Press "Enter" to skip to content

ওয়াল্ট ডিজনির তৈরি অ্যানিমেশন ‘দ্য লায়ন কিং’ ছবির আবহসংগীতের জন্য অস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার পেয়েছেন জন এলটন…..।

Spread the love

শু ভ জ ন্ম দি ন স্যা র এ ল টন জ ন

বাবলু ভট্টাচার্য : একাধারে গীতিকার, সুরকার, প্রযোজক, পিয়ানো বাদক ও গায়ক এলটন জন সত্তরের দশক থেকেই বিশ্ব সাফল্য ও জনপ্রিয়তা পেয়ে আসছেন। পিয়ানো বাজিয়ে তার স্বভাবসিদ্ধ প্রাণবন্ত ও আনন্দোচ্ছ্বল গান দিয়ে মুগ্ধ করেন সারাবিশ্বের শ্রোতা-দর্শকদের।

ওয়াল্ট ডিজনির তৈরি অ্যানিমেশন ‘দ্য লায়ন কিং’ ছবির আবহসংগীতের জন্য অস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার পেয়েছেন জন এলটন।

তার আসল নাম রেজিনাল্ড ক্যানেথ ডুইট। বাবা স্ট্যানলে এবং মা শীলা ইলিন ডুইট দুজনেই সংগীতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। উইনিফ্রেড এটওয়েলের দ্য স্ক্যাটারস ওয়াল্টজ অনুকরণ করে এলটন জন ৩ বছর বয়সেই পিয়ানো বাজিয়েছিলেন।

১৯৫৬ সালে মায়ের কেনা এলভিস প্রিসলি এবং বিল হ্যালে অ্যান্ড হিজ কমেটস রেকর্ডগুলো এলটন জনকে রক অ্যান্ড রোলের জগতে খুব দ্রুত ধাবিত করে। লন্ডনের মিডিলসেক্সের পাইনারে নানার বাড়িতে শৈশবকাল অতিবাহিত করা অবস্থায় মাতৃহারা হন তিনি।

সাত বছর বয়সে পার্টিসহ পারিবারিক পরিবেশে পিয়ানো শেখার আনুষ্ঠানিক অনুমতি পান তিনি। জন রয়্যাল একাডেমী অব মিউজিকে ১১ বছর বয়সে জুনিয়র বৃত্তি লাভ করেন।

পাইনার উড জুনিয়র স্কুল, রেড্ডিফোর্ড স্কুল এবং পাইনার কাউন্টি গ্রামার স্কুলে ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি পড়াশোনা করেন। কিন্তু এ লেভেল পরীক্ষার পূর্ব মুহূর্তে পড়াশোনার পাট চুকিয়ে সংগীত ভুবনে পদার্পণ করে নিজেকে সংগীতে মনোনিবেশ ঘটান। ১৯৬৪ সালে তিনি ও তার বন্ধুরা একত্রিত হয়ে ‘ব্ল–সোলজি’ ব্যান্ড গঠন করেন। আর তিনি সে সময়ই স্যার এলটন হারকিউলিস জন সংক্ষেপে ‘এলটন জন’ নাম গ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে ব্যান্ডটি সংগীত পরিচালক লং জন বলদ্রির পরিচালনায় দ্য মার্কু ক্লাবে ১৬ বার সংগীত পরিবেশন করে।

এলটন জন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পরিচিত সহ-গীতিকার বার্নি তাওপিনের সঙ্গে ১৯৬৭ সাল থেকে গান লিখেছেন। ১৯৬৯ সালে বের হয় তার প্রথম অ্যালবাম ‘এম্পটি স্কাই’। ’৭০ দশকের প্রথমদিকে তার দ্বিতীয় অ্যলবাম তাকে এনে দেয় আন্তর্জাতিক খ্যাতি। ইংরেজ গায়ক হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন তিনি।

জনের কর্মময় জীবনের চারটি অধ্যায়ে ২৫০ মিলিয়নেরও অধিক গানের রেকর্ড বিক্রি হয় এবং তিনি সর্বকালের সেরা-বিক্রীত মিউজিক অ্যালবামের সফলতম শিল্পী হিসেবে চিহ্নিত হন। তার একক অ্যালবাম ‘ক্যান্ডল ইন দ্য উইন্ড ১৯৯৭’ বিশ্বব্যাপী ৩৩ মিলিয়নেরও অধিক কপি বিক্রি হয় এবং বিলবোর্ড হট ১০০-এর ইতিহাসে সর্বাধিক বিক্রীত একক অ্যালবামের তালিকায় স্থান করে নেয়।

এলটন জন ১৯৯৮ সালে ইংল্যান্ডের ‘নাইট উপাধি’ পান। এছাড়া ১৯৮৭, ১৯৯১, ১৯৯৪, ১৯৯৭, ১৯৯৯ এবং ২০০০ সালে মোট ছয়বার সম্মানজনক গ্রামি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। ২০০৯ সালের এপ্রিল মাসে ‘দ্য সানডে টাইমস’ ধনীদের তালিকার জরিপে এলটন জন ব্রিটেনের ৩২২তম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হিসেবে ২৬৫ মিলিয়ন ডলারের মালিক হিসেবে পরিচিতি পান।

১৯৮৬ সাল থেকে এলটন জন তার গান পরিবেশনের প্রাপ্ত অর্থের অংশবিশেষ এইডস রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতার অংশ হিসেবে দাতব্য তহবিলে প্রদান করে আসছেন। এইডস রোগ প্রতিরোধে ১৯৯২ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘এলটন জন এইডস ফাউন্ডেশন’।

স্যার এলটন হারকিউলিস জন ১৯৪৭ সালের আজকের দিনে (২৫ মার্চ) লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন।

More from EntertainmentMore posts in Entertainment »
More from InternationalMore posts in International »
More from MusicMore posts in Music »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.