নিজস্ব প্রতিনিধি : কলকাতা, ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫। সনাতন জ্ঞান ও ঐতিহ্য চর্চাকে আরও আধুনিক করতে ও পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সহজে পৌঁছে দিতে আধুনিক প্রযুক্তি এ আই এর সহায়তা নিচ্ছে ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টার (BRC)। এজন্য তারা আইআইটি বম্বের অধীন টিআইএইচ-আওটিতে ভারতজেন উদ্যোগের সঙ্গে মউ (মেমোরান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং) সই করল সোমবার ।
এদেশে ভাষার যে বিপুল বৈচিত্র্য রয়েছে, সেই ভাষাবিদ্যাকে এক ছাতার তলায় এনে ভাষা সম্পর্কিত প্রযুক্তি উন্নত করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে ভারতজেনের।
ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের স্নাতকোত্তর স্তরের ডিগ্রিকে মান্যতা দিয়েছে মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়। এখানকার গবেষণাকে স্বীকৃতি দিয়েছে সাবিত্রীবাই ফুলে পুণে ইউনিভার্সিটি অফ রিসার্চ। ভারতের ঐতিহাসিক প্রাচুর্য, দর্শন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারে গবেষণা হয়। তাছাড়া ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষা ও সংরক্ষণেও তাদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
এই চুক্তির ফলে গবেষণার প্রচলিত প্রক্রিয়া ও প্রণালী আরও উন্নত করে এবং দক্ষতা আরও বাড়াতে উন্নতমানের সফ্টওয়্যার টুল তৈরিতে তারা জোর দেবে। প্রাচীন প্রথাগত শিক্ষা, শিক্ষাপদ্ধতি ও গবেষণাকে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে উন্নত করার লক্ষ্যে এই সফ্টওয়্যাল ডেভেলপ করা হবে। এর ফলে প্রাচীন বিদ্যা সহজেই করায়ত্ত্ব করা সম্ভব হবে আধুনিক প্রজন্মের পক্ষে।
আইআইটি বম্বের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং ভারতজেনের প্রিন্সিপ্যাল ইনভেস্টিগেটর অধ্যাপক গণেশ রামকৃষ্ণন বলেন, “ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের সঙ্গে ভারতজেনের পথ চলার অর্থ হল ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যে সম্ভাবনা রয়েছে তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। সেই যাত্রাই শুরু হতে চলেছে।” ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন ডক্টর সুমন্ত রুদ্র বলেন, “এই পথ চলার মাধ্যমে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা পাওযা যাবে। বাংলা হরফ নিয়ে কাজের ক্ষেত্রে গবেষকদের সুবিধা হবে।
এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আই আই টি বম্বের কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের ইন্সটিটিউট চেয়ার প্রফেশর গনেশ রামকৃষ্ণান, টেকনলজি ইনকিউবেশান হাবের সিইও কিরন শেষ, ভারত জেনের সিইও ঋষি বল, প্রোগ্রাম ডিরেক্টর পঙ্কজ সিং,কোয়ালিটি স্পেশালিষ্ট ডক্টর তুশার ভোরা ও ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন সুমন্ত রুদ্র ও বলরাম লিলা দাস।
ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণায় কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা, আইআইটির সঙ্গে মউ ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের..।

More from GeneralMore posts in General »
- চেন্নাইয়ের বিশ্বখ্যাত লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হাসপাতাল, রেলা হাসপাতাল, কলকাতায় তাদের প্রথম লিভার রান সফলভাবে আয়োজন করেছে, যার লক্ষ্য লিভারের অসুখ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা….।
- প্রেস রিলিজ লিভারের অসুখ সারাতে ১০০০ জনেরও বেশি লিভার রোগী, পরিবার এবং জনসাধারণ দৌড়লেন এই লিভার রানে ১৫০ জনেরও বেশি লিভার রোগী এবং তাঁদের পরিবার অংশগ্রহণ করেন। এই লিভার রান আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন রেলা হাসপাতালের সিইও ডাঃ ইলানকুমারন কালিয়ামূর্তি, যিনি এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে তাঁর সহায়তা দান করেন। এই যুগান্তকারী অনুষ্ঠানের লক্ষ্য হল লিভার রোগী, তাঁদের পরিবার এবং জনসাধারণকে একসাথে এনে চিকিৎসা তহবিল সংগ্রহ এবং লিভারের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই লিভার রানে ২.৫ কিমি, ৫ কিমি এবং ১০ কিমি, এই তিনটি বিভাগে অংশ ছিল, যেগুলিতে সবধরনের ফিটনেস স্তরের অংশগ্রহণকারীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২.৫ কিলোমিটার বিভাগটি মূলত হাসপাতালের লিভার রোগীদের জন্য, যা তাঁদের প্রচুর সহ্যশক্তি, শুরুতেই দ্রুত শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। ৫ কিমি এবং ১০ কিমি বিভাগগুলি সাধারণ জনগণের জন্য, যা সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এই মহৎ উদ্দেশ্যে সমর্থন জানাতে একসাথে হতে উৎসাহ দেয়। এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলতে গিয়ে, রেলা হাসপাতালের সিইও ডাঃ ইলানকুমারন কালিয়ামূর্তি বলেন, “কলকাতায় আমাদের প্রথম লিভার রান শুরু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্ববোধ করছি। এই অনুষ্ঠানটি আমাদের লিভার রোগী, তাঁদের পরিবার এবং সমাজকে লিভার রোগ, লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান, অঙ্গদানের তাৎপর্য এবং প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি যৌথ লক্ষ্যে একত্রিত করার সুযোগ করে দেয়।” রেলা হাসপাতালের হেপাটোলজি বিভাগের ডিরেক্টর ডাঃ দীনেশ জোথিমানি বলেন, “লিভারের রোগ বিশ্ব জুড়ে ক্রমশ বেড়ে চলা স্বাস্থ্যহানিতে চিন্তার বিষয়, সারা বিশ্বে ৮০ কোটিরও বেশি মানুষ কোনও না কোনও ধরণের লিভারের রোগে ভুগছেন। কেবলমাত্র ভারতেই, আনুমানিক ৩০% জনসংখ্যা ফ্যাটি লিভার রোগে আক্রান্ত। এটি মূলত জনসাধারণের মধ্যে খুব কম শারীরিক শ্রমের জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত। উদ্বেগের বিষয়, লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সার এখন দেশে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি। শুরুতেই দ্রুত রোগনির্ণয় এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলে জীবনের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে পারে এবং ‘দ্য লিভার রান’-এর মতো ইভেন্টগুলি সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবং লিভারের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।” এই লিভার রানের উদ্দেশ্য হল লিভারের রোগ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনের মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। কলকাতা, ৯ মার্চ ২০২৫: চেন্নাইয়ের বিশ্বখ্যাত লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট হাসপাতাল, রেলা হাসপাতাল, কলকাতায় তাদের প্রথম লিভার রান সফলভাবে আয়োজন করেছে, যার লক্ষ্য লিভারের অসুখ, অঙ্গদানের গুরুত্ব এবং লিভার প্রতিস্থাপনের পর জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা….।
- অশোক আখড়া এক ব্যায়াম মন্দিরের আয়োজনে ন্যাশনাল আয়রন লিফটিং আর্ম ফাইটিং ও গ্রিক গড শের ই হিন্দুস্থান ২০২৫…।
- নারী স্বাধীনতা ও নারীবাদে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়….।
- দুশ্চিন্তা বা মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উপায় বললেন মনোবিদ থেকে পর্বতারোহীরা….।
- কলকাতা প্রেসক্লাবে অষ্টম সমাজকল্যান রত্ন সম্মান-২০২৫….।
Be First to Comment