ঈশানী মল্লিক (কলামনিস্ট) : কলকাতা, ১৫ জুন ২০২২। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তপসিলি জাতি, আদিবাসী ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম রাজ্যের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ছেলে-মেয়েদের বিনামূল্যে কারিগরি দক্ষতার প্রশিক্ষণ দিয়ে স্বনির্ভর করার উদ্যোগ প্রতি বছরই নিয়ে থাকে। এই মর্মে রাজ্যে যে সমস্ত সংস্থা সরকারি প্রশিক্ষণ করায় তাদের এই নিগমের প্রশিক্ষণ-এ আবেদন করার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। গত ৮ জুন, ২০২২ থেকে বিজ্ঞপ্তি দেখে অফলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আবেদনের শেষ তারিখ ও সময়: ২২ জুন, ২০২২, দুপুর ৩ টে। এই সময়সীমার পর আর আবেদন গ্রহণ করা হবে না। আবেদনের বিশদ প্রক্রিয়া, শর্তাবলী ও আবেদনের ফর্ম নিচের ওয়েবসাইট লিংক এ গিয়ে বিজ্ঞপ্তি নং-এ দেখুন। ওয়েবসাইট:www.wbbcdev.gov.in ও
বিজ্ঞপ্তি নং.: Ref No. 280/SCTB, Date: 8/06/2022।
আবেদন ফর্ম ও প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কিত সমস্ত নথি একটি বড় খামে ভরে ভালো করে সিল করে ডাকের মাধ্যমে বা নিগমের অফিসে সোম থেকে শুক্র (শনি, রবি ও সরকারি ছুটির দিন বাদে) অফিস সময়ের মধ্যে জমা করতে হবে।
খামের ওপর লিখতে হবে:
To
The Managing Director
West Bengal SC, ST & OBC Development & Finance Corporation
CF-217/A/1, Sector-1, Salt Lake City, Kolkata- 700064।
খামের নিচে; যে সংস্থা পাঠাচ্ছে তাদের ঠিকানা, ফোন নং, ইমেল আইডি লিখতে হবে।
ট্রেনিং প্রোভাইডারদের আবেদনের যোগ্যতা:
১. সরকারি ট্রেনিং করানোর জন্য; এনএসডিসি (ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন) অথবা এসএসসি (সেক্টর স্কিল কাউন্সিল) এর অনুমোদন থাকতে হবে।
২. বিগত ৫ বছরে (অর্থবর্ষ : ২০১৭-২০১৮ থেকে ২০২১-২০২২) যে কোনো সরকারি দপ্তরের সহায়তায় অন্তত ৩ হাজার জন ছেলে-মেয়েকে কারিগরী দক্ষতার প্রশিক্ষণ সফলভাবে শেষ করাতে হবে। এর সপক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্য আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
৩. বিগত ৫ বছরে (অর্থবর্ষ : ২০১৭-২০১৮ থেকে ২০২১-২০২২) যে কোনো সরকারি দপ্তরের সহায়তায় কারিগরী দক্ষতার ট্রেনিং করিয়ে
অন্তত ২ হাজার জন ছেলে-মেয়েকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার প্রমাণ আবেদনের সময় জমা দিতে হবে (জব এমপ্লয়মেন্ট/ সেল্ফ এমপ্লয়মেন্ট)।
৪. বিগত ৫ বছরে (অর্থবর্ষ : ২০১৭-২০১৮ থেকে ২০২১-২০২২) কোম্পানি, ইন্সস্টিটিউট বা অর্গানাইজেশন কে কমপক্ষে ২ কোটি টাকার যে টার্ন-ওভার হয়েছে; তা প্রমাণসহ আবেদনের সময় দাখিল করতে হবে।
৫. কোনো একটি ট্রেনিং সংস্থা অপর কোনো সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ট্রেনিং করানোর জন্য আবেদন করতে পারবে না।
৬. প্রত্যেকটি ট্রেনিং সেন্টারকে ‘এসএসসি ‘ গাইডলাইন অনুযায়ী “SMART CENTRE” হতে হবে। (‘SMART CENTRE’ এর গাইডলাইন এনএসডিসি- র ওয়েবসাইট nsdcindia.org – তে জানা যাবে।)
৭. একজন ট্রেনিং প্রোভাইডার এনএসকিউএফ (ন্যাশনাল স্কিল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক)-এর নিয়মানুযায়ী একাধিক জেলায় একাধিক প্রশিক্ষণ- এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
৮. প্রশিক্ষণ চলাকালীন প্রত্যেকটি সেন্টারে পড়ুয়াদের বায়োমেট্রিক উপস্থিতি নেওয়ার ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রয়োজন অনুসারে তা জমা দিতে হবে।
৯. কোনো সংস্থা যেই ট্রেডেই ট্রেনিং করুন; সেই কোর্স করার জন্য এনএসডিসি-র শর্তাবলী অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ করবে। শিক্ষকদের যাবতীয় তথ্য ও যোগ্যতার সার্টিফিকেট আবেদনের সময় জমা করতে হবে।
১০. এনএসকিউএফ-এর কোর্স এর সিলেবাস অনুযায়ী যে কোনো বিভাগে প্রশিক্ষণ-এর
পুরো থিওরি ও কোনো ক্ষেত্রে প্রাকটিক্যাল থাকলে সেই মতোই প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
১১. কোনো ট্রেনিং প্রোভাইডার কাজ শুরু করার পর; ট্রেনিং শেষে ছেলে-মেয়েদের সার্টিফিকেট করানোর জন্য ” থার্ড পার্টি অ্যাসেসমেন্ট” করার অনুমতি পাবে না।
১২. পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর; প্রত্যেক সফল পড়ুয়ার সার্টিফিকেট এসএসসি বা এনএসডিসি অনুমোদিত হতে হবে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য ওয়েবসাইট দেখুন।
Be First to Comment