বাবলু ভট্টাচার্য : কত্থক নাচের কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজ চলে গেলেন ৮৩ বছর বয়সে। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
কালকা-বিনন্দাদিন ঘরাণার শিল্পী ছিলেন বিরজু মহারাজ। তাঁর জন্ম ১৯৩৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি লখনউয়ের এক নামী কত্থক নৃত্যশিল্পীদের পরিবারে।
জন্মসূত্রে তাঁর নাম ছিল ব্রিজমোহন নাথ মিশ্র, ছোট থেকেই নাচ-গানের পরিবেশে বেড়ে ওঠা তাঁর। বিরজু মহারাজের গুরু ছিলেন তাঁর পিতা অচ্ছন মহারাজ। খুব ছোট বয়সেই বাবার কাছে কত্থক নাচের তালিম শুরু তাঁর। এর পাশাপাশি কাকা শম্ভু মহারাজ এবং লাচ্চু মহারাজ বরাবর অনুপ্রাণিত করেছিলেন বিরজু মহারাজকে।
শিশুশিল্পী হিসাবেই বাবার সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিতেন তিনি। কৈশোরে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ‘গুরু’ তকমা জুড়ে গিয়েছিল তাঁর নামের আগে। রামপুরের নবাবের দরবারে নৃত্য পরিবেশন করতেন বিরজু মহারাজ।
মাত্র ২৮ বছর বয়সে সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার জেতেন বিরজু মহারাজ। নাচই ছিল তাঁর প্রথম ভালোবাসা তবে শাস্ত্রীয় সংগীতের উপরও চমৎকার দখল ছিল পণ্ডিতজির।
১৯৮৩ সালে ভারত সরকারে পক্ষ থেকে পদ্মবিভূষণ পান বিরজু মহারাজ। পেয়েছেন কালীদাস সম্মানও। এই কত্থক গুরু বেশ কিছু ছবিতে কোরিওগ্রাফির দায়িত্ব পালন করেন। কাজ করেছেন সত্যজিৎ রায়ের ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’ ছবিতে।
নতুন শতাব্দীতে ‘দেবদাস’, ‘বাজিরাও মস্তানি’-র মতো ছবিতে বিরজু মহারাজের কোরিওগ্রাফি মুগ্ধ করেছে অপামর দর্শকদের। ‘বিশ্বরূপম’ ছবিতে কোরিওগ্রাফির জন্য চলচ্চিত্রে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন এই মহান নৃত্যশিল্পী বিরজু মহারাজ।
Be First to Comment