Press "Enter" to skip to content

উত্তরবঙ্গে তিস্তা-করলার মিলনস্থল এবং জ্যোতি বসুর প্রিয় কিং সাইজ বোরোলি……..

Spread the love

#তিস্তা-করলার মিলনস্থল আর কিং সাইজ বোরোলি।#

নিলাঞ্জন দাস : ১২ জুলাই, ২০২০। উত্তরবঙ্গের রুপালি শস্য, বোরোলি মাছ যে প্রায় ছয় ইঞ্চিও লম্বা হতে পারে তা ধারণা ছিল না। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু উত্তরবঙ্গে এলেই তার বোরোলি প্রিয়তার কথা ফলাও করে খবর কাগজে ছাপা হতো। তা সে, জলদাপাড়ার হলঙে আসুন বা কালীঝোড়ার পি ডব্লু ডি বাংলো তে। সেই থেকেই কুলীন মাছ বোরোলি, উত্তরবঙ্গের তিস্তা, তোর্সা ইত্যাদি যে অল্প কয়েকটা নদীতে পাওয়া যায় তার পার্শ্ববর্তী শহরের বাজারগুলোতে তিন-চার ইঞ্চি মাপেরগুলোই প্রায় কেজি প্রতি দাম হাজার টাকার এপার ওপার। তাও একদম ফ্রেশ বোরোলি পাবার সম্ভাবনা কম বিষপ্রয়োগ বা ইলেকট্রিক শক আর বরফে সংরক্ষণের ফলে। প্রবল বর্ষায় তিস্তার জল বেড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে গিয়েছিলাম জলপাইগুড়ির তিস্তা পাড়ের জুবিলী পার্ক থেকে বাঁধ ধরে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে তিস্তা এবং “জলপাইগুড়ির টেমস” নামে পরিচিত, করলা নদীর মিলনস্থলে। বাঁধের ওপরেই কাঁচা রাস্তা আর সারাটা যাত্রাপথে বাঁয়ে তিস্তা আর ডানে করলা সঙ্গী।

আগেও দেখেছি তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা কিন্তু নদীতে জল বাড়লে খুশিই হয়। তার কারণ মাছ আর ভেসে আসা গাছের সংখ্যা বেড়ে যায়।আর এবার তো টেমাই আর নানাধরনের জাল নিয়ে স্থানীয়রা রীতিমতো মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠেছে। জানিনা এটা লকডাউনের সুফল কিনা, কিছু জেলের কাছে তো আগেই বলেছি প্রায় ছয় ইঞ্চি সাইজেরও বোরোলি দেখলাম। ওরা বলল, যে বোরোলি যত বড়, চর্বির আধিক্যের জন্য তার পেটের রঙ তত হলুদ। ভাজা, পাতলা ঝোল আর সরষে বোরোলি তো অসাধারণ। জেলেদের কাছ থেকে নিতে হলে আসতে হবে সকাল দশটা বা বিকেল চারটার মধ্যে। তারপর সব বোরোলি চলে যাবে আড়তদারদের কাছে। খুব বড় সাইজেরগুলো আটশ টাকা কেজি পাবেন, যেগুলো বাজারে বারোশ। তবে একদম ফ্রেশ … জ্যান্ত। তবে যেহেতু জেলেদের কাছে মাপার কিছু নেই তাই ওজনটা আন্দাজেই নিতে হবে আর মাছ নেবার পাত্র বা প্যাকেট নিজেকেই নিয়ে যেতে হবে।

আর তিস্তা-করলার সঙ্গমস্থল তো এখন যেমন সুন্দর তেমনি ভয়াল রুপ ধারণ করেছে। জলপাইগুড়ি শহর থেকে একটা ছোট্ট day out র আদর্শ জায়গা। আর জায়গাটা যেহেতু দক্ষিনে তাই পূর্ণিমা সন্ধ্যায় অসাধারণ চন্দ্রোদয় দেখা যায় এখান থেকে। তবে শেষ তিন কিলোমিটার কিন্তু খুব নির্জন, কোনো বাড়িঘর বা দোকানপাট নেই বাঁধের পাশে। তাই কিছু খাবার ইচ্ছে থাকলে সাথে নিয়ে আসতে হবে। আর এখন তো নদী দুটোতে খুব বেশি জল , তাই রিস্ক নেওয়া যাবে না, কিন্তু অন্য ঋতুতে এলে নৌকা ভ্রমণ আর তিস্তা-করলার মিলনস্থলে স্নান করতে ভুলবেন না

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.