গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ২, জানুয়ারি, ২০২০। কালের নিয়মে নতুন বছর এসে গেল। অন্যান্য বছরের চেয়ে এই বছরের প্রথমদিন অর্থাৎ ২০২১ এর ইংরেজি নববর্ষ অনেকটাই আলাদা।
প্রায় দীর্ঘ নয়মাস সাধারণ মানুষের আতঙ্কের মধ্যে দিন কেটেছে। ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষ ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে। ক্রিসমাসের দিনে সমস্ত দর্শনীয় স্থানে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষের ঢল ছিল চোখে পড়ার মতো।
ক্রিসমাসের দিনে শিশুদের প্রিয় বিধান শিশু উদ্যানও ছিল জমজমাট। বছরের প্রথমদিনে রাজ্যের সব দর্শনীয় স্থানে মানুষের ভিড় ছিল নজরকাড়া।
গতকাল বছরের প্রথম দিনে বিধান শিশু উদ্যানে সকাল থেকে সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে ছিল জমজমাট।
প্রায় দশ হাজারের মতো মানুষ বিধান শিশু উদ্যানে বেড়াতে এসেছিলেন। চোখে পরার মতো বিষয় ছিল করোনাকালে দীর্ঘদিন উদ্যান বন্ধ থাকার পর শিশুদের উপস্থিতি। অতিমারির কারনে গত বছরের তুলনায় এবছর অতিথিদের উপস্থিতি এক চতুর্থাংশেরও কম।
কিন্তু অতিমারির কারনে এই উপস্থিতি আমাদের কাছে অত্যন্ত আশাব্যজ্ঞক। করোনা বিধি মেনে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে আগত অতিথিবৃন্দ সারাদিন ধরে খাওয়াদাওয়া করলেন এবং বাচ্চারা খোলা আকাশের নীচে দোলনা, চড়কি, সী-স চড়ে বা বাঘ হাতি জিরাফের পিঠে উঠে আনন্দ উপভোগ করলো।
বিধান শিশু উদ্যানের পক্ষে এটাই আমাদের বড় পাওনা। এই কথা জানালেন, বিধান শিশু উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার।
বিধান শিশু উদ্যানের পরিবেশ পুরোটাই প্রায় খোলামেলা। তাই প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনেই সারাদিন আনন্দ উপভোগ করেছে।
অনেকেই বাড়ি থেকে খাবার বানিয়ে নিয়ে এসে এক সাথে বসে আনন্দ করে খেলেন। বাড়ির খাবারের পাশাপাশি উদ্যানে বিক্রয়কারী দোকানদারের কাছ থেকে শরবত,
ঘুঘনি, ভেলপুরী, ফুচকা খেয়েছে সপরিবারে আনন্দ সহকারে। অনেক বাচ্চা কে বাবা মায়ের সাথে খেলনা কিনতে দেখা গেল।
গৌতম বাবু বলেন আমরা খুব শীঘ্রই উদ্যানের নিয়মিত বিভাগগুলো চালু করতে চলেছি। যা সম্পূর্ণভাবে করোনা পরিস্থিতির স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
Be First to Comment