গোপাল দেবনাথ: কলকাতা, ৪ জুলাই, ২০২০। অন্যান্য বছরের মতো এবছরেও বিধান শিশু উদ্যানে পালিত হল ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের ১৩৮ তম জন্মোৎসব। জননেতা অতুল্য ঘোষ প্রতিষ্ঠিত ডাঃ বি.সি.রায় মেমোরিয়াল কমিটি ১৯৬৩ সাল থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে পালন করে আসছে এই দিনটি। ১৯৭৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ডঃ ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ বিধান শিশু উদ্যানের উদ্বোধন করেন। সেই থেকে ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের জন্মদিনটি মহাসমারোহে এখানেই পালিত হয়ে আসছে।
কিন্তু করোনা ভাইরাস ও আম্ফান ঘূর্ণীঝড়ের কারনে এ বছরের অনুষ্ঠানটি সংক্ষিপ্ত আকারে করতে হয়েছে আমাদের। এই সব কথা জানালেন বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার। অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন পানিহাটি হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ দীপক কুমার হালদার। নিজের বাড়িতে বসেই ভারচুয়াল মিডিয়ার মাধ্যমে ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজ্যের বর্ষীয়ান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
তিনি বলেন- ডাঃ বিধান চন্দ্র রায় শুধুমাত্র বিশ্ববিখ্যাত চিকিৎসক ছিলেন তাই নয়, তিনি ছিলেন দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ একজন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি রাজ্যকে অর্থনীতিসহ সবদিক থেকে স্বাবলম্বী করেছিলেন। তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে আমাদের সকলের স্মরণ করা উচিত।
ভারচুয়াল মিডিয়ার মাধ্যমেই সুদূর আসামের কাছাড় জেলা থেকে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ‘দোহার’- এর অন্যতম বিশিষ্ট শিল্পী শ্রী রাজীব দাস। বিধান শিশু উদ্যানের পক্ষ থেকে “ডক্টরস ডে”- তে সম্মাননা জানানো হয় ডাঃ দীপক কুমার হালদার এবং মানিকতলা ই.এস.আই হাসপাতালের দুজন বিশিষ্ট সিনিয়র নার্সিং স্টাফ সুদীপ্তা মিশ্র (হালদার) ও রুপা বসু কে।
এছাড়াও ডাঃ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিধান কয়্যারের শিল্পীবৃন্দ। এই সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয় সম্পূর্ণরূপে সরকারি বিধিনিষেধ মান্য করে।
অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকলকে ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন বিধান শিশু উদ্যানের সভাপতি ডঃ দিলীপ কুমার সিংহ, সহ-সভাপতি ডঃ অমল কুমার মল্লিক এবং সংস্থার সম্পাদক গৌতম তালুকদার।
Be First to Comment