বাবলু ভট্টাচার্য / গোপাল দেবনাথ : ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর এবং কলকাতায় অবস্থিত আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বর্তমান গতিপথ না বদলালে বাংলাদেশে আঘাত হানবে না। তবে এর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন এলাকায় মাঝারি থেকে অতি ভারী ধরণের বৃষ্টিপাত হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ থেকে সোমবার ভোরে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর পূর্বে ঠিক করা তালিকা অনুযায়ী এটির নাম হয় ‘ইয়াস’– যার অর্থ ‘হতাশা’।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপের তালিকা অনুযায়ী এই নামটি প্রস্তাব করেছিল ওমান।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ বলেন, আরো শক্তি সঞ্চয় না করলে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ যে গতিতে এগোচ্ছে তাতে এটাকে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ই বলা চলে এবং এটি মারাত্মক আকার ধরার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের বর্তমান গতিপথ উড়িষ্যা ও কলকাতার মাঝামাঝি রয়েছে। এই ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে গত বছরের উমপুন ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি ও জীবন হানির কথা মাথায় রেখে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগাম সতর্কতা মূলক সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন বলে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন। রাজ্যের মানুষকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।মৎস্যজীবী সহ উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষদের ইতিমধ্যে সেফ হোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। করোনা অতিমারী ও টিকাকরণ সহ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীদের যাতে কোনোরকম দুর্ভোগ পোহাতে না হয় তার জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় নবীন পট্টনায়ক ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে সব ধরণের সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
Be First to Comment