নীলমাধব অধিকারী : ২৭ এপ্রিল ২০২১। রতে যান কখনও কৃষ্ণনগরে তবে দুটি জিনিস কিনতে ভুলবেন না অবশ্যই…… একটি হলো কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির বিখ্যাত মাটির পুতুল আর অপরটি হল বিখ্যাত জোড়া মিষ্টি সরপুরিয়া ও সরভাজা….. আজ আপনাদের বলব রসনা পরিতৃপ্তকারী কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত সেই জোড়া মিষ্টিরই কথা…. সরভাজা ও সরপুরিয়ার সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে রয়েছে নানা মতভেদ…. এর ঐতিহাসিকতা নিয়েও বিতর্কের অন্ত নেই… কেউ কেউ মনে করেন যে এই মিষ্টি দুটি চৈতন্য সমসাময়িক….. অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছর আগে এই মিষ্টি দুটির সৃষ্টি…. নরোত্তম দাস ঠাকুর রচিত মহাপ্রভুর ভোগ আরতি গীতিতে সরভাজার উল্লেখ পাওয়া যায় তিনি লিখেছেন
“মালপোয়া সরভাজা আর লুচি পুরি
আনন্দে ভোজন করেন নদীয়া বিহারী”
অর্থাৎ মহাপ্রভুর খাদ্যতালিকায় সরভাজা মিষ্টিটির যে একটি বিশেষ ভূমিকা ছিল সেটি এই গীতি রচনা থেকে জানা যায়…. অপরদিকে আবার কারোর কারোর মতে…..
সরভাজা সরপুরিয়ার সৃষ্টি কর্তা হলেন কৃষ্ণনগরের শ্রী অধর চন্দ্র দাস মহাশয়…. দাস মহাশয়ের হাতেই এই মিষ্টি দুটি রূপ লাভ করেছিল আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে এবং কৃষ্ণনগর থেকেই তা ধীরে ধীরে পরবর্তীকালে ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র বঙ্গ দেশে ….. সরভাজা ও সরপুরিয়া এই নাম থেকেই বোঝা যায় যে এই মিষ্টি দুটির প্রধান উপকরণ হলো দুধের সর…… দুধকে জ্বাল দিয়ে ঘন করে তার থেকে পরোতে পরোতে সর তুলে তৈরি করা হয় সরপুরিয়া…..
এবং সেই সরকে আবার ঘিয়ে ভেজে তৈরি করা হয় সরভাজা….. যা শুধু লোভনীয়ই নয় অতুলনীয়ও বটে…. তাই মিষ্টি প্রেমী বাঙালির হৃদয়াসনে যে আজ এই মিষ্টি দুটির অবস্থান প্রথম সারিতেই একথা বলা যায় একেবারে নির্দ্বিধায়।
Be First to Comment