Press "Enter" to skip to content

“আমার মৃত্যুতে ছুটি ঘোষণা করো না, আমায় যদি ভালোবাসো, মন দিয়ে কাজ করো সেদিন।”– এ পি জে আবদুল কালাম….

Spread the love

স্মরণঃ এ পি জে আ ব দু ল কা লা ম

“আমার মৃত্যুতে ছুটি ঘোষণা করো না, আমায় যদি ভালোবাসো, মন দিয়ে কাজ করো সেদিন।”

[ এ পি জে আবদুল কালাম ]

বাবলু ভট্টাচার্য : ‘স্মল এইম ইজ এ ক্রাইম, ছোট লক্ষ্য স্থির করা অপরাধ’— বরাবর এমনটাই দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে এসেছেন এ পি জে আবদুল কালাম। বিভিন্ন কেতাবি আলোচনায় সে বিশ্বাসই তুলে ধরতেন তিনি বারবার। আর এমন গভীর আত্মবিশ্বাসই রামেশ্বরমের এক জেলে পরিবারের ছেলেকে তুলে এনেছিল ভারতের রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাইসিনা হিলসে।

তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন, ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরমাণুবিজ্ঞানী। আবুল পাকির জয়নাল আবেদিন আবদুল কালাম যিনি এ.পি.জে আবদুল কালাম নামেও সমধিক পরিচিত ছিলেন সারাবিশ্বে।

তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর এক দরিদ্র মৎস্যজীবী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আবুল পাকির জয়নুল আবেদিন আবদুল কালাম। রাষ্ট্রপতি, বিজ্ঞানী, লেখক— কী ছিলেন না তিনি!

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হলেও জ্ঞানগর্ভ বক্তৃতা আর কথা বলাই বেশি পছন্দ ছিল তাঁর। শেষ পর্যন্ত সেই বক্তৃতা দিতে দিতেই পাড়ি জমালেন ওপারে। ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি ছিলেন তিনি। তিনিই সেদেশের একমাত্র বৈজ্ঞানিক ব্যক্তিত্ত্ব হিসেবে রাষ্ট্রপতির পদ অলঙ্কৃত করেছেন।

সদা কর্ম ও জ্ঞান সাধনায় নিবেদিত এ পি জে আবদুল কালাম তরুণদের উদ্দেশ্যে স্বপ্ন ও জীবনকে জয়ী করার কথা উল্লেখ করেছেন। উচ্চ চিন্তা ও সাদামাটা জীবনাচরণে অভ্যস্ত আবদুল কালাম বিশ্বাস করতেন মানুষের অমিত শক্তিতে।

নিজে অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান হয়েও অধ্যবসায়ের জোরে হতে পেরেছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী। তিনি কোন পদ বা প্রতিষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন কিংবা কত বড় রাষ্ট্রীয়, সেটি ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয় ; বরং তাঁর স্পর্শেই সেই পদ, প্রতিষ্ঠান ও পুরস্কার হয়ে উঠেছিল অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন অবিবাহিত, আর খুব সহজ সরল অনাড়ম্বর জীবনযাপনে অভ্যস্ত। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর আবদুল কালাম হয়ে ওঠেন ‘জনতার রাষ্ট্রপতি’। ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন ভারতের তৃতীয় মুসলিম রাষ্ট্রপতি।

 

দেশটির সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘ভারতরত্ন’ ছাড়াও ‘পদ্মভূষণ’ ও ‘পদ্মবিভূষণ’ খেতাবেও ভূষিত হন তিনি।

২০১৫ সালের আজকের দিনে (২৭ জুলাই) ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট, শিলং এর এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে দিতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

More from GeneralMore posts in General »
More from InternationalMore posts in International »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.