গোপাল দেবনাথ : কলকাতা, ২২ জুন, ২০২১। বিশ্বজুড়ে করোনা অতিমারী মানুষের মনের আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। সিনেমা সাধারণ মানুষের জীবনে অন্যতম বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। সিনেমা হল দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে আছে। বর্তমান সময়ে টেলিভিশন দেখে মানুষ সময় কাটাচ্ছেন। সেই সাথে আছে বিভিন্ন সংস্থার ও টি টি প্লাটফর্ম। খুবই অল্পদিনের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে Klikk ওটিটি প্লাটফর্ম। এই ক্লিক এ খুব শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছে “অন্তর্দ্বন্দ্ব”
নির্দেশনায়: সন্দীপ সরকার। কাহিনী ও চিত্রনাট্য : মধুমিতা সরকার। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন : জয় সেনগুপ্ত , মধুমিতা সরকার, চন্দন সেন, মিঠু চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী’র মত অভিজ্ঞ অভিনেতারা ছবিটি আরো সমৃদ্ধ করেছেন। এই ফিচার ফিল্মের গল্পের এক ঝলক পড়ে নেওয়া যাক।
মফস্বলের একজন শিক্ষিতা সরল সাধাসিধে মেয়ে, পৃথা । পাত্রচাই – এর বিজ্ঞাপন দেখে ব্যাঙ্গালোরে চাকুরিরতা ঋদ্ধিমানের সাথে পৃথার বিয়ে দিয়েছিলেন তার মা – বাবা । বিয়ের পর পৃথার জীবনটাই বদলে গেলো । কি হলো সেটাই দেখার বিষয়বস্তু…
সলিলবাবু এবং পাপিয়ার একমাত্র মেয়ে পৃথার জন্যে অনেকদিন ধরে পাত্র খুঁজতে খুঁজতে শেষে নামকরা এক ম্যাট্রিমোনিয়ালের থেকে ব্যাঙ্গালোরে চাকুরিরত ঋদ্ধিমান চ্যাটার্জিকে উপযুক্ত জামাই হিসেবে মেনে নেয়। প্রাইভেট ফার্মে চাকুরিরত ঋদ্ধিমান বিয়ের আনুষ্ঠানিক নিয়ম কানুনে আটকা পরে এতবেশি পরিমাণ ছুটি নিয়ে ফেলায়, বিয়ের ২ মাসের মধ্যে তার চাকরিটি চলে যায় । ঋদ্ধিমান অফিসের এই সিদ্ধান্তে দুঃখিত এবং হতাশাগ্রস্ত হলেও, সলিলবাবু এবং পাপিয়া বেশ খুশি হয়, কারণ তাদের ঘর জামাই রাখাটাই বেশি পছন্দ ছিল। সলিলবাবু এবং পাপিয়ার যা কিছু সম্পত্তি ছিল, সবেরই নমিনি ছিল তাদের একমাত্র মেয়ে পৃথা । ঋদ্ধিমান শ্বশুরবাড়িতে থাকাকালীন চাকরির সন্ধান করতে থাকে । এমনই সময় হঠাৎ সলিলবাবু মারা যান, তাই শোকে কিছুদিন পর পাপিয়াও মারা যান । জামাইয়ের এতো ভালো ব্যবহার এবং সেবা যত্ন থাকা সত্ত্বেও কিভাবে দুজনে হঠাৎ করে মারা গেলেন, সেই ভেবে পাড়া প্রতিবেশী বিস্মিত হয়ে যায় । এরপর নমিনি থাকায় পৃথা মা – বাবার সম্পত্তি পেয়ে যায় এবং সে তার স্বামীকে নমিনি করে দেয় ।
কিছুদিন পর পৃথার ফোনে একটা অচেনা লোকের ফোন আসে, যে জানায় ঋদ্ধিমান পৃথার মা এবং বাবাকে মেরে ফেলেছে স্লো পয়জন করে । এবং ঋদ্ধিমানের পরবর্তী শিকার তার স্ত্রী পৃথা । পৃথা এই কথা বারবার ফোনে শুনতে পায় এবং সেটা ঋদ্ধিমানকে সে জানায় । কিন্তু ঋদ্ধিমান পাত্তা দেয় না । ধীরে ধীরে পৃথা মানসিক ভারসাম্য হারাতে থাকে । ঋদ্ধিমানকে সে সন্দেহ করতে থাকে । অযথা ঘুমের ওষুধ খেতে শুরু করে । মাঝেমধ্যে আত্মহত্যা করার চেষ্টাও করে । প্রতিবেশীরা জানতে পেরে ঋদ্ধিমানকে থানায় ইনফর্ম করার জন্য মতামত দেয় । ঋদ্ধিমান পৃথাকে psychiatrist দেখায় এবং থানায় ইনফর্ম করে রাখে । হঠাৎ একদিন পৃথা আত্মহত্যা করেই ফেলে । ঋদ্ধিমান বাড়ি বিক্রি করে সমস্ত সম্পত্তি গুছিয়ে নিয়ে অন্য এক রাজ্যে পাড়ি দেয় দ্বিতীয় শিকার খোঁজার জন্য । অবশেষে জানা যায়, পুরো ঘটনাটার প্ল্যান টা ঋদ্ধিমানের মাথায় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সাজানো ছিলো । জমজমাট টান টান উত্তেজনায় ভরা এই সিনেমা। আর গল্প বলা যাবে না বাকিটা পর্দায় দেখতে হবে।
Be First to Comment