ইন্দ্রজিৎ আইচ : কলকাতা, ১, সেপ্টেম্বর, ২০২০। কলকাতা প্রেক্ষাপট দীর্ঘদিন যাবৎ বাটা-মহেশতলা তথা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল ছাড়াও ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানে অতি সুনামের সাথে নাট্যচর্চায় নিয়োজিত এবং বিভিন্ন সামাজিক কাজেও লিপ্ত থাকে। সারা বছর অত্যন্ত ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কাটলেও এই বছর এক ব্যতিক্রম পরিস্থিতি। করোনা মহামারীর দাপটে আজ শিল্পকর্ম স্তব্ধ। থিয়েটারের হল গুলো বন্ধ। শিল্পীরা মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে সময় কাটাচ্ছে। এই পরিস্থিতি মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছেনা কারোর পক্ষেই, কিন্তু সকলেই বাধ্য হচ্ছে মেনে নিতে। বহু শিল্পীর উপার্জন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে এবং আর্থিক ভাবে তাঁরা খুবই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছে। আর প্রযুক্তির সাথে যুক্ত শিল্পীদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। শুধুমাত্র নাট্য শিল্পীরাই নয় অন্যান্য আঙ্গিকের সাথে যুক্ত শিল্পীরাও বেশ খারাপ পরিস্থতিতে আছেন। এই পরিস্থিতি যে কোনো শিল্পীর কাছেই প্রায় আত্মহত্যার সামিল।
এই কঠিন পরিস্থিতিতেও কলকাতা প্রেক্ষাপট তাঁদের ভাবনা চিন্তা থামিয়ে রাখেনি। বেশ কিছুদিন সমস্ত কাজ স্তব্ধ থাকলেও তাঁরা বর্তমানে নাটকের মহড়া শুরু করে দিয়েছে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনেই এবং দলের শিল্পীদের নিজেদের চেষ্টায় তৈরী প্রথম শ্রুতিনাটক “নীল নীলা” তাদের ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেছে। মহেশতলা অঞ্চলের সকল শিল্পীদের এই দুঃসময়ে নিয়মিত সকলের সাথে যোগাযোগ রেখে তাঁদের মনোবল বাড়াতে চেষ্টা করছে। তাই মহেশতলা অঞ্চলের শিল্পীদের পরিস্থিতি এবং আগামীদিনের পরিকল্পনা তুলে ধরতে কলকাতা প্রেক্ষাপট একটি থিয়েটার কেন্দ্রিক এবং আরেকটি নৃত্য কেন্দ্রিক অনলাইন সেমিনারের আয়োজন করেছিলো।
থিয়েটার কেন্দ্রিক সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল- “করোনাক্রন্তি পরিস্থিতিতে মহেশতলা অঞ্চলে নাট্যচর্চার গতিপথ”। এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন বাটা–মহেশতলা অঞ্চলের বিশিষ্ট নাট্য পরিচালকবৃন্দ কালীশংকর ভট্টাচার্য, রবীন চক্রবর্তী, সমীরণ ঘোষ, পল্লব রায়, সংগ্রাম চট্টোপাধ্যায়, অভিজিৎ গুপ্ত এবং নাট্য ব্যক্তিত্ব পীযূষ দাস। নৃত্য কেন্দ্রিক সেমিনারের বিষয়বস্তু ছিল – “করোনাক্রন্তি কাল যাপনে মহেশতলা অঞ্চলের নৃত্য – অনিত্য এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা”। এই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন বাটা–মহেশতলা অঞ্চলের বিশিষ্ট নৃত্য পরিচালকবৃন্দ পুষ্পক মুখার্জি, অরূপ চক্রবর্তী, চঞ্চল সেন, শ্রীনুতা ঘোষ ও সুদেষ্ণা শিকদার।

Be First to Comment