Press "Enter" to skip to content

একান্নটি সতীপীঠের অন্যতম কামাখ্যা শক্তিপীঠে দেবী সতীর যোনি পড়ে ছিল ৷ এখানে দেবীর কোন প্রতিমা নেই যোনির পুজো করা হয় ৷ ভক্তদের দেওয়া হয় ভেজা লাল কাপড় বা অম্বুবাচী বস্ত্র….৷

Spread the love

” অম্বুবাচী , মা কামাখ্যা ও তন্ত্র “!
—————————————————————-
ডাঃ দীপালোক বন্দ্যোপাধ্যায় : কলকাতা, ২০ জুন, ২০২৪। “অম্বুবাচী ” শব্দটির আক্ষরিক অর্থ ” অম্বু” বা জল আর “বাচী” মানে বৃদ্ধি ৷ একে সংস্কৃতে পুরো কথায় বলে ” রজোযুকক্ষ্মাম্বুবাচীয” ৷ অম্বুবাচীর আগের দিনকে বলে ” অম্বুবাচী প্রবৃত্তি ” আর তিন দিন পরে হয় ” অম্বুবাচী নিবৃত্তি ” ৷ সূর্যদেব যে বারের যে সময়ে মিথুন রাশিতে গমন করেন , তার পরবর্তী সেই বারের সেই কালে অম্বুবাচী হয় ৷ প্রাচীন বাংলা ও অসমীয়া নিরায়ণ পঞ্জিকা মতে ১৪৩১ বঙ্গাব্দে ৭ আষাঢ়( ২২জুন ২০২৪ ) শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা ৩১ মিনিটে পড়ছে অম্বুবাচী তিথি ৷ শ্রীশ্রীকামাখ্যামায়ের মহাপূজা ৷ ২৫ জুন ২০২৪ বা ১০ আষিঢ় ১৪৩১ ভারতীয় সময় রাত্রি ঘ ১ গতে অম্বুবা এরপর থেকে বীজবপন ও ধান্যরোপন ৷ আমরা ঈশ্বরকে একবারে নিজেদের মত করে কল্পনা করেছি ৷ যাতে ভগবান বা ভগবতী হয়ে উঠেছেন , একান্ত আপন ও প্রিয়জন ৷ একান্নটি সতীপীঠের অন্যতম কামাখ্যা শক্তিপীঠে দেবী সতীর যোনি পড়ে ছিল ৷ এখানে দেবীর কোন প্রতিমা নেই যোনির পুজো করা হয় ৷ ভক্তদের দেওয়া হয় ভেজা লাল কাপড় বা অম্বুবাচী বস্ত্র ৷ প্রথম দিনে ভক্তরা কামেশ্বরী দেবী ও কামেশ্বর শিবের দর্শন করেন ৷ আমাদের বেদ , পুরাণ সহ শাস্ত্রে সাত মায়ের কথা আছে ৷তার মধ্যে পৃথিবীও আমাদের কাছে মাতৃসমা দেবী৷ দক্ষিণায়নের দিন থেকে তিনদিন সূর্য যে বারের যে সময়ে মিথুন রাশিতে গমন করে পরবর্তী সময়টিতে হয় অম্বুবাচী ৷ বিশদে সূর্যদেব আর্দ্রা নক্ষত্রের প্রথম পাদে অবস্থান কালে রাশিচক্রের মিথুন রাশির ৬ ডিগ্রী ৪০ মিনিট থেকে ১০ ডিগ্রী পর্যন্ত ( অর্থাৎ ৩ ডিগ্রী ২০ মিনিট ) সময়কালে ধরিত্রী মা ঋতুমতী হন , এটাই অম্বুবাচী ৷ মৃগ শিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে আসে এই সময় ৷ অর্থাৎ মনে করা হয় গ্রীষ্মের প্রখর দাবদাহের পর বর্ষার আগমনে একজন মহিলার মত এই সময় ভূদেবী বা ধরিত্রী মা অর্থাৎ পৃথিবী রজঃস্বলা হন ৷ কোথাও এর নাম অমাবতী আবার কোন জায়গায় রজঃউৎসব বলা হয় ৷ কামাখ্যা মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে একরকম লাল রংয়ের তরল (ভক্তরা একে বলে মায়ের রজঃস্রাবের রক্ত ) বের হয় ৷ মন্দিরে চলতে থাকে কীর্তন ৷ অম্বুবাচী উপলক্ষে ২২ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত কামাখ্যা মন্দিরের গর্ভগৃহ বন্ধ থাকে ৷ বিভিন্ন মন্দির ও গৃহদেবীর প্রতিমা ঢেকে রাখা হয় ৷” আষাঢ়ে প্রথমে দেবী অম্বুবাচী দিনত্রয়ং ৷ সংগোপনে গৃহে দেবিং স্থাপয়েদ্বস্তু বেষ্টনে “৷ বাহিরে প্রদীপ ও ধূপ জ্বালিয়ে মাকে প্রণাম করা হয় ৷ চতুর্থ দিন অম্বুবাচীর ‘নিবৃত্তি সময় ‘ রাত ৯.০৮ মিনিট ৷ ২৬ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় দেবীর স্নান ও পূজা সম্পন্ন হলে ভক্তরা মন্দিরে ঢুকে মাতৃদর্শনের অনুমতি পায় ৷ অম্বুবাচীর দিন গুলিতে সব দেবীর পূজা বন্ধ থাকে ৷ তবে , নারায়ণ , কৃষ্ণ , শিবের মত দেব পূজা করা যায় ৷ ঐসময় ভূমি কর্ষণ , বীজ বপন , পিতৃ -তর্পণ , ঢাক -ঢোল বাজানো , , ঘন্টা কাঁসরের আওয়াজ , গৃহ প্রবেশ , গৃহারম্ভ , ক্ষৌরকর্ম করা যায় না ৷ জপ – ধ্যান , হরিনাম করতে হয় ৷
সাধু -সন্ন্যাসী , বিধবা মহিলারা এই তিনদিন গরম খাবার খান না ৷ আগে রান্না করা খাবার বা ফল মূল খান ৷ তিনদিন পরে জামাকাপড় , বিছানা ধুয়ে নিজেরা সাবান শ্যাম্পু মেখে স্নান করে সবকিছুতে হাত দেন ৷ পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে জগন্নাথের পাশে ভূদেবীর মূর্তি রয়েছে ৷ সেখানে অম্বুবাচীর প্রথম দিনটি “পহিলি রজো” এবং তৃতীয় দিন “ভূ-দহ” বা বাসি রজো হিসাবে পালিত হয় ৷ অম্বুবাচীর পর বর্ষার জলধারায় পৃথিবী হলকর্ষণের উপযোগী হয়ে ওঠে ৷ মাটি হয়ে ওঠে উর্বর ৷ ধরিত্রী হয়ে ওঠে শস্য শ্যামলা ৷
” কামার্থমাগতকা যস্মান্ময়া সার্দ্ধং মহাগিরৌ ৷
কামাখ্যা প্রোচ্যতে দেবী নীলকূটে রহোগতা “৷৷
মহাদেবী অভিলাষ পূরণের জন্য এখানে এসেছেন
বলে নাম ” কামাখ্যা” ! তিনি কামদা, কামিনী , কামা, কান্তা , কামদায়িনী আবার কামনাশিনী ৷
নীলকূট পাহাড়ের উপর যেখানে দেবীর “যোনী” পড়েছিল সেই প্রস্তরই কামাখ্যা দেবী বা কুব্জিকা ৷
লাল শালুতে ঢাকা ৷ প্রতি মাসে দেবী রজঃস্বলা হন ৷শাস্ত্র বলে ৫১ টি সতীপীঠের অন্যতম এখানে মাতৃ যোনি পরায় পাহাড়টি নীল রংয়ের হয়ে যায় ৷ নাম হয় নীলকন্ঠ বা নীলাচল পর্বত ৷ তাই একে বলে সৃষ্টি তীর্থ ৷ অসমের গুয়াহাটি শহর সংলগ্ন ৷ একে বলা হয় ” তীর্থ চূড়ামনি “৷ প্রাচীন কাল থেকে একে জাদু টোনা , তন্ত্র মন্ত্রের জায়গা বলা হয় ৷ এখানে নাকি ভূত , পেত্নি , ডাকিনী ও যোগিনীদের রাজত্ব ৷ পুরুষদের নাকি এখানকার নারীরা “ভেড়া ” করে দেয় ৷ আসলে তন্ত্র সম্বন্ধে না জানার ফল এগুলো ৷ মা ,কৃপাময়ী ৷
আমাদের পূর্বপুরুষদের কেউ তান্ত্রিক না হলেও দীর্ঘকাল গুয়াহাটিতে থেকেছেন ৷ সেখানকার বাঙালী ও অসমিয়া সাহিত্য , ধর্ম ও সংস্কৃতিতে শতাধিক বছর ধরে আমাদের পূর্বপুরুষদের বিরাট অবদান ৷ আমরা শাক্ত ব্রাহ্মণ  ৷আত্মীয় স্বজন এখনও প্রচুর ৷ এসব কল্পকাহিনীতে কেউ বিশ্বাস করেনা৷ আমিও একাধিক বার পুজো দিয়েছি ৷ বামত্তরীয় ব্রাহ্মণ আমাদের পান্ডা ঊমাশঙ্কর শর্মা খুব ভালো ভাবে
ঘুরে দেখিয়েছেন ৷ প্রসাদ দিয়েছেন ৷ বিভিন্ন তান্ত্রিকের সঙ্গে সাক্ষাতে জেনেছি তন্ত্র হলো শরীরকে জড়তা মুক্ত করার সাধন পদ্ধতি ৷ দেহের স্থূল , সূক্ষ্ম ও কারণ তিন রকম জড়তা দূর করে মোহ ও মায়ার বাঁধন ছিঁড়ে আমরা যে পরমাত্মার স্বরূপ সেই চেতনা লাভ করি ৷ তন্ত্রের বীজমন্ত্র নাদে পরিণত হয়ে জ্ঞানচক্ষু উন্মোচিত করে ৷ মন্ত্র জপ করতে করতে মেরুদন্ডের শীতল – স্নিগ্ধ চন্দ্র নাড়ি এবং তপ্ত – উত্তেজক সূর্য নাড়ির বায়ু বাঁ ও ডান নাক থেকে বের হওয়া বাতাসে ধাক্কা খেয়ে কুল কুন্ডলিনী চক্রের জাগরণ ঘটায় ৷ চক্র সিদ্ধির ফলে দেহরূপ যন্ত্র মায়ের পুজো সম্পন্ন করে ৷ আমি ধর্মান্বেষী ভবঘুরের মত ঘুরে বেড়িয়েছি ৷ অনেক সাধকের সংস্পর্শে আসার সৌভাগ্য হয়েছে ৷ জেনেছি পঞ্চ ম কার সাধনার পঞ্চ তত্ত্বের কিছু কথা ৷ তন্ত্রের মনের উপর বেশ কিছু প্রভাব চিকিৎসক তথা মনোবিদ হিসাবে লক্ষ্য করেছি ৷ চঞ্চলতা কমানো , কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি , রাগ কমানো ও সৃজনশীলতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা দেখেছি ৷ তা শুধু রোগীর বিশ্বাসের ফল মনে হয়নি ৷ দ্বিমত থাকতে পারে ৷ খারাপ কাজে কিছু বুজরুক তান্ত্রিকের বিষয়টা আমার মনে হয়েছে শুধু টাকা রোজগারের অবৈধ পন্থা ৷ দোষ তন্ত্রের নয় ৷
তন্ত্রের প্রধান কেন্দ্র কামাখ্যা মন্দিরের মূল উৎসব ” অম্বুবাচী” বা অমাবতী ৷
আমরা জানি আষাঢ় মাসে মৃগ শিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে সুর্যদেব মিথুন রাশিতে গমন করেন ৷শেষ হয় আদ্যা নক্ষত্রের প্রথম পাদে ৷ এটাই বাংলা প্রবাদ ” কিসের বার কিসের তিথি , আষাঢ়ের সাত তারিখ অম্বুবাচী” ৷হিন্দু বিশ্বাস এই সময় পৃথিবী ঋতুমতী হন ৷
পালিত হয় ” অম্বুবাচী” উৎসব ৷ ওড়িশাতে এর নাম রজঃউৎসব ৷ এই সময় বিধবা মহিলা ও ব্রতীরা গরম খাবার খান না ৷ ব্রত পালন করেন ৷ হল কর্ষন , গৃহপ্রবেশ ও বিবাহ বন্ধ থাকে ৷ সব মন্দিরের প্রবেশ দ্বার বন্ধ রাখা হয় ৷ শুধুমাত্র শ্রীকৃষ্ণের নিত্যসেবা যে কোন নারী রজঃস্বলা অবস্থায় বা অশৌচ অবস্থায় যেমন করতে পারেন এই সময়ও করেন ৷ আমাদের এলাকায় মুসলমান চাষী ও মজুরেরাও খোঁড়াখুঁড়ি ও হাল ধরা বন্ধ রাখেন ৷ এই সময় কামরূপ কামাখ্যা মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে লাল রংয়ের তরল ( ভক্তদের মতে মায়ের রজস্রাব) বের হয় ৷ সারা ভারতবর্ষ থেকে লাখ লাখ ভক্ত এই সময় কামাখ্যা মন্দিরে উপস্থিত হন ৷ নাম গানে কীর্তনে এলাকা মুখর হয়ে ওঠে ৷ পান্ডারা ভক্তদের ওই রক্তভেজা কাপড়ের টুকরো দেন ৷যা পুরুষেরা ডান হাতে বা গলায় এবং মহিলারা বাঁ হাতে বা গলায় মাদুলি করে পরেন ৷ মনে করা হয়
মায়ের আর্শীবাদে এতে দুঃখ বিপদ দূর হয় ৷ এই রক্তবস্ত্র পরিধান করে শ্মশানে ও মৃতের ঘরে যেতে নেই ৷
“তন্ত্রের” কথা বললেই আমাদের সবার আগে মনে আসে এর পীঠস্থান গৌহাটী শহর সংলগ্ন “কামাখ্যা ” মন্দিরের
কথা ৷ এখানে ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই ৷ কারন মা হলেন ব্রহ্মময়ী ও আনন্দময়ী ৷ সন্তানদের সেই চোখেই দেখেন ৷ একশ্রেণীর বুজরুগ তন্ত্রের নামে বশীকরন , যাদু টোনার কথা বলে ব্যবসা করে ধর্মকে বিকৃত করেছে ৷ সনাতন ধর্ম সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানই পারে এসবকে থামাতে ৷ ঈশ্বরের কাছে পৌঁছানোর অনেক পথের একটি হলো তন্ত্র ৷
ঋগ্বেদের দশম সূক্তে ( ৭১.৯) মনে হয় প্রথম “তন্ত্র” শব্দটি দেখা যায় ৷ হিন্দু ও বৌদ্ধ দুই ধর্মে রয়েছে তান্ত্রিক আচার ৷ হিন্দু তন্ত্রকে বলা হয় শিবোক্ত শাস্ত্র ৷ খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দী থেকে শুরু হয় তন্ত্রের রমরমা ৷ ভারতে কখনও নারী – পুরুষের যৌন চাহিদাকে খারাপ চোখে দেখা হয়
নি ৷ যৌনতাকে কেউ কেউ মোক্ষ লাভের উপায় মনে করেছেন৷
যাইহোক , তন্ত্র মানে ত্রাণ বা মুক্তি ৷ তন্ত্র পথের দুটি ভাগ – আগম আর নিগম ৷” আগতং” – এর
প্রথম অক্ষর ” আ” , “গতঞ” শব্দের প্রথম অক্ষর
“গ” আর “মতঞ” শব্দের প্রথম অক্ষর “ম” ৷ এই
নিয়ে আগম ৷ আমাদের মানব জীবনে নানা বন্ধন
– পারিবারিক , সামাজিক, ভাষাগত , গোষ্ঠীগত ,
জাতিগত ও আর্থিক ৷ সেইসব বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়াই ” মুক্তি” ৷ আর একবার বন্ধন মুক্তির পর পুনরায় বন্ধনে না জড়িয়ে পড়লে তবেই হয় “মোক্ষ লাভ ” ৷ মা কামাখ্যাকে জানা বা ভগবানকে জানাই ” আত্মজ্ঞান ” ৷ সেটা লাভ করলেই হয় মোক্ষলাভ ৷ ভারতের তন্ত্র সাধনার আদি ও অকৃত্রিম জায়গা হলো অসমের নীলাচল পর্বত বা
“কামরূপ কামাখ্যা ” ৷ সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম এই
” যোনি পীঠ ” ৷ মা এখানে চিরযৌবনা কামেশ্বরী ৷
৬৪- কলার গোপন সাধনার কেন্দ্র ৷ কামদেবতা
এখানে কামাখ্যা মন্দির স্থাপন করেন বলে নাম
“কামরূপ কামাখ্যা “৷ স্বপ্ন পেয়ে কোচবিহারের রাজা বিশ্ব সিংহ প্রতি ইটে এক রতি করে সোনা দিয়ে সপ্ত রথ আকৃতির মৌচাকের আদলে মন্দিরটি তৈরী করেন ৷ সাতটি গম্বুজে রয়েছে তিনটি সোনার কলসী ৷ মন্দিরের চারটি কক্ষ -গুহ্য গৃহ এবং চলন্ত , পঞ্চরত্ন ও নাটমন্দির নামের তিনটি মন্ডপ ৷ কালাপাহাড় মন্দিরের ক্ষতি করলে রাজা নরনারায়ণ তা পুনর্নিমাণ করেন ৷ মন্দির চত্বরে আছেন দশ মহাবিদ্যা ও তাঁদের ভৈরব ৷ কামাখ্যার ভৈরব উমানন্দ আছেন সামনে দ্বীপে৷ এখানকার সবচেয়ে বড় উৎসব হয় “অম্বুবাচীতে” ৷ এসে গেল সেই অম্বুবাচীর দিনগুলো ৷ আষাঢ় মাসের ঐ দিনগুলিতে মা স্বয়ং ঋতুমতী হন ৷ পাথরের গায়ে লাল জল দেখা যায় ৷ আর ঐ ভেজা কাপড়ের টুকরোকে ভাবা হয় খুব পবিত্র ৷ অম্বুবাচীতে দর্শন বন্ধ থাকে ৷ ১৫ বছরে একবার মায়ের মুখ দেখা যায় ৷ বশীকরণ , বাণ মারার বুজরুকি করে জগৎজননী মাকে সন্তানদের থেকে দূরে রাখা বা ভয় পাওয়ানো অহেতুক ৷ তাই গিয়েছি গৌহাটি শহর থেকে চল্লিশ কিমি দূরে মায়াং গ্রামে ৷
সেখানে কালাযাদুর চর্চা হয় শুনেছিলাম ৷ আসলে সেখানেও তান্ত্রিক আছেন ৷ কেউ বুজরুক থাকতে পারে ৷ তবে , তন্ত্রের মধ্যে তা নেই ৷ কামাখ্যা চারটি আদিশক্তি ও ১৮- টি মহাশক্তি পীঠের অন্যতম ৷
“কামাখ্যে বরদে দেবী নীলপর্বতবাসিনী ত্বং দেবী জগতাং মাতর্যোনিমুদ্রেনমোহস্তুতে ৷ আমার লেখা “সনাতনী কৃষ্টিকথা ” এবং ” হিন্দু ধর্ম ” ও “মন” নামের মনস্তত্ত্বের বই তিনটি বাজারে পাওয়া যায়। যাতে হিন্দু ধর্মের এমন বহু উৎসব / পার্বন/ ব্রত / ধর্ম গ্রন্থ / তীর্থাদির এবং শেষের বইটিতে মনের নানা বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়ার চেষ্টা করেছি ৷ আশাকরি , উৎসুক পাঠকগণ লেখাটি পড়ে অভিমত দেবেন ৷
মায়ের করুণা সবার উপর বর্ষিত হোক ৷ জয় মা
কামাখ্যা !

More from CultureMore posts in Culture »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.