ওয়ান।
গাড়িটা সস্তায় বেঁচে দিয়েছি। বাব্বাঃ,বাঁচা গেছে। ওঁ শান্তি।
Be First to Comment