Press "Enter" to skip to content

জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত ২৬ বছরের যুবকের নতুন আশার আলো দিলেন ডাক্তার নুরুল ইসলাম এবং তার টীম এক যুগান্তকারী পদ্ধতির মাধ্যমে: Transcatehter Pulmonary Valve Implantation অথবা টিপিভিআই (TPVI)…..।

Spread the love

নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ২৬ অক্টোবর ২০২৪। : সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরের হেলথওয়ার্ল্ড হাসপাতালে জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত একজন ২৬ বছর বয়সী পুরুষ রোগীর হার্টের একটি ভালভ বিনা অপেরেশনে প্রতিস্থাপন হয়েছে। এই পদ্ধতির নাম – ট্রান্সক্যাথেটের পালমোনারি ভালভ ইমপ্লান্টেশন (টিপিভিআই)। উনার হার্টে ফুসফুসীয় ধমনীর মুখে ৩২ mm কৃত্তিম মেরিল ভালভ প্রতিস্থাপন করা হয়। এই অপারেশন পশ্চিমবঙ্গে গত দশ বছরে দ্বিতীয়। হাসপাতলের বাচ্চাদের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নুরুল ইসলাম এবং তার সহকারী ডাক্তার সিদ্ধার্থ সাহা এই অপারেশন সাফল্যের সাথে সম্পন্ন করেন বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সুমন্ত মুখোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে।

রোগীর জন্মগত হার্টের সমস্যার নাম – ব্লু বেবি সিনড্রোম –টেট্রালজি অফ ফ্যালট (TOF) যার জন্য তার ৫ বছর বয়সে ওপেন হার্ট সার্জেরী হয়। গত ১৬ মাস ধরে ওনার শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ব্যাথার জন্য দৈনন্দিন কাজ কর্মে ব্যাঘাত হচ্ছিল। ইকোকার্ডিওগ্রাফি করে দেখা যায় যে পূর্বের অপারেশনের জায়গায় ফুসফুসীয় ধমনীর মুখে ভালভ নষ্ট হয়ে গেছে এবং ভীষণ রকম ভাবে রক্ত লীক করে ডান দিকের পাম্পে ফিরে আসছ। যার কারণে হার্টের ডান দিকের পাম্পের আকার বেড়ে গেছে ও তার কার্যক্ষমতা কমতে শুরু করেছে।

রোগীর অবস্থার জটিলতা এবং পুনরায় ওপেন হার্ট সার্জারির ঝুঁকির কথা ভেবে, ডাক্তার ইসলাম এবং তাঁর টীম তুলনামূলক কম ঝুঁকির এই টেকনিকের (TPVI) সাহায্য নেন। এর মাধ্যমে পায়ের শিরা দিয়ে হার্টের মধ্যে ঢুকে সহযেই ফুসফুসীয় ধমনীর মুখে অনেক কম সময়ে ভালভ বসানো হয় (TPVI) এবং খুব তাড়াতাড়ি রোগীর উন্নতি হয়। এই পদ্ধতিতে আমরা অনেক ঝুঁকি এড়িয়ে রোগীকে তাড়াতাড়ি সারিয়ে তুলতে পারি।

ডাক্তার ইসলাম বলেন – TPVI  চিকিৎসা জগতে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। এর মাধ্যমে আমরা অনেক রোগীর জীবন সহজ করে তুলতে পারবো পুনরায় ওপেন হার্ট সার্জারি ছাড়াই। এতে রোগীর লাইফস্টাইল এবং জীবনের মান অনেক ভালো হবে। রোগী তাড়াতাড়ি তার স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরে যেতে পারবে।

TPVI  প্রযুক্তি জন্মগত হৃদরোগের চিকিৎসায় এক অভাবনীয় পরিবর্তন এনেছে। এই ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি অনেক রোগীকে আশার আলো দেখাবে। অনেক কম সময়ে রোগী বাড়িতে যেতে পারবে। মানসিক ভাবে রোগী অনেক তাড়াতাড়ি তাদের স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরতে পারবে। এই ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি আমাদের রাজ্যে এক নতুন মানদণ্ড স্থাপন করলো যা অনেক পরিবারকে ভবিষ্যতে সহজ পথ দেখাবে।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.