Press "Enter" to skip to content

আমার ভাবালুপনা ওনাকে বোধহয় আতঙ্কিত করেছিলো। যদি আমি প্রতিদ্বন্দী হই! একবার, সেই ‘শঙ্কিত’ ওনাকে আমি যখন একটা “নিজের ‘সাচ্চা প্রেম-‘এর দিল খুলে বলে ফেলার আসরে” , অন্যান্য সবার পর আমার প্রেমের ঘটনার ইতি-হ-আস্ = অর্থাৎ, “এমনটাই ঘটে ছিলো”……।

Spread the love

//////[প্রদীপের সঙ্গে আলাপ=প্রলাপ]\\\\
+++++++++++(পর্ব-০৪৪)+++++++++++++++
মঞ্চ-মায়াবী,জাদু-শিল্পী পি সি সরকার জুনিয়র
(Dr. Prodip Chandra Sorcar, M.Sc.,Ph.D.). কলকাতা, ১৩, ফেব্রুয়ারি, ২০২১। " রূপকথা নয়,..জীবনের অপরূপ কথা।"

(ভ্যালেনটাইন্স ডে স্পেশাল) আগের থেকে বলে রাখছি, যদিও কথাটা আমি বহুবার বলেছি, তবুও আবার বলছি, আমার না, মিথ্যে কথা বলার কোনও প্রয়োজন হয় না। আমি যে পরম সত্যবাদী, তা বলছি না। কারণ সেটাও আমার বলে জানাবার দরকার হয় না। কেউ যদি আমার নামে সুখ্যাতি বা অপবাদ করেন, তো বলে রাখছি, সেটা তার ব্যক্তিগত শিক্ষা, দৃষ্টিকোনের ব্যাপার। তাঁরই মনের মতো করে এক চরিত্রের আত্মপ্রকাশ। পুরোটা তারই শিল্প-প্রকাশ

এবং কৃতিত্ব, আমার নয় । আমি যা, আমি এক্সাক্টলি , ঠিক তাইই। আমাকে সব চেয়ে বেশি চিনি আমি। আর কেউ নন। কারুর সার্টিফিকেট অনুযায়ী আমার সততা বা মূল্যের পরিমান বাড়ে না, কমে না। কারণ , যাঁরা বলছেন, সত্যি-মিথ্যের তফাৎ বা যাঁচাই করার যোগ্যতা তাঁদের আছে কিনা, থাকলেও কোন উদ্দেশ্যে বলছেন, সেটা আমার সংস্কৃতির সঙ্গে আর তাঁদের জন্ম -কেমিস্ট্রি বা যাঁচাই-এর পদ্ধতি এবং ধান্ধার সঙ্গে আমার খাপে-খাপ হবে কিনা , তার কোনও গ্যারাণ্টি নেই। একজন আধুনিক কবি আক্ষেপ করে লিখেছিলেন, "এ জমানার বাকরুদ্ধ রুগীরা, (মানে আজকালকার কোভিডের মুখে, মাস্কিত জনগণ) কেউই কবিতা পড়ে না! "লাইনটা ঠিক মনে নেই, তবে ভাবার্থটা বোধহয় ওরকম একটা কিছু হবে। এই কবিতা ব্যাপারটা সাংঘাতিক রকম ছোঁয়াচে। সেজন্য মুখে ঠুসি এঁটে আমিও একটু একটু কবি-রুগী হয়ে গেছিলাম। আমার ভাবালুপনা ওনাকে বোধহয় আতঙ্কিত করেছিলো। যদি আমি প্রতিদ্বন্দী হই !! একবার, সেই 'শঙ্কিত' ওনাকে আমি যখন একটা " নিজের 'সাচ্চা প্রেম-'এর দিল খুলে বলে ফেলার আসরে" , অন্যান্য সবার পর আমার প্রেমের ঘটনার ইতি-হ-আস্ = অর্থাৎ, "এমনটাই ঘটে ছিলো" বলে শেয়ার করি, তখন তাঁর খল-নায়ক সত্ত্বাটা দেখলাম ঠিকরে ওঠলো । একটু শুনেই বলেন, "গল্পটা হিন্দী সিনেমার মতোই সত্যি বলে মনে হচ্ছে।" বুঝলাম উনি ওনার নিজস্ব কারিগরির জগতে, নতুন ভাড়াটে নন, পারমানেন্ট বাসিন্দা। গ্যাঁট হয়ে গাঁজাখুরির আসরে, সবাইকে খেজুরে আনন্দে গুঁতিয়ে সাম্যবাদী বানাতে চাইছেন ।

এসব আমি পরোয়া করি না। জীবনস্মৃতির খনি খুঁড়ে, গুপ্তধনটা বের করে প্রকাশ্যে নিয়ে আসি। এখন আমার চেহারাটা তোবড়ানো, হরতুকির মতো হয়ে গেলেও, আমারও তো একসময়ে একটা যৌবন বলে কিছু ছিল। তখন আমি নাকি ডাঁশা পেয়ারা বা ওমর খৈয়ামের প্রিয় খয়েরী আঙুরের মতো না হলেও দিশী শসা অথবা নারকোলে- কুলের মতোই টাইট ছিলাম। আমিও বহু প্রেমপত্র-টত্র পেতাম। পেয়ে ভ্যাবাচাকা খেয়ে ঘাবড়ে যেতাম। ইশ্, আমি যে এতো ভালো , এতোগুলো সুন্দরী মেয়ের হৃদয়ের ব্যথা, এই গোবেচারা আমি, তা জানতামই না !! অ্যাতো মসলিনের চেয়েও ফিনফিনে, দখিনা হাওয়ার মতো নরম.. ...এদের সবার মনে আঘাত দিই কীভাবে। অনেকেই লিখেছিলো, আমি নাকি নিষ্ঠুর !! ওর নরম মনে ব্যথা দিচ্ছি! আয়নায় দাঁড়িয়ে অপরাধ খুঁজতাম। পেতাম না। এভাবেই জেনেছিলাম, আমায় না পেলে 'সেই উনি' নাকি মরেই যাবেন। খুব ভয় পেতাম। এ তো থ্রেটনিং! যদি মরার আগে উনি লিখে রেখে যান, "আমার অকাল মৃত্যুর জন্য এ যুগের ওই ভ্যাবাগঙ্গারাম ব্রহ্মচারীটা দায়ী।" তাহলে কি হবে? পুলিশ এসে আমায় খুনের দায়ে ফাঁসী দেবে। একবার দুবার নয়, বারবার দেবে। কারণ অনেক মেয়েই ওরকম মরে যাবে-টাবে বলেছিল। বহু মেয়ে। সবাই সমবেতভাবে 'জহর-ব্রত' নয়, ছিটকে ছাঁটকে মরতো , এপাড়ার - ওপাড়ার 'বিখ্যাত' ঘুম কাড়ানীরা। সমবেত, দলবদ্ধভাবে নয়, একক ভাবে, আলাদা বৃত্তে। তবে চেনাজানার মধ্যে কেউই মরেনি। ওই তো , ও-পাড়ার ডালিয়া নামে ওই ছল-ছল চোখে কতো কিছু বলতে চাওয়া মেয়েটা ! ও বলেছিলো আমি ওকে ভালো না বাসলে, ও মরে যাবে। মরে নি। এখন হাই পাওয়ারের চশমা চোখে, নাতি-পুতি নিয়ে বেশ বেঁচে আছে। বরঞ্চ ওর স্বামী বেচারাটা মারা গেছেন , কোভিড হয়ে। পাড়ার প্রথম শহীদ হিসেবে। To be continued

More from GeneralMore posts in General »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Mission News Theme by Compete Themes.