ডঃ সুখেন বিশ্বাস : রাশিয়া, ২৮ আগস্ট, ২০২৩। পিটাসবার্গ থেকে ৬৮ কিমি দূরে বাল্টিক মহাসাগর। ১১ কিমি পথ ওভারব্রিজ আর ২ কিমি পথ সমুদ্রের নীচ দিয়ে পৌঁছছে ক্রোন্সদাত দ্বীপে। বাল্টিকের উপরে ব্রিজ বানিয়েছে রাশিয়ানরা। ব্রিজের উপরে কোনও গাড়ি হল্ট করা দণ্ডনীয় অপরাধ। পুরো ব্রিজ ক্যামেরবন্দি। সিক্স লেনের রাস্তায় গাড়ির গতি ঘণ্টায় ১০০ কিমির উপরে থাকাটাই বাঞ্ছনীয়।
কেউ কেউ ঘণ্টায় ১৫০ কিমি বেগে চালিয়েও পার হচ্ছে বাল্টিক ব্রিজ। এখানে গাড়ি দাঁড় করালেই মাইকিং হবে। মুহূর্তের মধ্যে চলে আসবে সেনারা। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি সরিয়ে দেবে ব্রিজ আর দেশের নিরাপত্তার কারণে। ইতিহাসের পাতায় এতদিন শুধু নামই শুনে এসেছি।
এবারে চাক্ষুস দেখলাম বাল্টিক মহাসাগরের ঘন নীল জল। ‘ওরে নীল যমুনার জল/বল রে মোরে বল কোথায় ঘনশ্যাম’ নজরুল বোধহয় মানস-কল্পনায় এইরকম জল দেখেই এঁকেছিলেন শ্রীরাধিকার মনোভাবটি। এই গানেই শ্রীরাধিকা বলছেন, ‘আমি বহু আশায় বুক বেঁধে যে এলাম/ এলাম ব্রজধান, কৃষ্ণ ঘনশ্যাম’। ক্রোন্সদাত দ্বীপ থেকে দেখা যায় ফিনল্যান্ড দেশকে। মাঝের জলরাশিকে বলা হয় ‘গালফ অফ্ ফিনল্যান্ড’।
মাঝ সমুদ্রের একটি নির্দিষ্ট সীমায় দু’দেশের জাহাজই আসতে পারে। এপারে সারি সারি যুদ্ধ জাহাজ, ওপারে মাথা তুলে রয়েছে ফিনল্যান্ডের বড়ো বড়ো ইমারত। বাল্টিকের ঘন নীল জলই পুষ্ট করেছে পিটাসবার্গ নগরীর মধ্যে বয়ে চলা জলপ্রবাহকে।
পিটাসবার্গের মতো একই ছন্দে নীল জলের ঢেউ আছড়ে পড়েছে সমুদ্রতটে। দিগন্ত বিস্তৃত জলস্রোতের সৌন্দর্য সূর্যের আলোয় একাকার হয়ে গেছে এখানে…!
Be First to Comment