———–জন্মদিনে স্মরণঃ অমিতাভ চৌধুরী——-
“ছোটলোক বা বড়লোক
সবাই যাবে পরলোক
ছোটই থাকো সুতরাং
যেমন থাকে পিপিড়াং…৷”
বাবলু ভট্টাচার্য : সাংবাদিক, ছড়াকার, লেখক, সাহিত্যিক অমিতাভ চৌধুরী ৷ জন্ম বর্তমান বাংলাদেশে হলেও বেড়ে ওঠা অসমের কাছাড়ের এক চা বাগানে। পড়াশুনা কলকাতা এবং শান্তিনিকেতনে। পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময়ে সাংবাদিক হিসাবে যোগ দেন আনন্দবাজার পত্রিকায়। পরে পত্রিকার বার্তা সম্পাদক হন। ৭০-এর দশকের শেষ দিকে যুগ্ম সম্পাদক হিসাবে যোগ দেন যুগান্তর পত্রিকায়। পরবর্তী কালে আজকাল পত্রিকার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন অমিতাভবাবু। জীবদ্দশায় শতাধিক বই লিখেছেন এই সাহিত্যিক। ছিলেন এক জন প্রখ্যাত রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ। বলতেন– “আলখাল্লার ভিতরের মানুষ রবিকে চেনানোর চেষ্টা করেছি চিরকাল।”
সাংবাদিকতার পেশার সূত্রে ইন্দিরা গাঁধী, শেখ মুজিবর রহমান, সুচিত্রা সেনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। ১৯৮৩ সালে পান ‘পদ্মশ্রী’ পুরস্কার। ২০১৩ সালে রাজ্য সরকার তাঁকে ‘বঙ্গবিভূষণ’ উপাধিতে সম্মানিত করে। ওই বছরই শিলচর বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডিলিট উপাধি দেয়। পেশায় প্রবেশের আগে বিশ্বভারতীতে শিক্ষকতা করতেন৷ ছদ্মনাম ছিল চাণক্য ও দৌবারিক৷ পঞ্চাশের দশকে দৈনিক যুগান্তরে শ্রীনিরপেক্ষ ছদ্মনামে ‘নেপথ্য দর্শন’ কলাম লিখতেন অমিতাভ চৌধুরী৷
রাজনীতি, আমলাতন্ত্র ও দুর্নীতির ওপর তাঁর ক্ষুরধার লেখাগুলি গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে বিরাট ভূমিকা রেখেছিল৷ তিনি ‘প্রেস ফাউন্ডেশন অব এশিয়া’ গড়ে তোলেন। সাংবাদিকতায় অসামান্য অবদানের জন্য পেয়েছেন ম্যাগসেসে পুরস্কার৷ তিনি ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ‘দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন৷
২০১৫ সালের ১ মে অমিতাভ চৌধুরীর মৃত্যু হয়৷
অমিতাভ চৌধুরী ১৯২৮ সালের আজকের দিনে (১৬ জুলাই) সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন।
Be First to Comment