রাজর্ষি মজুমদার : কর্ণধার ও প্রকাশক দেব সাহিত্য কুটির প্রাইভেট লিমিটেড। কলকাতা, ১০,সেপ্টেম্বর, ২০২০। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই হিন্দু তথা বিশ্বজুড়ে বাঙালিদের সর্বশ্রেষ্ঠ মাতৃ আরাধনা দুর্গোৎসব শুরু হতে চলেছে। আগামী ১৭ই সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজোর দিনই পবিত্র মহালয়া।

ঐ দিনই পিতৃপক্ষের শেষ দিন, এরপরই শুরু হবে মাতৃপক্ষ অর্থাৎ দেবীর আরাধনা। এই বছরের পুজো অক্টোবর এর প্রায় শেষ সপ্তাহে। মানুষের মনে কোনো আশা নেই, আকাঙ্খা নেই, পুজো নিয়ে কোনো উৎসাহ নেই। এখনও পর্য্যন্ত কোনো রকম চাহিদা দেখা যাচ্ছে না! অন্যান্য বছর এই সময়ে দোকান বাজার শপিংমল এ যে ধরণের ক্রেতাদের ভিড় দেখা যেত এখন সব অতীত। চীন থেকে আমদানি হওয়া বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীর জন্য দীর্ঘ লক ডাউন পর্ব যা এখনও শেষ হয়নি।

বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে, মানুষ প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে বেঁচে আছে। আদৌ আমরা কতজন দেবী দুর্গা মায়ের দর্শন করতে পারবো সেটা এই মুহূর্তে কারোর পক্ষেই আন্দাজ করা সম্ভভপর হচ্ছে না। আমরা প্রায় সকলেই এই লকডাউনের জন্য একটু লো প্রোফাইল এ জীবন যাপন করে জীবনের শ্রেষ্ট স্বাদ পেয়েছি। জীবন ধারণের নানা ধরণের চাহিদা তলানিতে এসে ঠেকেছে। আসন্ন দুর্গা পূজা নিয়ে আমাদের কোনো চিন্তা নেই, কারণ আমরা জানি এই ভাবেই চলতে হবে আগামী কয়েক মাস। পুজো বোনাস বা পুজোর জন্য পরিবারের শপিং এখন কল্পনার মধ্যে আসছে না। সাধারণ মানুষের হাতে টাকা পয়সা নেই, বহু মানুষের চাকরি নেই।

কি হবে এর পর! করোনার ভ্যাকসিন যদি আবিষ্কার হয় তবেই হয়তো এই যাত্রায় রক্ষে পাওয়া যেতে পারে। মনে প্রশ্ন জাগে আমরা কি কখনও ভেবেছি যে, এরপরে হয়ত অদূর ভবিষ্যতে করোনার থেকেও ভয়ানক কোনো দুরারোগ্য ব্যাধি যদি আসে তাহলে তখন আমরা কি করবো? সেই দুশ্চিন্তার কথা মাথায় রেখেই বলা যেতে পারে এখন থেকেই অপচয় বন্ধ করে অর্থ সঞ্চয় সকলেরই করা উচিত। কখনোই অর্থের অপব্যবহার করা উচিত নয়।

যদিও এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত মত। পাঠকরা আমার সাথে সহমত হবেন কি না সেই সিদ্ধান্ত আপনাদের।
Be First to Comment