শম্পা দেবনাথ – ভাগলপুর।
————————-সংবেদনা!——————-
সেই শিরশিরে অনুভূতিটা …
আবার যেন ফিরে ফিরে আসছে!
অবিরাম তিরতির করে বয়ে চলা
হিমশীতল কোনো জলধারা !
কিংবা
মাথা থেকে পা আবার পা থেকে মাথা
জুড়ে শীতল সরীসৃপের চলাফেরা!
হয়তো কিছু সময় পর
হাত – পা – মন সবই সার হারাবে..!
শুনেছি ,মৃত মানুষের শরীর শীতল হয়
ঠাণ্ডা,শক্ত দেহকে ….
হলদে আলো জ্বলা..
ঠান্ডা মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়..!
মাঝে -মাঝে মনেও শীতলতার অনুভব হয়
আর ঠিক তখনই শরীরও যেন অবশ হয়ে আসে !
একই সংগে গলাতেও কেমন যেন হয়..!
কাঠকাঠ.. শুকনো শুকনো!
ঘুমহীন রাতে ..
মাথাজুড়ে পোকাদের নড়াচড়া
কিংবা
গালে শুকনো জলের দাগ নিয়ে ঘুম ভাঙা!
আর অন্তহীন নিরবতা…
কে যেন বলেছিল, শরীরের মৃত্যুর অনেক আগেই
মনের মৃত্যু হয়.. হয়তো বা তার ও অনেক আগেই মনে শীতলতার পর্যায় শুরু হয়ে যায়!
অ – জন্মা সন্তানকে পৃথিবীতে আনার জন্য
পাখির ডিমে তা দেওয়া,
প্রিম্যাচিওর বেবিকে ইনকিউভেটরে রাখা..
উষ্ণতাই তো জীবন! মনকেও উষ্ণ রাখতে হবে!
মনকে সুস্থ রাখতে হবে…
যারা চলে গেলে…অভিমানে ,
চাপা – চাপা ব্যাথা নিয়ে
না বলা কথা নিয়ে..
হয়তো বা একটা কাঁধ দরকার ছিল,
একটু মাথা রাখবার ..!
একটা ভরসা করে চেপে ধরার মতো হাত.. !
একটা আঙুল ধরে..
ঘাসের ওপর খালি পায়ে চুপচাপ হেঁটে যাওয়া !
তবে হয়তো আজ চারটে কাঁধ দরকার হতো না !
ভালো থেকো তোমরা… !
তোমরা যখন শীতল মন নিয়ে
নিঃশব্দতার রাস্তায় বেশ কিছুটা এগিয়ে গেছ..
তখনো আমরা মনের জানলায় উঁকি দিইনি …
কিংবা ডোরবেলটা বাজিয়ে দেখিনি
তোমাদের ঘরের !
শীতল থেকে শীতলতর হয়েছে
তোমাদের মন – শরীর ….
একা হতে হতে ..
যেতে যেতে বিন্দু হয়ে মিলিয়েই গেছ একসময়!
আমরা যারা রইলাম বেঁচে ….
সেই অসংবেদনশীল
সকল মানুষের তরফ থেকে
ক্ষমা প্রার্থনা করি…
ক্ষমার অযোগ্য এই অপরাধের জন্য !
Be First to Comment