করোনায় দুস্থদের অন্ন জোগানে লাগছে লেখিকার বই বিক্রির অর্থও
জয়দেব দেবনাথ : কলকাতা, ২১ মে, ২০২১। করোনা অতিমারীর কালো ছায়া যেন পিছু ছাড়ছে না। করোনার প্রথম ঢেউ বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে সেই সাথে মানুষকে কর্মহীন থেকে ভিখিরি করে ছেড়েছে। এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। আজ মানুষ বড় অসহায়। সমাজে থেকে সমাজের জন্য কাজে আজ যেমন এগিয়ে এসেছে নানা বিশিষ্টজনেরা, আবার সমাজের নানা স্তরের মানুষও নিজের মতো করে সাহায্য করছেন। এদের মধ্যে স্বাতী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন শুরু করল করোনা আক্রান্ত,
দুস্থ অসহায় কর্মহীন পরিবারের খোঁজ ভবঘুরে কলমে স্বাতী বোল ফেসবুক পেজে এবং স্বাতী ওয়েল্ফেয়ার ফাউন্ডেশনের নম্বরে ফোন করে বললেও মিলবে সাহায্য যা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই। রান্না করা খাবারের ফ্রি হোম ডেলিভারি থেকে শুকনো খাদ্যসামগ্রীও। ২০১৯ এর স্বাধীনতা দিবসের দিন এই সংস্থার পথ চলা শুরু। এর প্রধান লক্ষ্য গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল গৃহহীন বৃদ্ধ , বাচ্চাদের মুখে রোজ খাদ্য তুলে দেওয়া। এই অতিমারির সময়ে কাজ আরও বহুগুণ বেড়েছে। আগরপাড়ার রেল বস্তি অঞ্চলে প্রায় ২৫০ পরিবার কে সাহায্য করে চলেছে যারা করোনাকালে কাজ হারিয়েছেন। এছাড়া ইটভাটা অঞ্চলে অপুষ্টিতে জর্জরিত গরিব মানুষদের খাওয়ার পরিবেশন করা, বাদ পড়েনা যৌনপল্লির মানুষজনও। স্বাতী ওয়েলফেয়ারের আগরপাড়ার অফিস থেকে কোনো অসহায় পরিবারের প্রয়োজন হলে সে খাদ্যসামগ্রী বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারবে। আগরপাড়া থেকে ব্যারাকপুর এর মধ্যে এই সংস্থা করোনা আক্রান্ত পরিবার যাঁরা আর্থিক ভাবে
দুর্বল তাঁদের বিনামূল্যে খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। প্রয়োজনে যোগাচ্ছে অক্সিজেন সিলিন্ডারও। এর পাশাপাশি মাজদিয়া, বারাসাত, কৃষ্ণনগর, গঙ্গাসাগর প্রমুখ অঞ্চলেও কোভিড পীড়িত অসহায় কর্মহীন দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে তারা এই উদ্যোগে সামিল প্রায় সত্তর জন। আর এর নেপথ্যে এবং নেতৃত্বে লেখিকা স্বাতীলগ্না বল। তিনি তাঁর ফেসবুক পেজ ভবঘুরে কলমে স্বাতী বল থেকে ক্রাউড ফান্ডিং করেন, নিজের লেখা বইয়ের বিক্রির আয়ও বিলিয়ে দেন সংস্থার কাজে।স্বাতী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের পেজ থেকেও আবেদন জানানো হয় সহযোগিতার। স্বাতীলগ্না এই প্রসঙ্গে বলেন,” দিনের পর দিন মানুষের অপূর্ণ হওয়া খিদের জ্বালাই মানুষকে ঠেলে দেয় অপরাধমূলক কাজের দিকে।
অভুক্ত মানুষেরা পেটের জ্বালা নিবারণের জন্যেই চুরি থেকে দেহব্যবসা, বিভিন্ন কাজ করে। আমরা যদি এই পেটের জ্বালাকে খাবার দিয়ে নিবারণ করি তাহলে এই কোভিডের সময়ে অপরাধমূলক কর্মকান্ড থেকে এরা বিরত থাকবে। এদের মুখে একচিলতে হাসি ও এদের খিদে নিবারণও আমাদের কাজ। “
Be First to Comment