সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: ২৪শে জানুয়ারি ২০২০ ভারত
জুড়েই এখন সিনেমা শিল্পে বেশি দেখা যাচ্ছে নতুন প্রজন্মের মুখ। বলিউডের মতো টলিউডও আনছে নতুন মুখ। এখন ফর্মুলা ছবি আর সুপারস্টার নিয়ে প্রযোজকরা ভরসা পাচ্ছেন না ।বরং স্বল্প বাজেটের নবাগতদের ছবি দর্শকদের আকর্ষণ করছে বেশি । সদ্য তরুণী বর্ষালি চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যে তিনটি ছবি শেষ করে চতুর্থ ছবি তৈরি করেছেন। যা চলতি বছরে মার্চ মাসে মুক্তি পেতে চলেছে। বয়সে ছোট হলেও বর্ষালির ভাবনাগুলি ভাবিয়ে তোলার মত। প্রথম ছবি ছিল জেনানা। তৃতীয় লিঙ্গের কথা সেই ছবিতে। পরে ডার্লিং ওয়াইফ, ব্ল্যাক ডে। এরমধ্যে একটি আবার হিন্দি ছবি। এবার একটি থ্রিলারধর্মী ছবি
বাকি এখনও দুই। যদিও ছবিতে এখনো বানানটি ব্যবহার হয়েছে। ছবির কাহিনী, চিত্রনাট্য পরিচালকের নিজের। এবার প্রথম ছবির ক্যামেরার দায়িত্ব ও সামলেছেন পরিচালক বর্ষালি নিজে। পরিচালক জানালেন, তার ছবির শুটিং চলাকালীন হায়দ্রবাদের ধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারার ঘটনা সামনে আসে। যা কাকতালীয় ভাবে ছবির কাহিনীর সঙ্গে অনেকটাই মিলে গেছে।
নারী নির্যাতন আর অতিপ্রাকৃত বিষয়ের মেলবন্ধনে কাহিনীকার পরিচালক ছবির চিত্রনাট্য বুনেছেন। কলকাতার প্রেসক্লাবে ছবির ট্রেলর মুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে পরিচালক বললেন, মানুষের মুখেই নাকি অপরাধ প্রবণতা ফুটে ওঠে। নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির আসামিদের মুখ দেখলেই নাকি বোঝা যায় তারা যেন অন্যগ্রহের মানুষ। পরিচালকের এহেন বক্তব্যের সঙ্গে একমত হওয়া সম্ভব নয়। কেননা আধুনিক অপরাধ বিজ্ঞান বলছে, ভোগবাদী সমাজে কনফার্মেশন বায়াস এর প্রবণতা বাড়ছে।যুক্তি আর নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গির অপ্রতুলতার কারণ যথার্থ শিক্ষার অভাব। দারিদ্র্য। সমাজের ওপরতলার ঘৃণা এবং অগ্রাহ্য করার প্রবণতা ।
পরিবারে অবহেলা । ছোট থেকে চাহিদার অপূর্ণতা জেদের জন্ম দেয়। অপরাধ প্রবণতা থেকে প্রত্যাশিত বস্তুটি কেড়ে নেওয়ার অবদমিত ইচ্ছা মনকে উস্কে দেয়। আবার সমাজের অপরের স্তরে থাকা সুন্দর মুখের মানুষরা যখন বড়সড় আর্থিক অপরাধ করে বা যৌন শোষণ করে তখন যতক্ষণ না মিডিয়াতে প্রচারে আসছে বা যতক্ষণ না অত্যাচারিত নিজে প্রকাশ করছেন ততক্ষণ বোঝা যায় কি সুন্দর মুখের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক অপরাধী? মূল প্রসঙ্গে আসা যাক। পরিচালক বললেন, ছবিতে মুখ্য চরিত্রে তুয়া সরকার অভিনয় করলেও ছবিতে প্রত্যেক চরিত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ। ফলে ছবির কাহিনী যেমন এগিয়েছে তেমন প্রতিটি চরিত্রের শিল্পীরা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। ছবির প্রযোজক সোমনাথ কয়াল জানালেন, অভিনয় করতে তিনি টলিউডে আসেন ২০০৬ সালে। পরে ব্যবসাতে মন দেন। অতৃপ্ত মনের সুপ্ত বাসনা চরিতার্থ করতে আবার ছবির দুনিয়াতে ফিরে আসা। তবে অভিনেতা হিসেবে নয়, প্রযোজক হিসেবে ।পরিচালক বর্ষালি চট্টোপাধ্যায় কে সঙ্গী করে আগামীদিনে ভালো ছবি তৈরি করতে চান। পরিচালক ও প্রযোজকদ্বয়ের বক্তব্য ,ওরা নতুনদের থেকে বেছে নিয়ে বাংলা ছবির দুনিয়াতে এক নতুন পথের দিশা দিতে চান। ছবির বিভিন্ন শিল্পীদের মধ্যে আছেন সংহিতা, স্বরাজ, সন্দীপ, শান্তনু, অসিত, রিয়া,প্রীতম, শুভঙ্কর, লক্ষ্মী,সৌম্য,রাজেশ প্রমুখ।
কলকাতা প্রেসক্লাবে বাকি এখনও দুই ছবির ট্রেলর মুক্তি……
More from GeneralMore posts in General »
- জয় দিয়ে নতুন বছর শুরু, আইএসএল-এ পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট….।
- হিন্দুমহাসভা ও বিজেপি বাঁচাও মঞ্চের সংযুক্তিতে সংকল্প দিবস পালন, বঙ্গ রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ….।
- বিধাননগরের বুকে এক অভিনব কর্মসূচি শুরু করলো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইস্পাত….।
- ষষ্ঠবর্ষের শিবপুর কৃষ্ণা ডান্স একাডেমির অসাধারণ নৃত্যানুষ্ঠান….।
- Dr. Suresh Kumar Agarwal honoured with ‘International Meditation Teacher Award’ by LIONS MAGNATES….
- অ্যাডভোকেট মিতা ব্যানার্জির অসাধারণ সামাজিক কাজ…।
Be First to Comment