শতভিষা দত্ত : ১০ অগাস্ট, জম্মুঃ উপত্যকায় স্বাস্থ্য পরিষেবা সত্যিই পৌঁছে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এই মুহূর্তে এককভাবে সরকারের তরফে তা সম্ভবও নয়। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে শুরু করে কাজেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা রয়েছে। শহরের লাগোয়া নাগরোটা জেলার পাহাড়ী অঞ্চলেও বাসিন্দাদের কাছে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে তৎপর ভারত সেবাশ্রম সংঘ । সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। কাজেই বিপদ সঙ্কুল পাহাড়ি পথে বেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন স্বামীজিরা। চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে চলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। এর পাশাপাশিই ওষুধপত্র বিতরণ। সেই সাথে এই অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মানুষদের সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে তাদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নিরন্তর কর্মযঞ্জে সামিল ভারত সেবাশ্রম সংঘ, জম্মু শাখা।
করোনা-র পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে পাহাড় ঘেরা জম্মু শহরের দুর্গম এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতেই মেডিকেল ভ্যান চালু হয়েছে। ভারত সেবাশ্রম সংঘ, জম্মু শাখার তরফে মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমেই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে প্রত্যন্ত এলাকায়।
এই পরিষেবার জন্য এস বি আই লাইফ ইন্স্যুরেন্স – এর উদ্যোগে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে মোবাইল মেডিক্যাল ভ্যান দেওয়া হয়েছে। ভারত সেবাশ্রম সংঘের জম্মু শাখার প্রধান স্বামী সত্যামিত্রানন্দ মহারাজ এই খবর জানিয়েছেন । তিনি বলেন, জরুরি এই স্বাস্থ্য পরিষেবা চালাতে ও চিকিৎসার সুফল পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই আর্থিক সহযোগিতাও এস বি আই লাইফ ইন্সুরেন্সের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে।
শ্রী সত্যমিত্রানন্দ মহারাজ আরো বলেন, বিপদ সঙকুল পথে অমরনাথ যাত্রা ও বৈষ্ণোদেবী মন্দির দর্শনে আগত তীর্থযাত্রীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা সহ নানা সহযোগিতা করার পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীরের দুর্গম এলাকায় পিছিয়ে পড়া মানুষদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য উন্নয়ন সহ নানা কাজ করে চলেছে সঙ্ঘের সদস্যরা। এর অঙ্গ হিসেবে এই মোবাইল মেডিকেল ভ্যানের মাধ্যমে এবার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিসেবা পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ সঙ্ঘের চিকিৎসকেরা।প্রতি সপ্তাহে ছয়দিন (৬) মোবাইল মেডিক্যাল ভ্যান পাহাড়ের গ্রাম গুলিতে ঘুরে ঘুরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে অতি তৎপর রয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে স্বামীজি আরো জানান, নাগরোটায় জম্মু – শ্রীনগর জাতীয় সড়কের ধারে অবস্থিত এই আশ্রমে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এলাকার ১০ টি স্কুলকে চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ, আলমারি সহ নানা সামগ্রী পঠনপাঠনের উদ্দেশ্যে ছাত্র – ছাত্রীদের স্বার্থেই দেওয়া হয়েছে।
১২৫ জন ছাত্রছাত্রীকে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি দেওয়া হয় । এছাড়াও একাধিক স্কুলে শৌচালয় তৈরি এবং পানীয় জলের ট্যাঙ্ক সংঘের পক্ষ থেকে বিতরণ করা হয়েছে ।
Be First to Comment