Press "Enter" to skip to content

ছবি তৈরির ঘর। এক ছাতার নিচে মুস্কিল আসান করতে পথ চলা শুরু করল ওসিনিক মিডিয়া স্যলিউশন….।

Spread the love

শ্রীজিৎ চট্টরাজ : কলকাতা, ৭ মার্চ ২০২২। করোনা পরিস্থিতিতে যখন মানুষের সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাত্রা থেমে গেল কোন এক অশনি সংকেতে, তখন বাংলার সিনেমা, সিরিয়াল বা সঙ্গীতের দুনিয়ায় যে সেই সংকটের ছায়া ঘনাবে তাতে আশ্চর্যের কিছু ছিল না। এরপর কেটেছে দুদুটি বছর। এখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে সবকিছু। কিন্তু বাংলার চলচ্চিত্র শিল্পে যে রাহুর দশা কেটেছে তা বলা যাচ্ছে না। সিরিয়াল প্রযোজনায় মুষ্টিমেয় প্রভাবশালীর দাপট। বাংলা ছবির বক্স অফিস করুণ। এক পর্দার সিনেমা এখন অস্তিত্বের লড়াই লড়ছে। অথচ বাংলায় যোগ্যতাসম্পন্ন শিল্পী ও কলাকুশলীরা আজ কম নয়। কিন্তু সকলের কাজ নেই। তাই দরকার বেশ কিছু নির্মাণ সংস্থা। প্রয়োজন বেশ কিছু সংস্কৃতির প্রতি দায়বদ্ধ প্রযোজক।

গত ৪ মার্চ শুক্রবার বার বেলায় দক্ষিণ কলকাতার আনোয়ার শা রোডে প্রিন্সটন ক্লাবে নতুন কার্যালয় উদ্বোধন করল ওসিনিক মিডিয়া স্যলিউশন। রীতিমত বৈদিক মন্ত্রচ্চারণের মধ্যে পুজো দিয়ে সংস্থার শুভ সূচনা হলো। আমন্ত্রিত ছিলেন চলচ্চিত্র ও সিরিয়াল দুনিয়ার বহু শিল্পী ও কলাকুশলীরা। আমন্ত্রিত ছিলেন সাংবাদিকরাও। সবাইকে স্বাগতম জানান নবজাতক সংস্থার দুই আধিকারিক পরিচালক অংশুমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতা । পুজো শেষে গল্পগুজব আর ফটো সেশনে মাতলেন ওম সাহানি, মিমি দত্ত, সুরজিৎ চ্যাটার্জি, অনুরাধা মুখার্জি, রেমো, দেবপ্রাণা রায়চৌধুরী প্রমুখ। আমন্ত্রিতদের মধ্যে তখনও এসে পৌঁছন নি শ্রীলেখা মিত্র ও নিপবীথি ঘোষ প্রমুখ।

নবজাতক সংস্থা ওসিনিক মিডিয়া স্যলিউশন এর দুই পরিচালক অংশুমান বন্দোপাধ্যায় ও সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতা জানালেন, নতুন প্রজন্মের বহু শিল্পী ও কলাকুশলী কাজের অভাবে তাঁদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারছেন না। সবসময় বিশাল আর্থিক বাজেটের ওপর ছবির সাফল্য নির্ভর করে না। ভালো বিষয়বস্তুর খোঁজ চালাচ্ছি। আগামীদিনে ও টি টি প্ল্যাটফর্মের এক বিশাল সম্ভাবনা মাথায় রেখে তার ব্যবসায়িক সূত্রের পর্যালোচনা করে সেই কাজেও নামবো। ইচ্ছে আছে বাংলার পাশাপাশি হিন্দির বাজারেও আত্মপ্রকাশ করার। এই মুহূর্তে অ্যানিমেশন সম্পর্কিত বেশ কিছু কাজ চলছে। নতুন যুগোপযোগী কাহিনী ও প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন পরিচালক,শিল্পী ও বিভিন্ন কলাকুশলীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে আনকোরা নতুনদের অভিনয় ও পরিচালনার ক্ষেত্রে বলবো কমপক্ষে একটি বছর অন্তত নাটকের একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে আসাটা জরুরি। নিষ্ঠা,পরিশ্রম আর অধ্যবসায় নিয়ে এই স্বপ্নের দুনিয়ায় আসা উচিত। আমাদের সংস্থা যথার্থ শিল্পী ও কলাকুশলীদের খুঁজে সুযোগ দিতে দায়বদ্ধ।

More from CinemaMore posts in Cinema »
More from EntertainmentMore posts in Entertainment »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.