মনোরঞ্জনের একটা ঐতিহাসিক দলিল
ইন্দ্রজালের আসরে শতাব্দী রায়
ডঃ পি সি সরকার (জুনিয়র) বিশ্বখ্যাত জাদুশিল্পী ও বিশিষ্ট লেখক।
অনেক বছর আগে, যখন আমাদের বঙ্গের সিনেমা জগতের সবার প্রিয়, বুদ্ধীদীপ্তা, সুন্দরী চিত্রতারকা শতাব্দী রায়,কমার্শিয়াল সিনেমার মধ্যগগনে দাপিয়ে অভিনয় করছেন, তখন আমি একদিন, তাঁকে দর্শকের আসনে দেখে, স্টেজে উঠে এসে, আমার একটা ‘মঞ্চ-মায়া’তে অংশ নিতে অনুরোধ করি।
আসলে পুরো ব্যাপারটা ছিলো সাজানো। আমি শতাব্দীকে আগের থেকেই আড়ালে, ফিশ ফিশ করে শিখিয়ে দিয়ে ছিলাম, কী করতে হবে। ও রাজী হয়। বুদ্ধিমতী বাঙালি মেয়ে , ঠিক বুঝে নেয় ওর কাজটুকু। পুরোটাই করা হয়েছিলো মজার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য, মাত্র একদিন। তখন পৃথিবীর পরিবেশ, ছিল খুব সুন্দর, পবিত্র, মানুষ ছিলো- অনেক নিষ্পাপ, রোদ ছিলো আরও সোনালী, হাওয়া ছিল পুরো ভাইরাস বিহীন। ।
ও কি, ঠিক ঠিক বুঝে নিয়েছিলো? বুঝে ছিলো, কখন কী করতে হবে ? মঞ্চশিল্পীদের সঙ্গে এক আনকোরা সিনেমা শিল্পী মঞ্চে ঠিক মতো শিল্প সমণ্বয় করতে পেরেছিলেন কিনা, সেটা দেখার বিষয়। সজাগ মঞ্চ- সহকারীর ভূমিকায় ছিলেন ইন্দ্রজাল সম্প্রদায়ের চার বাঘা নক্ষত্র- শিল্পী, সর্বশ্রী অমিয় কবিরাজ, আব্দুল সামাদ, মহানন্দ সামন্ত এবং উত্তম মণ্ডল। তাঁরা সজাগ ভাবে কৌশলটাকে সামলে ছিলেন, আমি ছিলাম উপস্থাপনার পুরো ভাগে, জয়শ্রী ছিলো আড়ালে শতাব্দীর পোষাকের দায়িত্বে, আর শতাব্দী ছিল স্ব-মহিমায়, নিজের মতো নিজে।
কী হয়েছিলো তারপর?
Be First to Comment