অশোক ব্যানার্জী : কলকাতা।
আজকে খুব ভোর বেলাতে,
ভোর বলবো, না কি রাতে?
ঘুম ভেঙে গেল হটাৎ করে
তখন বাজে তিনটে!
কেন যে হঠাৎ উঠলাম জেগে
ঘুমটা কেন গেল ভেগে
চোখ কচলে উঠলাম বসে
পারলাম না তো জানতে।
ভালোই হলো বোধহয়
হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে
বসলাম এসে আয়েস করে
পূবের বারান্দায়।
আধো আলো, অন্ধকারে
পূর্বদিকে অনেক দূরে
দেখতে পেলাম আলোর রেখা
স্পষ্ট করে যায় না দেখা!
পাখিরা সব কিচ্ মিচিয়ে
ঝাপটে ডানা ছট্ ফটিয়ে
দিচ্ছে জানান এবার ওরা
চুপটি করে বসে সবাই
থাকবে না আর ঘরে !
হঠাৎ দেখি চক্রবালে
আলোর রেখা দুলকি চালে
উঠছে ফুটে স্পষ্ট করে
সূর্য দিচ্ছে উঁকি
অবাক হয়ে আমি বসে
সেই দৃশ্য দেখি !
অন্ধকার কেটে গিয়ে
হাল্কা লালে আছে ছেয়ে
সারা আকাশটাকে
অপূর্ব সেই দৃশ্য দেখে
সার্থক আর মুগ্ধ হলো
আমার হৃদয়টা যে !
পাখিরা সব একে একে
বেরিয়ে পড়ে ঘরের থেকে
মনের আনন্দেতে,
দিচ্ছে শিশ্ গাইছে গান
নেইতো বাঁধা ওদের কোনো
এদিক ওদিক যেতে ।
ঝকঝকে এই পৃথিবীতে
আকাশ বাতাস হাল্কা রোদে
লাগছে ভারী মিষ্টি
উড়ছে চিল নীল আকাশে,
চোখ জুড়িয়ে যায় আবেশে
কি অপরূপ সৃষ্টি !
তবুও সবাই বন্দী ঘরে
কতদিন আর এমনি করে
বাইরে যেতে মানা ?
আবার কবে বাইরে যাবে
করবে রোজগার আবার সবে
গরীব শ্রমিক মানুষ গুলোর
নেই তো সে সব জানা !
অশোক ব্যানার্জী
Be First to Comment