গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ২৮, ফেব্রুয়ারি, ২০২১। দেশের নানান রাজ্যে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার মাত্র কয়েক ঘন্টা পরেই কিছু জ্বলন্ত প্রশ্নকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী-র জীবনাশ্রিত হিন্দী সিনেমা ‘এক অউর নরেন’-এর ‘শুভ মহরত’ হয়ে গেল কোলকাতা রাজভবন সংলগ্ন এক বিলাসবহুল হোটেলে। সঞ্জীবকুমার তিওয়ারি-র নাট্যরূপ অবলম্বনে স্বপন নস্কর-এর নিজস্ব সংস্থা ‘স্বপ্নাশ্রী প্রোডাকশন’-এর প্রযোজনায় এবং বহু হিট সিনেমার পরিচালক মিলন ভৌমিক-এর পরিচালনায় শুরু হলো ‘এক অউর নরেন’।

‘শুভ মহরত’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ‘এক অউর নরেন’-এর ছবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-র চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রস্তুত হয়েছেন মহাভারত খ্যাত বিশিষ্ট অভিনেতা গজেন্দ্র চৌহান। বিলে ওরফে নরেন্দ্রনাথ দত্ত রূপে দেশ তথা বহির্বিশ্বে আগেই প্রভূত সমাদৃত হয়েছেন কোলকাতার ভূমিপুত্র তথা পরমহংস রামকৃষ্ণদেব-এর স্নেহধন্য স্বামী বিবেকানন্দ। তাঁর জ্ঞান ও বাগ্মিতায় মুগ্ধ হয়েছিল এই বিশ্ব সংসার।আমাদের দেশও তাঁকে সম্মান জানিয়ে তাঁর জন্মদিনকে ‘জাতীয় যুব দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
বহুযুগ বাদে আর এক নরেন্দ্রনাথ-কে নিয়ে মেতেছে দেশ ও দুনিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রনাথ মোদী-কে নিয়ে এর আগেও আরেকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়েছিল। তার পরেও ধর্মীয় নেতা ও রাজনৈতিক নেতার জীবনের তুলনামূলক ঘটনা তুলে ধরতেই তৈরী হতে চলেছে ‘এক অউর নরেন’।

প্রযোজক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী এই চলচ্চিত্র নির্মাণে দুই পৃথক ব্যক্তি, দুজনের চরিত্রই সম্পূর্ণ আলাদা। একজন ধর্মীয় নেতা তো অপরজন রাজনৈতিক নেতা। একজন আজন্ম অকৃতদার, অপরজন কৃতদার বা বিবাহিত। একজন সর্বধর্ম সমন্বয় করতে জীবন অতিবাহিত করলেন, নিজের জীবদ্দশায় সূচনা করে গিয়েছিলেন গৃহত্যাগী সাধু সন্তদের এক আশ্রয় স্থল, পরবর্তীকালে সেই আশ্রয়স্থল উঠেছে আপামর দেশবাসীর এক শান্তির ঠিকানা। এই শান্তির ঠিকানাতেই নিজের মানসিক জ্বালা জুড়াতে গিয়েছিলেন দ্বিতীয় জন নরেন্দ্র মোদী। ধর্মীয় নেতার জীবন-আদর্শ ও ত্যাগকে অনুসরণ করে নিজের দেশের সুখী গৃহকোণ ছেড়ে এক তরুণী ভারতে এসে সমাজসেবায় ঝাঁপিয়ে পড়লেন, তাঁর ঠিকানাই আশ্রয়স্থল হয়ে উঠলো পরাধীন ভারতের স্বাধীনতা যোদ্ধাদের।

এক অউর নরেন এর পরিচালক মিলন ভৌমিক কতটা সুচারুভাবে শিল্পকর্মে তুলে ধরতে পারেন, সেটাই এখন দেখতে চায় আমাদের প্রিয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, দেশ তথা বিশ্বের সিনেমাপ্রেমী মানুষ।
Be First to Comment