Press "Enter" to skip to content

জগদীশচন্দ্র বসু ছিলেন একাধারে পদার্থবিদ, উদ্ভিদবিদ, জীববিজ্ঞানী, কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা এবং সুলেখক। বিজ্ঞানের ইতিহাসে রেখে গেছেন অসামান্য অবদান………..।

Spread the love

স্মরণঃ স্যার জগদীশচন্দ্র বসু

বাবলু ভট্টাচার্য : ১৮৯৭ সালে জেমস থমসন ইলেকট্রন আবিষ্কার করেন। সূত্রপাত হয় আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের এক নতুন যুগের। ইউরোপ আমেরিকার উন্নত গবেষণাগারে যখন ব্যাপক গবেষণা-যজ্ঞ চলছে সেই সময় ভারতের বিজ্ঞান-মরুতে গবেষণার ফল ফলানোর জন্য একাই লড়ে চলেছেন জগদীশচন্দ্র বসু।

জগদীশচন্দ্র বসু ১৮৫৮ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন।

‘ভারতের কোনও বৃদ্ধ ঋষির তরুণ মূর্তি তুমি হে আচার্য জগদীশ’—- বন্ধু সম্পর্কে ওই উক্তিটি করেছিলেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ।

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিশিষ্ট বরেণ্য বাঙালি বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর মা বামাসুন্দরী দেবী। বাবা ভগবান চন্দ্র বসু। বাবা ছিলেন ফরিদপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং ব্রাহ্ম ধর্মাবলম্বী।

ময়মনসিংহ জেলা স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ। এরপর কলকাতার হেয়ার স্কুল। ১৮৭৯ সালে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে বি. এ পাশ করেন। প্রকৃতি বিজ্ঞান সম্বন্ধে শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে কেমব্রিজের ক্রাইস্ট কলেজে ভর্তি হন। এখান থেকে ট্রাইপস পাশ করেন। ১৮৮৪ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাঠ সম্পূর্ণ করেন।

জগদীশচন্দ্র ছিলেন একাধারে পদার্থবিদ, উদ্ভিদবিদ, জীববিজ্ঞানী, কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা এবং সুলেখক। বিজ্ঞানের ইতিহাসে রেখে গেছেন অসামান্য অবদান।

তার গবেষণা উদ্ভিদ বিজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করে তোলে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহারিক ও গবেষণাধর্মী বিজ্ঞানের সূচনা করে। তিনিই প্রথম প্রমাণ করেন গাছেরও প্রাণ আছে।

বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে তিনি পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেন। তার বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধাবলী’ ‘অব্যক্ত’ নামক গ্রন্হে সংকলিত। তার উদ্ভাবিত যন্ত্রগুলি : ক্রেসকোগ্রাফ, ট্রান্সপিরোগ্রাফ, চৌম্বক-রেডিওমিটার।

জগদীশ চন্দ্র বসু ১৮৮৫ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক নিযুক্ত হন। ১৮৮৭ সালে অবলা দাসের সঙ্গে বিবাহ হয়। ১৮৯৫ সালে তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি করেন এবং কোন তার ছাড়াই এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তা প্রেরণে সফলতা পান। ১৮৯৬ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডি. এস. সি ডিগ্রি প্রদান করে।

তিনি বাংলা ও ইংরেজিতে বহু প্রবন্ধ এবং বই লিখেছেন। পেয়েছেন বহু পুরস্কার। ১৯১৬ সালে নাইটহুড পান। ১৯২০ সালে রয়্যাল সোসাইটির ফেলো হন। ১৯২৭ সালে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ১৯১৭ সালে গবেষণার জন্য কলকাতায় বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন।

স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ১৯৩৭ সালের আজকের দিনে (২৩ নভে‍ম্বর) গিরিডি-তে মৃত্যু বরণ করেন।

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.